আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 7017

বিবিধ

প্রকাশকাল: 1 আগস্ট 2024

প্রশ্ন

আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য ঘটনা। সড়ক দুর্ঘটনা হলে কি চালকের নামে হত্যা মামলা করা যাবে? কখন চালককে হত্যাকারী হিসেবে সাব্যস্ত করা যাবে আর কখন যাবে না? এ বিষয়ে ইসলামের বিধান কী?

উত্তর

সড়ক দুর্ঘটনার বিষয়ে আমাদের একটি ভিডিও আছে। সেখানে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। এখানে সংক্ষেপে শুধু এতটুকু বলছি যে, আমাদের দেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্য ঘটনা এবং মৃত্যুর হার এত বেশি যে, কেউ হাইওয়েতে গেলেই মৃত্যুর ভয় আমাদের তাড়া করে। এরকম অবস্থা আমাদের প্রায় সবারই। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রাসূল সা:-এর দিকনির্দেশনার একটি হলো- আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে, রাস্তায় চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি হয় বা রাস্তায় চলাচলের যে নিয়ম আছে সেগুলো লঙ্ঘনের মাধ্যমে চলাচলে অসুবিধা হয়; এমন কোনো কাজ করা মুসলমানের জন্য জায়েজ নয়। দুঃখজনক হলেও এটাই সত্য যে, এ দেশের রাস্তায় মানুষের চলাচল এবং রাস্তায় অনিয়ম দেখে বোঝার কোনো উপায় নেই যে, এটি সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমানের দেশ। রাসূল সা: বলেছেন, ‘ঈমানের ৭০টিরও বেশি শাখা রয়েছে। তার মধ্যে রাস্তা থেকে কষ্টদায়ক জিনিস দূর করা (সরিয়ে যথাস্থানে ফেলা) হলো সব চেয়ে সাধারণ শাখা।’ এখন আমি যদি রাস্তার মধ্যে গাড়ি দাঁড় করে রাখি, উচ্চ গতিতে গাড়ি চালিয়ে অন্যদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি করি তাহলে সেটি কতই না জঘন্য কাজ। ইসলাম মানুষের উপকার করাটাকে অনেক বড় ইবাদত হিসেবে দেখে। মানুষের ক্ষতি হয় এমন কোনো কাজ করা ইসলামে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সুতরাং রাস্তায় চলার সময় এই বিষয়টি মাথায় রেখে চললে এই সমস্যার অনেকটাই ইনশাআল্লøাহ সমাধান হবে। বিআরটিএ বা মোটরশ্রমিক ইউনিয়নের উদ্যোগে চালক ভাইদের কাউন্সেলিং করার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। আবার রাস্তায় চলাচলের যে নিয়ম আছে সেগুলো অনুসরণ করেই পথচারীদের চলতে হবে। ফুট ওভারব্রিজ থাকলে সেখানে ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি চলাচলে ব্যাঘাত ঘটিয়ে পারাপার করাও গুনাহের কারণ। সবার সমন্বিত প্রচেষ্টায় এটি কমিয়ে আনা সম্ভব। আর যদি চালকের দোষে কোনো মানুষ মারা যায় তাহলে চালককে তার দায়ভার নিতে হবে।