আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আমার প্রশ্ন হলঃ- ১. ইসলাম কী দাস রাখা সমর্থন করত। ২. যদি কোন মেয়ে টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে দেয়, তাহলে কী সে দাসী হিসেবে গণ্য হবে।
ক্যাটাগরি
প্রশ্নোত্তর 5891
জায়েয
প্রকাশকাল: 17 মার্চ 2022
আসসালামু আলাইকুম শায়েখ, আমার প্রশ্ন হলঃ- ১. ইসলাম কী দাস রাখা সমর্থন করত। ২. যদি কোন মেয়ে টাকার বিনিময়ে নিজেকে বিক্রি করে দেয়, তাহলে কী সে দাসী হিসেবে গণ্য হবে।
ওয়া আলাইকুমুস সালাম। তৎকালীন সমাজ ব্যবস্থা সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় অনেকেই এই বিষয়টি নিয়ে বিভ্রান্তিতে পতিত হন। ইসলামের আগমনের সময় বিশ্বব্যাপী দাস-দাসীর প্রচলন ব্যপক আকারে ছিল। বিশ্বব্যাপী যুদ্ধনীতি ছিল যুদ্ধে পরাজিত গোত্রের মহিলা ও শিশুরা দাস-দাসী হিসেবে গণ্য হবে। বিজয়ী বাহিনীর পক্ষ থেকে সৈন্যদের মাঝে এই মহিলাদেরকে দাসী হিসেব বন্টন করা হবে। যে সৈন্যের মালিকানায় যে মহিলাকে দাসী হিসেবে দেওয়া হতো সেই মহিলার সাথে ঐ সৈন্য ইচ্ছা করলে স্ত্রীর মত আচরন করতে পারতো। তবে সে বাদে অন্য কেউ তার সাথে স্ত্রীর মতে আচরণ করার অধিকার ছিল না। এটা ইসলাম আসার আগে থেকেই ব্যাপকভাবে প্রচলিত ছিলো।ইসলাম এর প্রচলন করে নি বা এটাকে ভালো প্রচলন হিসেবেও প্রচার প্রাসার করে নি বরং নির্মূলের জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহন করছে। ইসলাম মানুষকে দাস-দাসী করতে চায় না, বরং স্বাধীনতা চায়। এই জন্য বিভিন্ন পাপের কাফফারা হিসেব দাস-দাসী আজাদ করার আদেশ করেছেন। সাহাবীরা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী ব্যাপক পরিমাণে দাস-দাসী ক্রয় করে আজাদ করেছে। রাসূলুল্লাহ সা. দাস-দাসী আজাদ করার ব্যাপক সওয়াবের কথা বলেছেন। এই বিষয়ে আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর জানতে এবং আপনার চিন্ত দূর করে হৃদয়কে প্রশান্ত করতে এখনই সংগ্রহ করে পড়বেন “ভ্রান্তির বেড়াজালে ইসলাম” নামক বইটি। লেখক সৈয়দ কুতুব। যে কোন বড় লাইব্রেরীতে পাবেন।
২। না, টাকার বিনিময়ে কেউ নিজেকে বিক্রি করলে সে দাসী হিসেবে গণ্য হবে না।