আসসালামুআলাইকুম। (গায়ে ১০২ জ্বর তাও লিখছি, একটু মানষিক শান্তি আর সমাধানের আশায়, ভুল ত্রুটি ক্ষমা করবেন। ) কথাগুলো এর আগে কোথাও প্রকাশ করিনি আমি। আমার বয়স ২০ বছর (অবিবাহিত)। মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে আমি চড়ম কৃতজ্ঞ। কেন তা আলাদা করে বলার কিছু নেই। আমার ক্ষুদ্র জীবনের একমাত্র উদ্দেশ্য( Aim In Life) মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর মুহাম্মদ সাঃ এর আদর্শকে আকড়ে ধরে বাঁচা। আলহামদুলিল্লাহ প্রাকটিসিং মুসলিম পরিবারের ছেলে হওয়ায় মনের মধ্যে হারাম হালালের বিষয়ে সতর্কতা অনেকটাই ছিলো। আমার পক্ষে যতটা সম্ভব আমি নিজেকে সবরকমের হারাম থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করতাম। নিজের চোখের হেফাজত করতাম। যতটা সম্ভব হারাম থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করতাম। কিন্তু শয়তানের প্ররোচনায় খারাপ বন্ধু-বান্ধবের সঙ্গতে আমার পরিচয় হয় পর্নের জগতের সাথে। ঐদিনটাই আমার জীবনের ধ্বংসের শুরু ছিল। না চাইতেও আমি আসক্ত হয়ে পড়ি জঘন্য দুনিয়ায় সাথে। এক নতুন জগৎ, নিজের সাথে যুদ্ধ ছিল প্রতিদিনের বেপার। আল্লাহর কাছে কতদিন কতরাত কাদসি ঠিক নেই। ইসলামকে আকড়ে ধরার চেষ্টায় পাগল হয়েছি। কিছুদিন পারলেও আবার হটাৎ কোন কারনে জড়িয়ে পড়ছি অন্ধকার জগতে। আমার নিজস্ব মোবাইল ব্যাবহার বন্ধ করছি, খারাপ বন্ধু বান্ধব ত্যাগ করছি, বই ইন্টারনেট অনেক যায়গায় সমাধান খুঁজছি, কেন যেন এই নিলর্জ দুনিয়া আর শয়তানের প্ররোচনা আমার পিছু ছাড়ছে না। টিভি, রাস্তা ঘাটে,কলেজে, রাস্তার বিলবোর্ডে, খাবারের প্যাকেটে সবজায়গায় অশ্লীলতা! ঐগুলা সরাসরি পর্ন না হলেও ট্রিগার হিসাবে কাজ করে। ধ্বংস ঐ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ ছিলো না। কিছু দিন আগে আমি আমার এক আত্বিয়ের সাথে !! যেনার কাছাকাছি কিছু একটা করে বসি!!(অনেক কষ্টে নিজেকে রক্ষা করেছি দৌহিক মিলন হয়নি, তাছাড়া সবটাই হয়)। এইগুলা বলতেও কেমন লাগতেছে আমিই জানি!
ঐদিনের ঘটনা আমার মনকে ছিঁড়ে খাচ্ছে। নিজের প্রতি ঘৃণা, অনুতাপ,অনুশোচনা বাঁচতে দিচ্ছে না। আল্লাহ আত্মহত্যার অনুমতি দেননি তাই পারছিনা, বোঝার মতো হয়ে গেছে জীবন। আল্লাহর কাছে কাঁদতে কাঁদতে ক্লান্ত। স্থায়ী সমাধান নেই। পরিবার সব মানতে রাজি কিন্তু কমবয়সে বিয়ে? ঐটা যেন চরম অন্যায় কাজ! লজ্জায় আমার পরিস্থিতি ওদেরকে বলতেও পারি না। যদি বিয়েও করি। মনে হয় কিভাবে আমার স্ত্রীকে নিজের মুখ দেখাবো? খোজ নিয়ে যানসিলাম, ইসলামে এমন ঘটনা স্ত্রীকে না জানানোর বিষয়ে জোর দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু পাপগুলো মনের মধ্যে চেপে রেখে কিভাবে ধোঁকা দেব তাকে? সে যদি এমন কিছু করতো আমি ত মেনে নিতাম না। আমার মতে পর্নোগ্রাফি একটা সাধারণ মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিয়ে তাকে ধর্ষক,পতিতা,সমকামি,পরকিয়ায় লিপ্ত করে দেয়!বাচ্চা থেকে বৃদ্ধা, মেহেরাম থেকে নন মেহেরাম!, মানুষ থেকে অন্য প্রানি!,লিভিং অবজেক্ট থেকে ননলিভিং বাদ যায়না এই নোংরা দুনিয়ায়। নিয়ন্ত্রনহীন হস্তমৈথন, অবাস্তব সেক্স ফ্যান্টাসি জাতি শেষ করে দিয়ে যাচ্ছে। একটা স্টাটিসটিক থেকে জানছিলাম প্রায় ৮০% যুবক পর্ন আসক্ত আর বাকি ২০% এর সাথে পরিচিত। এমন কিছু একটা। তাছাড়া ৯০% পর্ন কনজিউমার হলো মুসলিম কান্ট্রি। কারন এরা কমবয়সে যেনা মেনে নেয় কিন্তু বিয়ে না। আমার ত এমনিতেই মরে যেতে ইচ্ছা হয় যখন ১১/১২ বছরের ছেলেদের পর্ন নিয়ে হাসিঠাট্টা করতে শুনি। কেন জানি সমাজকে মনে হয় ঘুনে ধরা ফার্নিচার এর মতো। বাইরে ফিটফাট ভেতরে সদরঘাট। করোনা মহামারী নিয়ে সবাই খুব ভীত আতঙ্কগ্রস্থ কিন্তু পর্নোগ্রাফি নামের স্লো পয়জন তিলে তিলে সবটা ধ্বংস করে দিচ্ছে সেই বিষয়ে সবাই উদাসিন। আজও আমরা অসচেতন+ মানতে রাজি না আমার ছোট্ট ভদ্রছেলেটা/মেয়েটাও ডুবে যেতে পর্নের জঘন্য সাগরে। আমাদের অসচেতনতার জন্যেই ১০/১১ বছরের ছেলে মেয়ে হয়ে ওঠে ধর্ষক,পতিতা,যেনাকারি,সমকামি!!!