আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 65

ঈমান

প্রকাশকাল: 4 এপ্রিল 2006

প্রশ্ন

স্যার আপনাকে অশেষ ধন্যবাদ। আমার প্রশ্ন হলো, মৃত্যুর পর আত্মার উপর না শরীরের শাস্তি হবে?

উত্তর

কবরে আযাব হবে, সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত। আত্মার উপর হবে নাকি শরীরে উপর হবে তা স্পষ্ট নয়। তবে মূল আযাব আত্মার উপর হবে আর আত্মার সাথে শরীরের একটি সম্পর্ক থাকেবে বলে আলেমগণ মনে করেন। বিস্তারিত নিম্নে: অনেকগুলো সহীহ হাদীসে কবরের আযাব হওয়ার কথা উল্লোখ আছে। হযরত আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত হাদীস, أَنَّ يَهُودِيَّةً دَخَلَتْ عَلَيْهَا فَذَكَرَتْ عَذَابَ الْقَبْرِ فَقَالَتْ لَهَا أَعَاذَكِ اللَّهُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَسَأَلَتْ عَائِشَةُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم عَنْ عَذَابِ الْقَبْرِ فَقَالَ نَعَمْ عَذَابُ الْقَبْرِ قَالَتْ عَائِشَةُ ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا ، فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم بَعْدُ صَلَّى صَلاَةً إِلاَّ تَعَوَّذَ مِنْ عَذَابِ الْقَبْر زَادَ غُنْدَرٌ عَذَابُ الْقَبْرِ حَقٌّ অর্থ: একজন ইহুদী মহিলা তাঁর (আয়েশা রা.) কাছে এসে কবরের আযাবের কথা উল্লেখ করে তাঁকে বললেন, আল্লাহ তোমাকে কবরের আযাব থেকে রক্ষা করুন। আয়েশা রা. রাসূলুল্লাহ সা. কে কবরের আযাব সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলেন, তিনি বললেন, হ্যাঁ, কবরের আযাব আছে। আয়েশা রা. বলেন, আমি দেখেছি রাসূলুল্লাহ সা. যখনই নামায পড়তেন তখনই কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাইতেন। অন্য বর্ণনায় আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, কবরের আযাব সত্য। সহীহ বুখারী,হাদীস নং ১৩৭২। আযাব কিভাবে হবে সে ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসগুলো নিম্নেরূপ: عَنْ زَاذَانَ عَنِ الْبَرَاءِ بْنِ عَازِبٍ قَالَ : خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى جَنَازَةِ رَجُلٍ مِنَ الأَنْصَارِ فَانْتَهَيْنَا إِلَى الْقَبْرِ وَلَمَّا يُلْحَدْ فَجَلَسَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- وَجَلَسْنَا حَوْلَهُ كَأَنَّمَا عَلَى رُءُوسِنَا الطَّيْرُ وَفِى يَدِهِ عُودٌ يَنْكُتُ بِهِ فِى الأَرْضِ فَرَفَعَ رَأْسَهُ فَقَالَ : ্র اسْتَعِيذُوا بِاللَّهِ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ مَرَّتَيْنِ أَوْ ثَلاَثًا – زَادَ فِى حَدِيثِ جَرِيرٍ هَا هُنَا – وَقَالَ : وَإِنَّهُ لَيَسْمَعُ خَفْقَ نِعَالِهِمْ إِذَا وَلَّوْا مُدْبِرِينَ حِينَ يُقَالُ لَهُ : يَا هَذَا مَنْ رَبُّكَ وَمَا دِينُكَ وَمَنْ نَبِيُّكَ قَالَ هَنَّادٌ قَالَ : وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولاَنِ لَهُ : مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ : رَبِّىَ اللَّهُ. فَيَقُولاَنِ لَهُ : مَا دِينُكَ فَيَقُولُ : دِينِى الإِسْلاَمُ. فَيَقُولاَنِ لَهُ : مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِى بُعِثَ فِيكُمْ قَالَ فَيَقُولُ : هُوَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم-. فَيَقُولاَنِ : وَمَا يُدْرِيكَ فَيَقُولُ : قَرَأْتُ كِتَابَ اللَّهِ فَآمَنْتُ بِهِ وَصَدَّقْتُ زَادَ فِى حَدِيثِ جَرِيرٍ : فَذَلِكَ قَوْلُ اللَّهِ عَزَّ وَجَلَّ (يُثَبِّتُ اللَّهُ الَّذِينَ آمَنُوا) الآيَةَ. ثُمَّ اتَّفَقَا قَالَ : فَيُنَادِى مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ : أَنْ قَدْ صَدَقَ عَبْدِى فَأَفْرِشُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى الْجَنَّةِ وَأَلْبِسُوهُ مِنَ الْجَنَّةِ قَالَ : فَيَأْتِيهِ مِنْ رَوْحِهَا وَطِيبِهَا قَالَ : وَيُفْتَحُ لَهُ فِيهَا مَدَّ بَصَرِهِ قَالَ : وَإِنَّ الْكَافِرَ فَذَكَرَ مَوْتَهُ قَالَ : وَتُعَادُ رُوحُهُ فِى جَسَدِهِ وَيَأْتِيهِ مَلَكَانِ فَيُجْلِسَانِهِ فَيَقُولاَنِ : مَنْ رَبُّكَ فَيَقُولُ : هَاهْ هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِى. فَيَقُولاَنِ لَهُ : مَا دِينُكَ فَيَقُولُ : هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِى. فَيَقُولاَنِ : مَا هَذَا الرَّجُلُ الَّذِى بُعِثَ فِيكُمْ فَيَقُولُ : هَاهْ هَاهْ لاَ أَدْرِى. فَيُنَادِى مُنَادٍ مِنَ السَّمَاءِ : أَنْ كَذَبَ فَأَفْرِشُوهُ مِنَ النَّارِ وَأَلْبِسُوهُ مِنَ النَّارِ وَافْتَحُوا لَهُ بَابًا إِلَى النَّارِ قَالَ : فَيَأْتِيهِ مِنْ حَرِّهَا وَسَمُومِهَا قَالَ : وَيُضَيَّقُ عَلَيْهِ قَبْرُهُ حَتَّى تَخْتَلِفَ فِيهِ أَضْلاَعُهُ زَادَ فِى حَدِيثِ جَرِيرٍ قَالَ : ثُمَّ يُقَيَّضُ لَهُ أَعْمَى أَبْكَمُ مَعَهُ مِرْزَبَّةٌ مِنْ حَدِيدٍ لَوْ ضُرِبَ بِهَا جَبَلٌ لَصَارَ تُرَابًا قَالَ : فَيَضْرِبُهُ بِهَا ضَرْبَةً يَسْمَعُهَا مَا بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ إِلاَّ الثَّقَلَيْنِ فَيَصِيرُ تُرَابًا قَالَ ثُمَّ تُعَادُ فِيهِ الرُّوحُ অর্থ: হযরত বারা ইবনে আযেব রাযি. থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সা. এর সাথে এক আনসারী ব্যক্তির জানাযার জন্য বের হলাম, আমরা যখন সেখানে পৈাছলাম তখন পর্যন্ত কবর খনন সম্পন্ন হয় নি। তখন রাসূলুল্লাহ সা. বসলেন, আমরাও তাঁর চার পাশে বসে গেলাম, যেন আমাদের মাথার উপর পাখি। তাঁর হাতে একটি কাঠি ছিল, যা দ্বারা তিনি মাটিতে দাগ কাটছিলেন। অতঃপর তিনি তার মাথা উঠালেন এবং বললেন তোমরা আল্লাহর কাছে কবরের আযাব থেকে আশ্রয় চাও। তিনি দুইবার বা তিনবার তা বললেন। …অন্য বর্ণনায় আছে, তিনি বললেন, (মৃত ব্যক্তির রুহ) যে ফেরেস্তা তার সাথে চলে তাদের জুতার পায়ের আওয়াজ শুনতে পান। ফেরেস্তারা তাকে বলে তোমার প্রতি পালক কে? তোমার ধর্ম কি? এই ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের মাঝে পাঠানো হয়েছিল? আরেক বর্ণনায় আছে, তিনি বলেন,তার কাছে দুইজন ফেরেস্তা এসে বসবেন ও বলবেন, তোমার প্রতিপালক কে? সে বলবে আমার রব আল্লাহ। এরপর ফেরেস্তাদ্বয় জিজ্ঞাসা করবেন, তোমার ধর্ম কি? সে বলবে আমার দ্বীন ইসলাম। এরপর তারা জিজ্ঞাসা করবেন, এই ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের মাঝে পাঠানো হয়েছিল? সে বলবে তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম। ফেরেস্তারা বলবেন, তুমি কিভাবে এগুলো জানলে? সে বলবে আমি আল্লাহর কিতাব দেখেছি, তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করেছি এবং তাকে সত্য বলে মনে করেছি। এক বর্ণনায় আছে এটাই হল আল্লাহ তায়ালার বাণী আল্লাহ তায়ালা ঈমানদারদের পা কে দৃঢ় করবেন… এর অর্থ। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষনাকারী ঘোষনা করবেন, আমার বান্দা সত্য বলেছে, তোমরা তার জন্য জান্নাতের বিছানা বিছেয়ে দাও, তার জন্য জান্নাতের দিকে একটি দরজা খুলে দাও এবং তাকে জান্নাতের পোশাক বিছিয়ে দাও। তিনি বলেন, তার কাছে সুঘ্রান আসবে এবং তার দৃষ্টি সীমা বৃদ্ধি পাবে। রাসূলুল্লাহ সা. কাফেরের মৃত্যুর অবস্থা বর্ণনা করে বলেন, তার রুহকে তার শরীরের মধ্যে প্রবেশ করানো হবে। এরপর দুজন ফেরেস্তা তার কাছে বসে জিজ্ঞাসা করবেন, তোমর প্রতিপালক কে? সে বলবে, হায়,হায়, আমি জানি না। এরপর ফেরেস্তারা প্রশ্ন করবে, তোমার ধর্ম কি? সে বলবে, হায়, হায়, আমি জানি না। তারপর ফেরেস্তারা প্রশ্ন করবে, এই ব্যক্তি কে যাকে তোমাদের নিকট পাঠানো হয়েছিল? সে বলবে, হায়, হায়, আমি জানি না। তখন আকাশ থেকে একজন ঘোষনাকারী বলবে, সে মিথ্যা বলেছে, তাকে জাহন্নামের বিছানা বিছিয়ে দাও, তাকে জাহান্নামের পোশাক পরিয়ে দাও, তার দিকে জাহান্নামের একটি দরজা খুলে দাও। তারদিকে আগুন আসতে থাকবে। তার উপর তার কবর এমন ভাবে সংকীর্ণ হয়ে যাবে যে, তার দুই পার্শ্ব একে অপরের ভিতর ঢুকে যাবে। আরেক বর্ণনায় আছে, তার জন্য একজন বোবা অন্ধ ফেরেস্তা নিযুক্ত করা হবে, তার কাছে থাকবে লোহর লাঠি, যখন তা দ্বারা কোন পাহাঢ়কে আঘাত করা হয় তখন পাহাঢ় মাটি হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ সা. বলেন, তা দ্বারা সে তাকে এমন ভাবে আঘাত করবে যে, মানুষ ও জ্বীন ছাড়া পূর্ব-পশ্চিমের সব প্রাণী তা শুনতে পাবে। তিনি বলেন, তারপর আবার তার ভিতরে রুহ প্রবেশ করানো হবে। সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং ৪৭৫৩। হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী সহ মুহাদ্দিসগণ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ ، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : إِنَّ الْمُؤْمِنَ إِذَا قُبِضَ أَتَتْهُ مَلاَئِكَةُ الرَّحْمَةِ بِحَرِيرَةٍ بَيْضَاءَ ، فَتَقُولُ : اخْرُجِي إِلَى رَوْحِ اللَّهِ ، فَتَخْرُجُ كَأَطْيَبِ رِيحِ مِسْكٍ حَتَّى إِنَّهُمْ لِيُنَاوِلُهُ بَعْضُهُمْ بَعْضًا يَشُمُّونَهُ ، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ بَابَ السَّمَاءِ ، فَيَقُولُونَ : مَا هَذِهِ الرِّيحُ الطَّيِّبَةُ الَّتِي جَاءَتْ مِنَ الأَرْضِ ؟ وَلاَ يَأْتُونَ سَمَاءً إِلاَّ قَالُوا مِثْلَ ذَلِكَ ، حَتَّى يَأْتُونَ بِهِ أَرْوَاحَ الْمُؤْمِنِينَ فَلَهُمْ أَشَدُّ فَرَحًا بِهِ مِنْ أَهْلِ الْغَائِبِ بِغَائِبِهِمْ ، فَيَقُولُونَ : مَا فَعَلَ فُلاَنٌ ؟ فَيَقُولُونَ : دَعُوهُ حَتَّى يَسْتَرِيحَ ، فَإِنَّهُ كَانَ فِي غَمِّ الدُّنْيَا ، فَيَقُولُ : قَدْ مَاتَ ، أَمَا أَمَاتَكُمْ ؟ فَيَقُولُونَ : ذُهِبَ بِهِ إِلَى أُمِّهِ الْهَاوِيَةِ ، وَأَمَّا الْكَافِرُ فَيَأْتِيهُ مَلاَئِكَةُ الْعَذَابِ بِمُسْحٍ ، فَيَقُولُونَ : اخْرُجِي إِلَى غَضِبِ اللَّهِ ، فَتَخْرُجُ كَأَنْتَنِ رِيحِ جِيفَةٍ فَتَذْهَبُ بِهِ إِلَى بَابِ الأَرْضِ. অর্থ: আবু হুরায়রা রা. নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন যে, যখন মূমিন মৃত্যু বরণ করেন তখন রহমতের ফেরেস্তারা সাদা রেশমী কাপড় নিয়ে তার কাছে আসেন এবং বলেন, আল্লাহ শান্তির দিকে বের হও। তখন সে এমন অবস্থায় বের হয় যেন উত্তম সুগন্ধি। আর ফেরেস্তারা একে অপরে সেই সুগন্ধি গ্রহন করেন। এভাবে তারা তাকে নিয়ে আকাশের দরজার কাছে নিয়ে আসে। (সেখানে দায়িত্ব থাকা ফেরেস্তারা) বলেন, এই উত্তম সুগন্ধি কিসের যা পৃথিবী থেকে এসেছে? তারা যে আকাশের কাছেই যাবে তার দায়িত্ব থাকা ফেরেস্তারা অনুরুপ বলবেন। এভাবে তারা তাকে মূমিনদের রুহুর কাছে নিয়ে আসে, তার তাকে দেখে ফেরেস্তাদের থেকেও বেশী খুশি হয়। তারা জিজ্ঞাসা করবে, অমুকের খবর কি? ফেরেস্তারা বলবে, তাকে ছেড়ে দাও, সে বিশ্রাম নিবে কেননা সে দুনিয়ার কষ্টের মধ্যে ছিল। সে (রুহ) বলবে, সে তো মারা গেছে, তোমাদের কাছে আসে নি? তারা বলবে তাকে হাবিয়া (একটি জাহান্নামের নাম) নিয়ে যাওয়া হয়েছে। পক্ষান্তবে কাফের, তাদের কাছে আযাবের ফেরেস্তারা দুর্গন্ধ কাপড় নিয়ে তার কাছে আসে আর বলে, আল্লাহর ক্রোধের দিকে বের হও। তখন সে এমন অবস্থায় বের হয় যেন তা পঁচা দুর্গন্ধ কাপড়। তারা তাকে নিয়ে পৃথিবীর দরজায় নিয়ে যায়। সহীহ ইবনে হিব্বান, হাদীস নং ৩০১৪। শাইখ আলবানীসহ অন্যান্য মুহাদ্দিসগণ হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। দেখন সহীহ তারগীব ওয়াত তারহীব,হাদীস নং৩৫৫৯ ও সিলসিলাতুস সহীহাহ হাদীস নং ১৩০৯। উপরুক্ত হাদীসদুটি দ্বারা বুঝা যায়, আযাব রুহ এবং শরীর উভয়টির উপরই হবে। এই সম্পর্কে আল্লামা ইবনে তাইমিয়া বলেন, فَاعْلَمْ أَنَّ مَذْهَبَ سَلَفِ الْأُمَّةِ وَأَئِمَّتِهَا أَنَّ الْمَيِّتَ إذَا مَاتَ يَكُونُ فِي نَعِيمٍ أَوْ عَذَابٍ وَأَنَّ ذَلِكَ يَحْصُلُ لِرُوحِهِ وَلِبَدَنِهِ وَأَنَّ الرُّوحَ تَبْقَى بَعْدَ مُفَارَقَةِ الْبَدَنِ مُنَعَّمَةً أَوْ مُعَذَّبَةً وَأَنَّهَا تَتَّصِلُ بِالْبَدَنِ أَحْيَانًا فَيَحْصُلُ لَهُ مَعَهَا النَّعِيمُ وَالْعَذَابُ . ثُمَّ إذَا كَانَ يَوْمُ الْقِيَامَةِ الْكُبْرَى أُعِيدَتْ الْأَرْوَاحُ إلَى أَجْسَادِهَا وَقَامُوا مِنْ قُبُورِهِمْ لِرَبِّ الْعَالَمِينَ … وَهَذَا كُلُّهُ مُتَّفَقٌ عَلَيْهِ عِنْدَ عُلَمَاءِ الْحَدِيثِ وَالسُّنَّةِ অর্থ: জেনে রাখা দরকার যে, পূর্ববর্তী উম্মাত এর্ব ইমামদের মত হল, মৃত্যুর পরে মানুষ আযাব অথব নিয়ামতের মধ্যে থাকবে। আর এটা তার রুহ এবং শরীরের সাথে সম্পৃক্ত হবে। রুহ শরীর থেকে বিচ্ছন্ন অবস্থায় আযাব অথবা নিয়ামতের মধ্যে থাকবে। তবে কখনো কখনো শরীরের সাথে যুক্ত হবে আর তখন তার রুহের সাথে শরীরো আযাব বা নিয়ামাতে শরীক হবে। এরপর যখন কিয়ামত হবে তখন রুহগুলোকে শরীরের মধ্যে প্রবেশ করানো হবে আর তারা আল্লাহ রব্বুল আলামীনের উদ্দেশ্যে কবর থেকে উঠবে। সুন্নাহ ও হাদীসের আলেমগণ একথার উপর ঐক্যমত। মাজমাউল ফাতাওয়া,৪/২৮৪। শাইখ উসাইমিন রহ. বলেন, الأصل أنه على الروح ، لأن الحكم بعد الموت للروح ، والبدن جثة هامدة ، ولهذا لا يحتاج البدن إلى إمداد لبقائه ، فلا يأكل ولا يشرب ، بل تأكله الهوام ، فالأصل أنه على الروح অর্থ. মূল কথা হল আযাব রুহের উপরই হবে । কেননা মৃত্যুর পর হুকুম রহের উপর। আর শরীর তখন একটা অষাঢ় দেহ। এই কারণেই তখন তা (শরীর) বাকী থাকার জন্য কোন সাহায্যের মুকাপেক্ষী হয় না, কোন কিছু খায় না, পান করে না। বরং পোকমাকড়ই তাকে খেয়ে ফেলে। সুতরাং মূল হল আযাব রুহুর উপরই হবে। উপরের আলোচনা থেকে জানা গেল যে, কবরের আযাব হবে এটা সত্য। এটাকে অস্বীকার করার উপায় নেই। আর আযাব মূলত রুহর উপর হবে তবে রুহুর সাথে শরীরের একটা গভীর সংযোগ থাকবে। আল্লাহ ভাল জানেন।