হ্যাঁ। কাউকে মুশরিক বলার অর্থ তাকে কাফেরও বলা। মুশরিক মাত্রই কাফের। বিষযটি নিচে বিস্তারিত আলোচনা হল। কুফ্র আরবী শব্দ। কুফ্র এর আভিধানিক অর্থ হলো অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের (স.) উপর এবং ঈমানের রুকনগুলোতে বিশ্বাস না থাকাকেই কুফর বলে। শিরক শব্দটিও আরবী। শিরক এর আভিধানিক অর্থ হলো অংশীদার করা বা বানানো, সহযোগী বানানো ইত্যদী। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আল্লাহর কোনো বিষয়ে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা আল্লাহর প্রাপ্য কোনো ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য পালন করা বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকাকে ইসলামী পরিভাষায় শিরক বলে। ইসলামী পবিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় কুফর বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহংকার, ইত্যাদি যে কোন কারনে যদি কারো মধ্যে ঈমান বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলে গণ্য করা হয়। অনুরুপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামের পরিভাষায় শিরক বলা হয়। কুফর ও শিরক পরস্পর অবিচ্ছ্যেভাবে জড়িত। কাউকে কোনোভাবে কোনো বিষয়ে মহান আল্লাহর সমকক্ষ বা তুলনীয় মনে করার অর্থই তাঁর একত্বে অবিশ্বাস বা কুফরী করা। আল্লাহর তাওহীদ ও রাসূলগণের দাওয়াতে অবিস্বাস না করে কেউ শিরক করতে পারে না। কাজেই মুশরিক মাত্রই কাফের বলে গণ্য হবে। অপরদিকে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ না মেনে ঈমানের কোনো রুকন অবিশ্বাস করলে তা শুধু কুফর বলে গণ্য। সুতরাং কাফের মাত্রই মুশরিক নয়। যেমন যদি কেউ আল্লাহর অস্তিত্বে বা তাঁর প্রতিপালনের একত্বে অবিশ্বাস করে বা মুহাম্মাদ (স.) এর রিসালাত, খাতমুন নবুওয়াত ইত্যাদি অস্বীকার করে তবে তা কুফ্র হলেও বাহ্যত তা শিরক নয়। কারণ এরুপ ব্যক্তি সুস্পষ্ট ভাবে কাউকে আল্লাহর সাথে তুলনীয় দাবি করছে না। তবে প্রকৃতপক্ষে এরুপ কুফরের সাথেও শিরক জড়িত। কারন এরুপ ব্যক্তি কোন না কোন ভাবে এ জড় বিশ্বকে মহান আল্লাহর মত অনাদি-অনন্ত বলে বিশ্বাস করছে, বিশ্ব পরিচালনায় প্রকৃতি বা অন্য কোন শক্তিকে বিশ্বাস করছে। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কাউকে মুশরিক বলার অর্থই হলো তাকে কাফেরও বলা। মুশরিক মাত্রই কাফের। তবে সকল কাফের সাধারণ ভাবে মুশরিক নয়। একটি কথা মনে রাখা জরুরী যে, কেউ কুফুরী কোন কাজ করলেই তাকে কাফের বলা যায় না। সমাজের অনেক মানুষই নিজেকে মুমিন ও তাওহীদে বিশ্বাসী বলে দাবি করার পরেও বিভিন্ন প্রকার শিরক ও কুফরের মধ্যে লিপ্ত থাকেন। এদের এ সকল কর্ম শিরক বা কুফর বলে আমরা নিশ্চিত জানার পরেও এদেরকে কাফির বা মুশরিক বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ইসলামের নির্দেশ। কোনো কর্মকে শিরক বা কুফর বলা এবং কোনো ব্যক্তিকে কাফের বা মুশরিক বলার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন, إِذَا كَفَّرَ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে কাফের বলে,তবে এ কথা দুজনের একজনের উপর প্রযোয্য হবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০। আবু জার রা. বলেন, রাসূল সা. বরেছেন,
مَنْ دَعَا رَجُلاً بِالْكُفْرِ أَوْ قَالَ عَدُوَّ اللَّهِ. وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِلاَّ حَارَ عَلَيْهِ যদি কেউ কোন মানুষকে কুফুরির সাথে জড়িত করে আহহ্বান করে অথবা তাকে বলে হে আল্লাহর শত্রু আর সে তা না হয়, তবে তা বক্তার উপর বর্তবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬১
আরো বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন কুরআন সুন্নাহের আলোকে ইসলামী আকীদা এই বইটি। শাসকের অন্যায় কাজের সমালোচনা জায়েজ। শুধু জায়েজই নয় আবশ্যিক কর্তব্যও বটে। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার বা শাসক-প্রশাসকের পাপের ক্ষেত্রে মুমিনের দায়িত্ব ঘৃনা ও আপত্তি। শাসক বা প্রশাসকের পাপ বা অন্যায় কাজ দুপ্রকার, তাদের জীবনের ব্যক্তিগত অন্যায় কাজ এবং অন্যায় কাজের নির্দেশনা বা অন্যায় নির্ভর আইন,নীতি বা বিধান প্রণয়ন। সকলক্ষেত্রে মুমিনদের নূনতম দায়িত্ব অন্যায় কাজকে ঘৃনা করা। এরপর মুমিন সাধ্যমত আপত্তি ও প্রতিবাদ করবেন। এরুপ অন্যায় কাজ মেনে নেওয়া, স্বীকৃতি দেওয়া, এবিষয়ে তাদের অনুসরণ করা বা এর পক্ষে অবস্থান নেওয়া মুমিনের জন্য নিষিদ্ধ। তবে অন্যান্য বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আনুগত্য বজায় রেখে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে সমালোচনা করতে হবে,আপত্তি ও প্রতিবাত জানাতে হবে। কোন ভাবেই আইন অমান্য, শৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। উম্মে সালামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِىَ وَتَابَعَ গ্ধ. قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لاَ مَا صَلَّوْا অচিরেই তোমাদের উপর অনে শাসক প্রশাসক আসবে যারা ন্যায় ও অন্যায় উভয় প্রকার কাজ করবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়কে ঘৃনা করবে সে অন্যায়ের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি আপত্তি করবে সে (আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে ) নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু যে এসকল অন্যায় কাজ মেনে নেবে বা তাদের অনুসরণ করবে (সে বাচঁতে পারবে না)। সাহাবীগণ বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকরব না? তিনি বললেন, না, যতক্ষন তারা সালাত আদায় করবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং১৮৫৪। আউফ ইবনে মালিক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, أَلاَ مَنْ وَلِىَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِى شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِى مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلاَ يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ তোমরা হুশিয়ার! তোমাদের কারো উপর যদি কেন শাসক প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং সে দেখতে পায় যে,উক্ত শাসক বা প্রশাসক আল্লাহর অবাধ্যতার কোন কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, তবে সে যেন আল্লাহর অবাধ্যতার উক্ত কর্মকে ঘৃনা করে, কিন্তু আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিবে না। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং১৮৫৫। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, সাধ্যমত শাসকের অন্যায় কাজের সমালোচনা করা, প্রতিবাদ করা প্রতেক মুমিনের দায়িত্ব। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্টের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কাজ করা যাবে না । আল্লাহ সবাইকে তাওফীক দিন। কাউকে মুশরকি বলার র্অথ কি ত্যাকে কাফরিও বলা? মুশরকি মাত্রই কি কাফরি? শাসকরে অন্যায় কাজরে সমালোচনা করা কি জায়জে?
হ্যাঁ। কাউকে মুশরিক বলার অর্থ তাকে কাফেরও বলা। মুশরিক মাত্রই কাফের। বিষযটি নিচে বিস্তারিত আলোচনা হল। কুফ্র আরবী শব্দ। কুফ্র এর আভিধানিক অর্থ হলো অবিশ্বাস, অস্বীকার, অকৃতজ্ঞতা ইত্যাদি। ইসলামী পরিভাষায় আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের (স.) উপর এবং ঈমানের রুকনগুলোতে বিশ্বাস না থাকাকেই কুফর বলে। শিরক শব্দটিও আরবী। শিরক এর আভিধানিক অর্থ হলো অংশীদার করা বা বানানো, সহযোগী বানানো ইত্যদী। আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে আল্লাহর কোনো বিষয়ে আল্লাহর সমকক্ষ মনে করা বা আল্লাহর প্রাপ্য কোনো ইবাদত আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো জন্য পালন করা বা আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে ডাকাকে ইসলামী পরিভাষায় শিরক বলে। ইসলামী পবিভাষায় বিশ্বাসের অবিদ্যমানতাই কুফর বা অবিশ্বাস। আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের উপর এবং ঈমানের রুকনগুলিতে বিশ্বাস না থাকাকেই ইসলামের পরিভাষায় কুফর বলে গণ্য। অস্বীকার, সন্দেহ, দ্বিধা, হিংসা, অহংকার, ইত্যাদি যে কোন কারনে যদি কারো মধ্যে ঈমান বা দৃঢ় প্রত্যয়ের বিশ্বাস অনুপস্থিত থাকে তবে তাকে ইসলামী পরিভাষায় কুফর বলে গণ্য করা হয়। অনুরুপভাবে মহান আল্লাহ ছাড়া অন্য কাউকে কোনো বিষয়ে তাঁর সমতুল বা সমকক্ষ বা তাঁর সাথে তুলনীয় বলে বলে বিশ্বাস করার মাধ্যমে আল্লাহর একত্ব ও অতুলনীয়ত্ব অস্বীকার করাও কুফর। তবে এ পর্যায়ের কুফরকে ইসলামের পরিভাষায় শিরক বলা হয়। কুফর ও শিরক পরস্পর অবিচ্ছ্যেভাবে জড়িত। কাউকে কোনোভাবে কোনো বিষয়ে মহান আল্লাহর সমকক্ষ বা তুলনীয় মনে করার অর্থই তাঁর একত্বে অবিশ্বাস বা কুফরী করা। আল্লাহর তাওহীদ ও রাসূলগণের দাওয়াতে অবিস্বাস না করে কেউ শিরক করতে পারে না। কাজেই মুশরিক মাত্রই কাফের বলে গণ্য হবে। অপরদিকে কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ না মেনে ঈমানের কোনো রুকন অবিশ্বাস করলে তা শুধু কুফর বলে গণ্য। সুতরাং কাফের মাত্রই মুশরিক নয়। যেমন যদি কেউ আল্লাহর অস্তিত্বে বা তাঁর প্রতিপালনের একত্বে অবিশ্বাস করে বা মুহাম্মাদ (স.) এর রিসালাত, খাতমুন নবুওয়াত ইত্যাদি অস্বীকার করে তবে তা কুফ্র হলেও বাহ্যত তা শিরক নয়। কারণ এরুপ ব্যক্তি সুস্পষ্ট ভাবে কাউকে আল্লাহর সাথে তুলনীয় দাবি করছে না। তবে প্রকৃতপক্ষে এরুপ কুফরের সাথেও শিরক জড়িত। কারন এরুপ ব্যক্তি কোন না কোন ভাবে এ জড় বিশ্বকে মহান আল্লাহর মত অনাদি-অনন্ত বলে বিশ্বাস করছে, বিশ্ব পরিচালনায় প্রকৃতি বা অন্য কোন শক্তিকে বিশ্বাস করছে। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, কাউকে মুশরিক বলার অর্থই হলো তাকে কাফেরও বলা। মুশরিক মাত্রই কাফের। তবে সকল কাফের সাধারণ ভাবে মুশরিক নয়। একটি কথা মনে রাখা জরুরী যে, কেউ কুফুরী কোন কাজ করলেই তাকে কাফের বলা যায় না। সমাজের অনেক মানুষই নিজেকে মুমিন ও তাওহীদে বিশ্বাসী বলে দাবি করার পরেও বিভিন্ন প্রকার শিরক ও কুফরের মধ্যে লিপ্ত থাকেন। এদের এ সকল কর্ম শিরক বা কুফর বলে আমরা নিশ্চিত জানার পরেও এদেরকে কাফির বা মুশরিক বলার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করা ইসলামের নির্দেশ। কোনো কর্মকে শিরক বা কুফর বলা এবং কোনো ব্যক্তিকে কাফের বা মুশরিক বলার মাঝে অনেক পার্থক্য রয়েছে। আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. বলেন, রাসূল সা. বলেছেন,
إِذَا كَفَّرَ الرَّجُلُ أَخَاهُ فَقَدْ بَاءَ بِهَا أَحَدُهُمَا যদি কোনো ব্যক্তি তার ভাইকে কাফের বলে,তবে এ কথা দুজনের একজনের উপর প্রযোয্য হবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬০। আবু জার রা. বলেন, রাসূল সা. বরেছেন,
مَنْ دَعَا رَجُلاً بِالْكُفْرِ أَوْ قَالَ عَدُوَّ اللَّهِ. وَلَيْسَ كَذَلِكَ إِلاَّ حَارَ عَلَيْهِ যদি কেউ কোন মানুষকে কুফুরির সাথে জড়িত করে আহহ্বান করে অথবা তাকে বলে হে আল্লাহর শত্রু আর সে তা না হয়, তবে তা বক্তার উপর বর্তবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৬১
আরো বিস্তারিত জানার জন্য পড়ুন কুরআন সুন্নাহের আলোকে ইসলামী আকীদা এই বইটি। শাসকের অন্যায় কাজের সমালোচনা জায়েজ। শুধু জায়েজই নয় আবশ্যিক কর্তব্যও বটে। রাষ্ট্র, রাষ্ট্রপ্রধান, সরকার বা শাসক-প্রশাসকের পাপের ক্ষেত্রে মুমিনের দায়িত্ব ঘৃনা ও আপত্তি। শাসক বা প্রশাসকের পাপ বা অন্যায় কাজ দুপ্রকার, তাদের জীবনের ব্যক্তিগত অন্যায় কাজ এবং অন্যায় কাজের নির্দেশনা বা অন্যায় নির্ভর আইন,নীতি বা বিধান প্রণয়ন। সকলক্ষেত্রে মুমিনদের নূনতম দায়িত্ব অন্যায় কাজকে ঘৃনা করা। এরপর মুমিন সাধ্যমত আপত্তি ও প্রতিবাদ করবেন। এরুপ অন্যায় কাজ মেনে নেওয়া, স্বীকৃতি দেওয়া, এবিষয়ে তাদের অনুসরণ করা বা এর পক্ষে অবস্থান নেওয়া মুমিনের জন্য নিষিদ্ধ। তবে অন্যান্য বিষয়ে রাষ্ট্রীয় আনুগত্য বজায় রেখে রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলার মধ্যে থেকে সমালোচনা করতে হবে,আপত্তি ও প্রতিবাত জানাতে হবে। কোন ভাবেই আইন অমান্য, শৃঙ্খলা ভঙ্গ কিংবা আইন নিজের হাতে তুলে নেয়া যাবে না। উম্মে সালামা রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, إِنَّهُ يُسْتَعْمَلُ عَلَيْكُمْ أُمَرَاءُ فَتَعْرِفُونَ وَتُنْكِرُونَ فَمَنْ كَرِهَ فَقَدْ بَرِئَ وَمَنْ أَنْكَرَ فَقَدْ سَلِمَ وَلَكِنْ مَنْ رَضِىَ وَتَابَعَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّهِ أَلاَ نُقَاتِلُهُمْ قَالَ لاَ مَا صَلَّوْا অচিরেই তোমাদের উপর অনে শাসক প্রশাসক আসবে যারা ন্যায় ও অন্যায় উভয় প্রকার কাজ করবে। যে ব্যক্তি তাদের অন্যায়কে ঘৃনা করবে সে অন্যায়ের অপরাধ থেকে মুক্ত হবে। আর যে ব্যক্তি আপত্তি করবে সে (আল্লাহর অসন্তুষ্টি থেকে) নিরাপত্তা পাবে। কিন্তু যে এসকল অন্যায় কাজ মেনে নেবে বা তাদের অনুসরণ করবে (সে বাচঁতে পারবে না)। সাহাবীগণ বললেন হে আল্লাহর রাসূল আমরা কি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধকরব না? তিনি বললেন, না, যতক্ষন তারা সালাত আদায় করবে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং১৮৫৪। আউফ ইবনে মালিক রা. বলেন, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন,
أَلاَ مَنْ وَلِىَ عَلَيْهِ وَالٍ فَرَآهُ يَأْتِى شَيْئًا مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ فَلْيَكْرَهْ مَا يَأْتِى مِنْ مَعْصِيَةِ اللَّهِ وَلاَ يَنْزِعَنَّ يَدًا مِنْ طَاعَةٍ তোমরা হুশিয়ার! তোমাদের কারো উপর যদি কেন শাসক প্রশাসক নিযুক্ত হন এবং সে দেখতে পায় যে,উক্ত শাসক বা প্রশাসক আল্লাহর অবাধ্যতার কোন কাজে লিপ্ত হচ্ছেন, তবে সে যেন আল্লাহর অবাধ্যতার উক্ত কর্মকে ঘৃনা করে, কিন্তু আনুগত্য থেকে হাত গুটিয়ে নিবে না। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং১৮৫৫। উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্ট যে, সাধ্যমত শাসকের অন্যায় কাজের সমালোচনা করা, প্রতিবাদ করা প্রতেক মুমিনের দায়িত্ব। তবে অন্যান্য ক্ষেত্রে রাষ্টের প্রতি আনুগত্য বজায় রাখতে হবে। রাষ্ট্রীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হয় এমন কাজ করা যাবে না । আল্লাহ সবাইকে তাওফীক দিন।