আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7073

বিবাহ-তালাক

প্রকাশকাল: 1 অক্টো. 2024

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় শায়েখ
আমার এক বন্ধু এক বিবাহিত নারীর সাথে ৬৮ দিন জেনায় লিপ্ত। দুজনেই পরকিয়ায় লিপ্ত ছিলো। একদিন ওই নারী তার স্বামীর কাছে ধরা পড়ে যায়। তারপর সে মিথ্যার আশ্রয় নিয়ে বলে ছেলেটা আমাকে ডিস্টার্ব করে। তারপর স্বামী স্ত্রী দুজন গিয়ে ছেলের নামে মামলা করে। এভাবেই সর্বত্র জানাজানি হয়ে যায়৷ তাদের বিভিন্ন ঘনিষ্ট মুহুর্তের ছবি ভিড়িও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এমন অবস্থায় ছেলে আল্লাহর ভয়ে ওই মেয়েকে বিয়ে করতে চায়, নয়তো রজম চায়। মেয়ের স্বামী মেয়েকে তালাক দিচ্ছেনা৷ মেয়ের স্বামীর এটা ২য় বিয়ে & তার বয়স ৪০+ হয়েছে৷ তাই তার স্বামী দুনিয়াবি লোভে পড়ে বলতেছে আমার বয়স হয়েছে, আমি দেখতে কালো, আমার বাচ্চা আছে, এমন অবস্থায় আমি আর বিয়েও করতে পারবো না, সবমিলিয়ে আমি তাকে ছাড়বো না। আমি তাকে ক্ষমা করে দিলাম। মেয়েটা অতীতেও অনেক ছেলের সাথে আড্ডাবাজি করেছে৷ সবকিছু স্বামী জানে & বারবার শুধু ক্ষমা করে দেয় কারণ সে এই নারীর প্রতি দুর্বল। আর এই দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে স্ত্রীও এমন জঘন্য কাজ করার সাহস পায়৷ এখন আপনিই বলুন যেই জেনা ব্যবিচারের কথা সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে তার পরেও রজম/বিয়ে না দিয়ে ওই স্ত্রীর সাথে সংসার করা তার জন্য জায়েজ কি ?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। তার জন্য জায়েজ কি না-জায়েজ সে প্রশ্ন সেই ব্যক্তি করবে। আপনর বন্ধুকে বলুন সে যেন তওবা করে এবং ঐ মহিলাকে  বিয়ের কোন চিন্তা ভাবনা না করে। বিয়ে অন্য জায়গাতে করবে, এই মহিলাকে নয়। তার স্বামী যেহেতু তাকে রাখতে চাচ্ছে সেহেতু নতুন করে যেন কোন ঝামেলা আপনার বন্ধু সৃষ্টি না করে। কোন অযুহাতেই যেন ঐ মহিলার পাশে ঘেষার অপচেষ্টা না করে। একবার ঐ ব্যক্তির সর্বনাশ করেছে, এখন নতুন করে যেন তার সংসার ভাঙার চেষ্টা না করে। রজম বা শাস্তি দেয়ার দায়িত্ব সরকারের। সেই দায়িত্ব অন্য কারো নেয়ার দরকার নেই।