আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 6502

হালাল হারাম

প্রকাশকাল: 18 নভে. 2023

প্রশ্ন

আস-সালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহআমাদের গ্রামে একটি প্রচলিত প্রথা আছে। যদি কোন ব্যক্তি কারো কাছে একটি গরু কিনে লালন পালন করার জন্য দেয় তাহলে মূল মালিকের অর্থাৎ যে ব্যক্তি গরু কিনে দিয়েছে। সে এই গরু বিক্রির পর যত টাকা লভ্যাংশ হবে তার অর্ধেক  নিবে অবশিষ্ট অর্ধেক যে লালন পালন করেছে।

সে এই অর্ধেকের মালিক হবে তবে আমাদের গ্রাম অঞ্চলে যে ব্যক্তি পালন করে সাধারণত তার অতিরিক্ত কোন টাকা খরচ হয় না। কেননা এই যে পশুগুলো ভাগে দেওয়া হয় যার কাছে সেই পশুগুলোকে সে এই পশুগুলোকে মাঠে চড়ায় এতে তার কোন খরচ হয় না। আর সাধারণত অসুস্থ হলে মালিকও এতে খরচ দেয় আর যদি হালকা হয় অসুস্থ তাহলে এটা যার কাছে দেওয়া হয়েছে। সে এটাই বহন করে আর এই যে আমাদের দেশে যে প্রথাটি আছে তা উভয়ের সম্মতিক্রমেই হয় এতে শরীয়তের বিধান কি? এভাবে কি দেওয়া জায়েজ আছে?

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রহ. এর মতে উক্ত পদ্ধতি জায়েজ আছেে। এই বিষয়ে শায়খুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন, وَلَوْ دَفَعَ دَابَّتَهُ أَوْ نَخْلَةً إلَى مَنْ يَقُومُ بِهِ وَلَهُ جُزْءٌ مِنْ ثَمَانِيَةٍ صَحَّ، وَهُوَ رِوَايَةٌ عَنْ أَحْمَدَ অর্থ: যদি কোন ব্যক্তি কাউকে পশু কিংবা গাছ লালন-পালন বা দেখা-শোনার উদ্দেশ্যে দেয় আর তার জন্য তার (পশুর বা ফলের) একটি অংশ নির্ধারণ করা হয় তাহলে সহীহ হবে। এটা ইমাম অহমাদ থেকে বর্ণিত। ফাতাওয়ায়ে কুবরা, ৫/৪০৩। হানাফী মাজহাবে জায়েজ নেই। তবে হাকীমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবী রহঃ বলেছেন-এ পদ্ধতিটি হাম্বলী মাযহাবে জায়েজ। তাই কোন এলাকায় যদি এটি ব্যাপক প্রচলন হয়, আর এ ছাড়া আর কোন পদ্ধতি সহজ না হয়, তাহলে উক্ত পদ্ধতিটি হাম্বলী মাযহাব অনুযায়ী আমাদের মাযহাবেও জায়েজ হিসেবে করা যাবে। {ইমদাদুল ফাতওয়া-৩/৩৪২-৩৪৩} সুতরাং বর্তমানে এটা জায়েজ হিসাবেই ধরা হবে, তবে বিরত থাকা উত্তম।