না, মোটেও না। হাদীস ছাড়া কুরআনের কোন আমলই সঠিকভাবে করা সম্ভব নয়। কোন কোন আমল আদৌ করা সম্ভব নয়। যেমন, কুরআনে শুধু সালাত কায়েম করার কথা আছে। কীভাব সালাত কায়েম হবে তা আদৌ নেই। সুতরাং হাদীস ছাড়া সালাত কায়েম করা সম্ভব নয়। কুরআনে যাকাতে কথা আছে। কাকে, কখন, কতটুকু যাকাত দিতে হবে কুরআনে নেই। হাদীসে বিস্তারিত আছে। হজ্ব, জিহাদের ক্ষেত্রেও একই কথা। কুরআনে বারবার আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, أَطِيعُواْ ٱللَّهَ وَأَطِيعُواْ ٱلرَّسُولَ অর্থাৎ তোমরা আল্লাহ ও তার রাসূলের আনুগত্য করো। সূরা মুহাম্মাদ, আয়াত ৩৩। সূরা হাশরের ৭নং আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ রাসুল তোমাদেরকে যা দেয়, তা তোমরা গ্রহণ কর এবং যা থেকে তোমাদেরকে নিষেধ করে তা থেকে বিরত থাক এবং তোমরা আল্লাহর তাকওয়া অবলম্বন কর; নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি দানে কঠোর। সুতরাং হাদীস ছাড়া কুরআন মানা সম্ভব নয়, যারা হাদীস ছাড়া কুরআন মানার দাবি করে তারা হাদীসের সাথে সাথে কুরআনকেও অস্বীকার করছে। কারণ কুরআনে আল্লাহ রাসূলের আনুগত্য করার, তার কথা কাজ মেনে নেওয়ার আদেশ দেয়া হয়েছে।এরা বাতিল সম্প্রদায়, এদের থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকতে হবে। সহীহসূত্রে বর্ণিত সকল হাদীস মেনে নিতে হবে। মুহাদ্দিসগণ যে কথাগুলোকে বানোয়াট বলেছেন সেগুলো বর্জন করতে হবে।