আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 5015

হালাল হারাম

প্রকাশকাল: 23 অক্টো. 2019

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম। একটা ই-কমার্স সাইট বাজারে থেকে অনেক কম দামে বিভিন্ন প্রোডাক্ট দিচ্ছে যদিও ৪/৫ মাস পর। আমি সেখান থেকে বাইক কিনে পরবর্তীতে তা আরেকটু ভালো দামে সেল করতে চাই। কিন্তু সমস্যা হলো, তারা কিছু কিছু সময় বাইক না দিয়ে বর্তমান বাজার মূল্যের চেক দেয় যা অফারের মূল্যের চেয়ে বেশি। টাকার বদলে টাকা নেয়া তো অবশ্যই স্পষ্টত সুদ। কিন্তু আমি যেহেতু ব্যবসা করতে চাচ্ছি, তাই আমি জানতে চাচ্ছি বিষয়টা। আমি যদি ২ লাখ টাকার বাইক অফারে ১ লাখ টাকা দিয়ে কিনতে চাই সেক্ষেত্রে তারা বাইক না দিয়ে ২ লাখ টাকা মূল্যের চেক দিয়ে দিলো। আমি যদি সেই ২ লাখ টাকা দিয়ে বাইক কিনে পরবর্তীতে ১.৭/১.৮ লাখ টাকায় বিক্রি করি তাহলে তা কি জায়েজ হবে? তারা যদি আমাকে বাইকও দিতো তাহলেও আমি একই দামে বিক্রি করার চেষ্টা করতাম। এটা শুধু বাইক নয় অন্য যেকোনো প্রোডাক্টের ক্ষেত্রে করা যাবে কি? জায়েজ হবে? আমি আসলে সুদের সাথে কোনোভাবেই সম্পৃক্ত হতে চাচ্ছি না। তাই এটা জানা প্রয়োজন।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এই সব ই-কমার্স থেকে কেনাকাটা করা বিভিন্ন কারণে সম্পূর্ণ না জায়েজ।এই ই-কমার্সগুলো মানুষকে কী পরিমাণ ধোকা দিয়েছে, এটা সবার জানা হয়ে গিয়েছে। ইভালী, ই-অরেঞ্জসহ এই কোম্পানীগুলোর মানুষের টাকা নিয়ে সব আত্মসাত করেছে। বাজার মূল্যের চেয়ে অর্ধেক হলে একটি স্বাভাবিক প্রশ্ন চলে আসে বাকী টাকা তারা কোথায় পাবে? এই প্রশ্রের উত্তরও এখন নিশ্চয়সবার জানা হয়ে গেছে যে, তারা আসলে এভাবে মানুষের থেকে শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে অফিস, ফোন সব বন্ধ করে মানুষদেরকে সর্বস্বান্ত করেছে। দুয়েকজনকে পণ্য দিয়ে লোভ দেখিয়ে হাজার হাজার মানুষের শত শত কোটি টাকা তার নিজেদের পকেটে পুরেছে। এখন কিছু মামলা হবে, তবে এতে গ্রাহকরা তাদের মূল টাকাও পাবে না, ডাবল মূল্যেল পণ্য তো দূরের কথা। এই ধরণের ধোকার সুযোগ যে ব্যবসাতে থাকে ইসলাম তার অনুমতি দেই না। বিস্তারিত জানতে দেখুন আমাদের দেয়া 5217 নম্বর প্রশ্নের উত্তর দেয়া ।