আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5180

জানাযা-কবর যিয়ারত

প্রকাশকাল: 5 এপ্রিল 2020

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম, হুজুর, আমাদের গ্রামের হুজুর বলে বেনামাজীর যানাযা নামাজ কোনো খতিব পড়াতে পারবে না। তাই গ্রামে কোনো বেনামাজি মারা গেলে তিনি কঠোর ভাষায় এগুলা বলে এবং নিজে নামাজ না পড়িয়ে তার ছাত্রদের বা কম জানা কাউকে দিয়ে নামাজ পড়িয়ে থাকেন। এজন্যে এই বিষয়টি নিয়ে গ্রামে অনেক সমালোচনা হয় । আমাদের গ্রামের হুজুরের এরকম কথা এবং কাজ কি ঠিক? বানামাজীর যানাযা বিষয়ে কুরআন,হাদিসের নির্দেশনা কি?

উত্তর

উত্তম: ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনাদের গ্রামের হুজুর ঠিক কাজই করেন। হাদীসে আছে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, بكروا بالصلاة في يوم الغيم فإنه من ترك الصلاة فقد كفر তোমরা মেঘলা দিনে তাড়াতাড়ি নামায পড়ো, কেননা যে নামায ছেড়ে দিবে সে কাফের হয়ে যাবে। সহীহ ইবনু হিব্বান, হাদীস নং ১৪৬৩। হাদীসটি সহীহ। অন্য হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلاَةِ অবশ্যই মূমিন ব্যক্তি এবং কুফর ও শিরকের মাঝে পার্থক্য হলো নামায ছেড়ে দেয়া। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৬। এই সব হাদীসের ভিত্তিতে বহু আলেম বলেছেন, ইচ্ছাকৃত নামায ছেড়ে দিলে কাফের হয়ে যাবে। আবার অনেকে বলেছেন, কাফের হবে না তবে বড় গুনাহ হবে। সুতরাং ইচ্ছাকৃত যে নামায ছেড়ে দিয়েছে সেই হয় কাফের নয়তো বড় ধরণের পাপী। তাই তার সাথে স্বামী মূমিনের মত আচরণ না করা উত্তম। আপনাদের গ্রামের আলেম উত্তম কাজই করছেন।