আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4319

নামায

প্রকাশকাল: 26 নভে. 2017

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম শায়খ। আমি যে প্রশ্ন টা করতে যাচ্ছি সেটা যৌক্তিক হচ্ছে না কি অযৌক্তিক হচ্ছে আমি জানিনা বা বুঝতেছিনা। বিষয়টার ব্যাপারে পরামর্শ দিয়ে সাহায্য করবেন প্লিজ। আমাদের মসজিদে যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা আছে। চারদিকে লাইটের ব্যবস্থা আছে। (সামনের দেয়ালে দুইদিকে সৌরবিদ্যুত চালিত দুইটা লাইট আছে)। এখন সমস্যা হচ্ছে যথেষ্ট আলোর ব্যবস্থা থাকা সত্ত্বেও মসজিদে সবসময় সৌরবিদ্যুত চালিত লাইটগুলাই জ্বালানো থাকে। যার ফলে সামনের কাতারের মানুষ তো মোটামুটি স্পষ্টভাবে সিজদাহর আশেপাশের জায়গা দেখতে পায়। কিন্তু পরের কাতারগুলায় সামনের কাতারের মুসল্লির শরীরের ছায়া পড়ে। যার ফলে সিজদাহর জায়গা স্পষ্টভাবে দেখা যায়না। আরেকদিক দিয়ে দেখলে এই স্বল্প আলোতে মাঝে মাঝে নামাজের মনোযোগও ছুটে যায়। আমি কয়েকবার বিদ্যুতচালিত লাইট গুলো জ্বালিয়ে দিলেও এলাকার মুরব্বিরা লাইট অফ করে দেয়। আজকে একজন বললো সৌরবিদ্যুত চললে কারেন্টের বিল কম উঠবে। এখন এই নিয়ম টা কি ঠিক?পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতেও এভাবে স্বল্প আলোতে (যেখানে প্রথম কাতার ব্যতীত পরের কাতারের মুসল্লীরা স্পষ্টভাবে সিজদাহর জায়গা দেখতে পায়না) কি নামাজ পড়া ঠিক?
মসজিদ আলোকিত রাখতে হবে এমন কোনো দিকনির্দেশনা কুরআন বা হাদিসে আসছে কি?
না কি আমার এই ধারণা ভুল?
সিজদাহর জায়গায় যদি চোখ না থাকে তাহলে নামাজের কেমন ক্ষতি হবে?
যদি আমাদের মসজিদের এই নিয়ম টা সঠিক না হয়,তাহলে আমি এলাকার মুরুব্বিদের কিভাবে বুঝাবো বিষয়টা?
দয়া করে পরামর্শ দিবেন!
জাযাকাল্লাহ খইরন!

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। মসজিদে প্রয়োজনীয় আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে, যাতে করে আলোর অভাবে কোন সমস্যা না হয়, দূর্ঘটনা না ঘটে। তবে মসজিদ খুব বেশী আলোকিত রাখার কোন প্রয়োজন নেই। মসজিদের প্রথম কাতারে লাইট জ্বললে পরের কাতারগুলোতে তো তেমন কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। খুব বেশী স্পষ্ট করে সিজদার জায়গা দেখার প্রয়োজন নেই।