অসংখ্য হাদীসে তাবিজ ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে, তাবিজকে শিরক বলা হয়েছে। আমি শুধু একটি হাদীস উল্লেখ করছি, বাকীগুলো ড. খোনন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. রচিত রাহে বেলায়াত বইয়ের ৬ষ্ঠ অধ্যায় থেকে জেনে নিবেন। সাহাবী উকবা ইবনে আমির আলজুহানী রা. বলেন,
أَنَّ رَسُولَ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أَقْبَلَ إِلَيْهِ رَهْطٌ، فَبَايَعَ تِسْعَةً وَأَمْسَكَ عَنْ وَاحِدٍ، فَقَالُوا: يَا رَسُولَ اللهِ، بَايَعْتَ تِسْعَةً وَتَرَكْتَ هَذَا؟ قَالَ: إِنَّ عَلَيْهِ تَمِيمَةً فَأَدْخَلَ يَدَهُ فَقَطَعَهَا، فَبَايَعَهُ، وَقَالَ: مَنْ عَلَّقَ تَمِيمَةً فَقَدْ أَشْرَكَ অর্থ: একদল মানুষ রাসূলুল্লাহ সা. এর কাছে আগমন করলেন। তিনি তাদের নয় জনের বাইয়াত গ্রহন করেন এবং একজনের বাইয়াত গ্রহন থেকে বিরত থাকেন। তারা বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আপনি নয় জনের বাইয়াত গ্রহন করলেন কিন্তু একে পরিত্যাগ করলেন? তিনি বললেন, এর দেহে একটি তাবিজ রয়েছে । তখন তিনি তার হাত ঢুকিয়ে তাবিজটি ছিড়ে ফেলেন। এরপর তিনি বাইয়াত গ্রহন করেন এবং বলেন, যে তাবিজ ঝুলালো সে শিরক করলো। মুসনাদ আহমাদ,হাদীস নং ১৪৪২২। হাদীসটিকে মুহাদ্দিগণ সহীহ বলেছেন। তাবিজ সংক্রান্ত বিস্তারিত জানতে উক্ত বইটি দেখুন।