আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 628

তাওহীদ

প্রকাশকাল: 19 অক্টো. 2007

প্রশ্ন

আমি বিশ্বাস করি আল্লাহর কাছে চাইতে কোন মাধ্যম প্রয়োজন হয় না। আমরা প্রতি মোনাজাতে তাই কামনা করতেছি, কোন মাধ্যমের কাছে তো চাই না। হে আল্লাহ— বলেই সব চাওয়া একমাত্র আল্লাহর কাছেই চাই। কেন মাধ্যম দরকার? কিন্তু তাদের সাথে যুক্তি- তর্কে পারা যাবে না, বাস্তবতার সাথে কিছু ব্যাপার দাড় করিয়ে দিয়ে – তারা বলে প্রধানমন্ত্রীর সাথে সরাসরি দেখা করতে পার? না; তাহলে মাধ্যম দরকার হয়। একজন বলে যতই দোয়া করেন দোয়া আল্লাহর কাছে পৌছাবে না, নবী র দুরুদ পাঠ না করলে, তারা বলতে চায় এটাও মাধ্যম। নবী আমাদের জন্য সুপারিশ কেন করবে বলেন তো? ওমুক বাবা এটা করতে বলছে, ওমুক বাবা এটা নিষেধ করেছে। রোগ হলে ডাক্তারদের কাছে কেন যেতে হয়? আল্লাহর ক্ষমতা ও বাস্তবতা নিয়ে নানান যুক্তি উপস্থাপন করা, ইত্যাদি ইত্যাদি, নানান যুক্তি উপস্থাপন করা হয়। তাদের কে কিভাবে বোঝানো যাবে একটু বলবেন কি?

উত্তর

আপনি আপনার বিশ্বাসের উপর অটল থাকুন। তাদের এমন কথার জবাবে আপনি বলবেন: ১। প্রধানমন্ত্রী আমাদের কথা শুনতে পান না তাই মাধ্যম লাগে। আল্লাহ সবার কথা শুনতে পান তাই মাধ্যম লাগে না। কুরআনে যে আমাকে ডাকবে আমি তার ডাকে সাড়া দিবো। وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ । সূরা বাকারাহ, আয়াত ১৮৬। দরুদ পাঠ না করলে দুআ কবুল হয় না এটাও ঠিক না । কুরআনের এই আয়াতে আল্লাহ বলেছেন বান্দা ডাকলেই অর্থাৎ দুআ করলেই আমি সাড়া দেব। তাহলে দরুদ জরুরী কেন হবে বলুন? তবে দরুদ পড়া অনেক সওয়াবের কাজ। কোন বাবার কথাতো আর দলীল নয় দলীল কুরআন-সুন্নাহ, সাহাবীদের কাজ। রোগ হলে ডাক্তারের কাছে যাওয়া এটাই সুন্নাত। রোগ হলে আল্লাহর কাছে দুআ করতে হবে আর চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। মনে রাখবেন দুআ একটি ইবাদত, তা সুন্নাহ নির্দেশিত পন্থাতেই হতে হবে। অসুস্থাতা থেকে সুস্থতা একটা জাগতিক কাজ এখানে জাগতিকভাবেই সমাধান করতে হবে। তবে আল্লাহ তায়ালার কাছেতো দুআতো করতেই হবে। বিষয়টি বিস্তারিত জানতে আপনি ড. আব্দুল্লঅহ জাহাঙ্গীর রচিত কুরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী আকীদা বইটি পড়ুন। ওখানে আপনার সব প্রশ্নের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা আছে।