আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 992

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 17 অক্টো. 2008

প্রশ্ন

আচ্ছালামু আলাইকুম,আপনাদের কাছে একটা প্রশ্ন এসেছিল এরকম, আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! স্যার বিকাশের ব্যবসা করা কি ইসলামিক শরিয়াহ সম্মত? আর আপনাদের উত্তর ছিল এরকম, ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বিকাশের ব্যবসা শরীয়তসম্মত। জায়েজ, সমস্যা নেই। বিস্তারিত জানতে দেখুন, মাসিক আলকাউসার,অক্টোবর ২০১৩, যিলহজ্ব ১৪৩৪ থেকে মুফদত আবুল হাসান মুহাম্মাদ আব্দুল্লাহ হাফিজাহুল্লাহ এর লেখা এই প্রবন্ধটি মোবাইল ব্যাংকিং : পর্যালোচনা ও শরঈ দৃষ্টিকোণ। এরপর আমি মাসিক আল-কাউসারের ওই প্রবন্ধে গেলাম,সেখানে দেখলামঃ ********এখন পর্যন্ত যে সেবাসমূহ মোবাইল ব্যাংকিং কোম্পানিগুলো দিচ্ছে তা নিম্নরূপ :
১. এক স্থান থেকে অন্য স্থানে টাকা প্রেরণ। ২. মোবাইল ফোন রিচার্জ। ৩. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা টাকা এজেন্ট থেকে উত্তোলন। ৪. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে জমা টাকা ব্যাংকের এটিএম থেকে উত্তোলন। ৫. মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টের টাকা ব্যাংক একাউন্টে এবং ব্যাংক একাউন্টের টাকা মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টে স্থানান্তর। ৬. নির্ধারিত দোকানপাট ও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার মূল্য পরিশোধ সুবিধা। ৭. দেশের বাইরে বসবাসরত আপনজন কর্তৃক প্রেরিত অর্থ (রেমিটেন্স) গ্রহণ। এছাড়া একাউন্টধারী কর্তৃক নিজ হিসাবের স্থিতি, মিনি স্টেটম্যান্ট দেখার সুবিধাও রয়েছে। ******(মাসিক আলকাউসার)
এখানে আমি এতো কিছু এজন্য উল্লেখ করলাম কারণ, বিকাশের একটা অন্যতম সুবিধা এখানে দেওয়া হয়নি এবং তা হলোঃ বিকাশ জমানো টাকার উপর নিদৃষ্ট পরিমাণ সুদ দেয় এই একটা সুবিধাই কি বিকাশ নাজায়েয হওয়ার জন্য যথেষ্ট নয়?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। বিকাশে টাকা পাঠানো, নেয়া ইত্যাদি এগুলোকে জায়েজ বলা হয়েছে। যে সুদ দেয় তাকে জায়েজ বলা হয় নি। যেমন, সুদ ভিত্তিক ব্যাংকগুলোতে আপনি টাকা রাখতে পারেন, এতটুকু আপনার জন্য প্রয়োজনে জায়েজ। কিন্তু সেখান থেকে আপনি লোন নিতে পারবেন না, ব্যাংকে রাখা টাকার সুদ আপনি নিতে পারবেন না। বিকাশ সুদ দেয় তাই বিকাশে কোন ধরনের লেনদেন করা যাবে না এমন নয়। আপনি বিকাশ থেকে কোন সুদ পেলে কোন গরীব মানুষকে সওয়াবের নিয়তে দান করে দিবেন। বিকাশ ছাড়াই যদি লেনদেন করতে পারেন তাই করবেন।