আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 869

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 16 জুন 2008

প্রশ্ন

জনাব, আস্সলামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ। আমি একটি ব্যাক্তিগত বিষয় সর্ম্পকে জানতে চাচ্ছি যে, আমি বিবহীত এবং আমার একটি ছেলে সন্তান আছে যার বয়স মাত্র ১০মাস চলতেছে। বিগত ৪/৫ মাস ধরে আমার স্ত্রীর নিয়মিত পিরিয়ড হয়ে আসছে, তার হিসাব অনুসারে গত জুলাই মাসের ২২ তারিখ ছিল ওর পিরিয়ডের সমায় কিন্তু এখনও হয়নি(আজ ১৬ অগাস্ট)। সহবাসের সময় আমরা সেইফ পিরিয়ড মেন্টেন করি/চেষ্টা করি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে-এমতাবস্থায় সে যদি কনসিভ করে থাকে তাহলে আমার এই ছোট (১০মাস বয়সি) বাচ্ছার একটু সমস্যা হবে বলে আমার স্ত্রী ধারণা করে, কিন্তু সে এখনও নিশ্চিত নয় যে সে কনসিভ করছে কি না। সে আমার কাছে জানতে চায় যে ইসলামী শরীয়তে কোন সুযোগ আছে কি না দুই বাচ্ছার মাঝখানে বিরতি নেয়ার? যদি সে কনসিভও করে। আমি আপনার কাছে জানতে চাচ্ছি যে- ইসলমী শরীয়তের বিধান অনুসারে একটি বাচ্ছা নেয়ার অনন্ত কত মাস /বছর পর্যন্ত বিরতী নেয়া যায়? এবং আমি নিশ্চিত নয় যে আমার স্ত্রী কনসিভ করছে কি না, এমতাবস্থায় কি কোনধরনের ঔষুধ সেবন করা যাবে কি না? শরীয়তের আলোকে বিস্তারিত আলোচনা করলে খুবই উপকৃত হব।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। যদি কনাসিভ কর ফেলে তাহলে গর্ভপাত করার কোন সুযোগ নেই। একটু কষ্ট হলেও মেনে নিতে হবে। তবে মায়ের জীবনের আশংকা থাকলে সেক্ষেত্রে কেবল গর্ভপাত করতে পারেন। আপনি পরীক্ষা করান। যদি কনসিভ করে থাকে তাহলে তা ফেলে দেওয়ার জন্য কোন ঔষুধ সেবন করতে পারবেন না। আর যদি কনসিভ না করে তাহলে অন্য কোন সমস্যা থাকলে সে সমস্যার জন্য ঔষুধ সেবন করতে পারবে। একটি বাচ্চা নেয়ার পর এতটুকু সময় বিলম্ব করে আরেকটি নিতে হবে যাতে আগের বাচ্চার এবং মায়ের স্বাস্থগত কোন সমস্যা না হয়। ইসলাম এক্ষেত্রে কোন সময়সীমা নির্ধারণ কর দেয় নি। এই বিষয়ে ইউটিউবে ড. আব্দুল্লঅহ জাহাঙ্গীর স্যারের রহ. একটি আলোচনা আছে। শিরোনাম: গর্ভের সন্তান কখন নষ্ট করা যায় একটু কষ্ট করে দেখে নিলে আপনাদের জন্য ভাল হবে ইনশাআল্লাহ।