আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 785

জাদু-টোনা

প্রকাশকাল: 24 মার্চ 2008

প্রশ্ন

বিঃদ্রঃ নিচের প্রশ্নের উত্তরটা আমার খুব তাড়াতাড়ি দরকার। দয়াকরে…আমারা স্বামী-স্ত্রী দুজনে practicing Muslim এবং আলহামদুলিল্লাহ আমাদের মধ্যে কোন ঝগড়া বা অসুখী কার্যক্রম নেই। কিন্তু আমার শাশুড়ি তার মেয়েকে (আমার স্ত্রী) অন্য ছেলের সাথে বিয়ে দেয়ার উদ্দেশ্যে আমার স্ত্রী ও আমার মধ্যে সম্পর্ক নষ্ট বা আমাদের বিচ্ছেদর জন্য তাবিজ করছে। এখন আমরা কি ভাবে এসব কাজ থেকে তাকে (আমার শাশুড়ি) বা আমরা মু্ক্ত থাকতে পারি? আমার কি করতে পারি? জাজাকাল্লাহ খাইর

উত্তর

আমরা আপনাদের জন্য দুআ করি আল্লাহ যেন যাবতীয় বিপদ থেকে আপনাদের হেফাজত করেন। আপনারা যেহেতু বিষয়টি জেনে গিয়েছেন তাই এই বিপদ থেকে উদ্ধার পাওয়াও আপনাদেন জন্য সহজ হবে। আপনারা এই দুআগুলো পড়বেন। ইনশাআল্লাহ কোন কিছু আপনাদের কোন ক্ষতি করতে পারবে না। ১। بِسْمِ اللهِ الَّذِيْ لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَيْءٌ فِيْ الأرْضِ وَلاَ فِيْ السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيْعُ العَلِيْمُ উচ্চারণ : বিসমিল্লা-হিল লাযী লা- ইয়ার্দুরু মাআ ইসমিহী শাইউন ফিল আরদি ওয়া লা- ফিস সামা-ই, ওয়া হুআস সামীউল আলীম। অর্থ : আল্লাহর নামে (আরম্ভ করছি), যাঁর নামের সাথে জমিনে বা আসমানে কোনো কিছুই কোনো ক্ষতি করতে পারে না। উসমান (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যদি কোনো বান্দা সকালে ও সন্ধ্যায় তিন বার করে এই দুআটি পাঠ করে তবে সে দিনে ও ঐ রাতে কোনো কিছুই তার ক্ষতি করতে পারবে না। হাদীসটি সহীহ। তিরমিযী (৪৯-কিতাবুদ্দাআওয়াত, ১৩-বাব..ফিদ্দুআ ইযা আসবাহা..) ২/১৭৬; মুসতাদরাক হাকিম ১/৬৯৫, হাইসামী, মাওয়ারিদুয যামআন ৭/৩৭২-৩৭৭। ২। أُعِيْذُكُمْ [أَعُوْذُ] بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لامَّةٍ উচ্চারণ : উঈযুকুম {নিজের জন্য পড়লে: আঊযু} বিকালিমা-তিল্লা-হিত তা-ম্মাতি মিন কুলি শাইতানিওঁ ওয়া হা-ম্মাহ, ওয়া মিন কুলি আইনিল লা-ম্মাহ। অর্থ: আমি তোমাদেরকে আশ্রয়ে রাখছি (অথবা, আমি আশ্রয় গ্রহণ করছি) আল্লাহ পরিপূর্ণ কথাসমূহের, সকল শয়তান থেকে, সকল ক্ষতিকারক পোকামাকড় ও প্রাণি থেকে এবং সকল ক্ষতিকারক দৃষ্টি থেকে। রাসূলুল্লাহ সা.এ বাক্যগুলো দ্বারা হাসান (রা) ও হুসাইন (রা)- কে হেফাজত করাতেন। তিনি বলতেন, ইবরাহীম (আ) এ বাক্যদ্বারা তার দু সন্তান ইসমাঈল ও ইসহাককে (আ) হেফাজত করাতেন। বুখারী (৬৪-কিতাবুল আম্বিয়া, ১২-বাব ইয়াযিফ্ফুন)। সকল মুমিন পিতা ও মাতার উচিত সকাল ও সন্ধ্যায় এ বাক্যগুলো পাঠ করে সন্তানদের ফুঁক দেওয়া ও দুআ করা। এছাড়া প্রত্যেকে নিজের হিফাযতের জন্য সকাল সন্ধ্যায় দুআটি পাঠ করবেন। ৩। সূরা ফালাক ও সূরা নাস পাঠ। আবূ সাঈদ খুদরী (রা) বলেন: রাসুলুল¬াহ সা. মানুষের এবং জিনের নযর থেকে হিফাযতের বিভিন্ন দুআ পাঠ করতেন। যখন সূরা ফালাক ও সূরা নাস নাযিল হলো তখন তিনি অন্যান্য সকল দুআ বাদ দিলেন। হাদীসটি সহীহ। ইবন মাজাহ (৩১-কিতাবুত তিব্ব, ৩২-বাবুল আইন) ২/১১৬১ (ভারতীয় ২/২৫১)। আরো বিস্তারিত জানতে পড়ুন, ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. রচিত, রাহে বেলায়াত গ্রন্থের ৬ষ্ঠ অধ্যায়।