এই ধরণের প্রতিযোগিতামূলক খেলার আয়োজন করা উচিৎ নয়। নীচে খেলাধুলোর মূলনীতি নিয়ে আলোচনা করা হলো, আশা করি আপনার উত্তর পেয়ে যাবেন। খেলাধুলা প্রধানত দুই ধরনের। ১। জিহাদেন জন্য সহায়ক এমন খেলাধুলা। যেমন সাতার, তীর চালনা, ঘোড়া চালনা ইত্যাদি। এগুলো জায়েজ। ২। জিহাদের জন্য সহায়ক নয় এমন খেলাধুলা। এগুলো আবার দুই প্রকার। ১। হাদীসে নিষেধাজ্ঞা আছে এমন খেলা। যেমন পাশা খেলা। সহীহ মুসলিমের হাদীসে (হাদীস নং ২২৬০) রাসূলুল্লাহ সা. এই খেলা থেকে নিষেধ করেছেন। সুতরাং এই ধরনের খেলা হারাম। ২। হাদীসে নিষেধাজ্ঞা নেই এমন খেলা। এগুলো আবার দুই ভাগে বিভক্ত। ১। এমন খেলা যাতে হারাম জিনিসের উপস্থিতি থাকে বা প্রয়োজন হয়। যেমন বিভিন্ন ধরনের প্রতিমূর্তি এবং প্রাণীর ছবি। এই খেলাগুলো হারাম। ২। কোন হারাম জিনিস থাকে না। যেমন ফুটবল, ক্রিকেট, টেবিল টেনিস ইত্যাদি। এই ধরনের খেলা কয়েকটি শর্তসাপেক্ষে জায়েজ। ১। জুয়া থেকে মুক্ত হতে হবে। অর্থাৎ বাজি ধরে খেলতে পারবে না। ২। আল্লাহ তায়ালার যিকির থেকে বিরত রাখবে না। যেমন, নামায থেকে রিবত রাখবে না। এবং অন্যান্য ওয়াজিব আনুগত্য থেকেও বিরত রাখবে না। যেমন পিতামাতার দেখাশোনা, সন্তানদের খোঁজখবর নেয়া ইত্যাদি। ৩। খেলোয়াড় তার অধিকাংশ সময় খেলাধুলার পিছনে লাগাবে না। মানুষের মাঝে খেলোয়াড় হিসাবে প্রসিদ্ধ হবে না। খেলাকে পেশা হিসাবে গ্রহণ করবে না। খেলাকে পেশা হিসাবে গ্রহন করার বিষয়ে কুরআনে সতর্ক করে বলা হয়েছে الَّذِينَ اتَّخَذُواْ دِينَهُمْ لَهْوًا وَلَعِبًا وَغَرَّتْهُمُ الْحَيَاةُ الدُّنْيَا فَالْيَوْمَ نَنسَاهُمْ كَمَا نَسُواْ لِقَاء يَوْمِهِمْ هَذَا
যারা তাদের ধর্মকে খেলাধুলারূপে গ্রহণ করবে এবং দুনিয়ার জীবন যাদেরকে ধোঁকায় ফেলবে আজ আমি তাদেরকে ভুলে যাবে যেমনভাবে তারা আজকের সাক্ষাতকে (কিয়ামতকে) ভুলে গিয়েছিল। সূরা আরাফ, আয়াত নং ৫১। ৪। খেলার কোন নির্দিষ্ট সময় থাকবে না। যেমন ৬০ মিনিটি, তিন ঘন্টা ইত্যাদি। এই হলো সংক্ষেপে খেলাধুলার মূলনীতি। তথ্যসূত্র, আল-ইসলাম সুয়াল ও জওয়াব, প্রশ্ন নং ২২৩০৫। (ইন্টাননেট, আরবী)। মোট কথা কিছু খেলা শর্তসাপেক্ষে জায়েজ । কিন্তু বর্তমানে এই সব খেলা মানুষদেরকে আল্লাহর জিকির থেকে বিরত রাখছে, বিভেদের কারণ হচ্ছে, ইচ্ছা অনিচ্ছায় অনেক হারামের ভিতর লিপ্ত করছে। সুতরাং খেলাধুলা থেকে বিরত থাকার মধ্যেই কল্যান ও বরকত।