বিতর নামাযের অনেকগুলো নিয়ম আছে। আমাদের দেশে যে নিয়মে বিতর পড়া হয় তাও সহীহ। বিতরের মোট বারটি পদ্ধতি উল্লেখ করেছেন ইবনে হাযাম জাহেরী তার বিখ্যাত আল-মুহাল্ল কিতাবে। তার ভিতর তিনটি নিয়ম ড. শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. রাহে বেলায়াত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। উক্ত নিয়মগুলোসহ বিতর সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে দেখুন রাহে বেলায়াত ৪২৩-৪৩০ পৃষ্ঠা। এছাড়া আমাদের দেয়া 0105, 0153 নং প্রশ্নের উত্তরে আপনি অনেক তথ্য জানতে পারবেন। সেগুলো দেখতে পারেন। কুনুতের সময় হাত উঠানো:
ফজরের নামাযের কুনুতের সময় উমার রা. হাত উঠাতেন বলে বর্ণিত আছে। হাদীসটি হলো,
عَنْ أَبِى عُثْمَانَ قَالَ : صَلَّيْتُ خَلْفَ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ فَقَرَأَ ثَمَانِينَ آيَةً مِنَ الْبَقَرَةِ ، وَقَنَتَ بَعْدَ الرُّكُوعِ ، وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى رَأَيْتُ بَيَاضَ إِبْطَيْهِ ، وَرَفَعَ صَوْتَهُ بِالدُّعَاءِ حَتَّى سَمِعَ مَنْ وَرَاءَ الْحَائِطِ.
অর্থ: আবী উসমান রহ. বলেন, আমি উমার রা. এর পিছনে নামায আদায় করলাম তিনি সূরা বাকারাহ থেকে আশিটি আয়াত তেলাওয়াত করলেন। তিনি রুকুর পরে কুনুত পড়লেন এবং তার দুহাত উত্তোলন করলেন এমন কি আমি তার বগলের সাদা অংশ দেখে ফেললাম। তিনি এতো উচ্চস্বরে দোয়া করলেন যে, দেয়ালের পিছনে যারা আছে তারাও শুনতে পেলো। আস-সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্কী, হাদীস নং৩২৭৪। একই হাদীস আরো দুটি সনদে তিনি উল্লেখ করেছেন। দেখুন ৩২৭৩ এবং ৩২৭৫ নং হাদীস। ৩২৭৫ নং হাদীসের পরে ইমাম বায়হাক্কী রহ. বলেছেন,
وَهَذَا عَنْ عُمَرَ رَضِىَ اللَّهُ عَنْهُ صَحِيحٌ
এটা উমার রা. থেকে সহীহ সূত্রে বর্ণিত। উপরের হাদীসটি আরো বর্ণিত আছে মুসান্নিফে ইবনে আবি শায়বাতে। হাদীস নং ৭১১৪ এবং ৭১১৫। এই হাদীসটির সমস্ত বর্ণনাগুলো একত্র করলে দেখা যায় এটা ফজরের নামাযের ঘটনা। আর বিভিন্ন সনদে হাদীসটি বর্ণিত হওয়ায় হাদীসটি সহীহ কিংবা হাসান পর্যায়ের হবে। এই হাদীস থেকে বুঝা যায় দুআ কুনুত পড়ার সময় হাত উঠানো যায়। তবে হাত উঠিয়ে তিনি আমাদের দেশের মোনাজাত করার মত করতেন না কান পর্যন্ত উঠাতেন তা স্পষ্ট নয়। কোন কোন সাহবী থেকে বর্ণিত আছে যে, তারা মোনাজাতের মত করে হাত তুলতেন। আশা করি আপনি আপনার উত্তর পেয়েছেন।