আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4280

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 18 অক্টো. 2017

প্রশ্ন

আসসালামুয়ালাইকুম
আমার ঘটনাটি একেবারে ব্যক্তিগত তাই প্রশ্নের উত্তরটি আমাকে ইমেলে দিলে কৃতজ্ঞ থাকবো। আমি আমাদের পরিবারের সবার ছোট, আমার বোনের বিয়ে হয়েছে আমি যখন ইন্টার এক্সাম দিবো তখন। তারপর থেকেই আমার বিয়ের জন্য মাঝেমাঝে প্রস্তাব আসতো কিন্তু, ছেলে পক্ষ যখন শুনতো আমার গায়ের রং কালো তখন আর সামনে আগাতো না অথবা কেউ যদি বাড়িতে আসতো ফিরে গিয়ে বলতো তারা আরো সুন্দর মেয়ে চায়। কিন্তু বাস্তবিক অর্থে আমি অতো কালো না, শ্যামলা। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হলো কোন ছেলের পক্ষের ই আমাকে পছন্দ হতো না। এভাবে চলতে চলতে আমার মাস্টার্স কমপ্লিট হয়ে যায়, তারপরও একি অবস্থা। এর মধ্যে আমি যখন মাস্টার্সে পড়ি তখন একটা সরকারি স্কুলে জব হয়। জব হওয়ার ৪ বছর পর একটা ফ্যামিলি থেকে বিয়ের প্রস্তাব আসে এবং ছেলের বাবা না থাকায় তার মামা এবং খালু অভিভাবক হিসেবে কথাবার্তা বলে বিয়ে ঠিক হয়, কিন্তু বিয়ের দিন ছেলে তার বোনের বিয়ের পুরাতন শাড়ি এবং এমিটেশনের জিনিস পত্র নিয়ে বিয়ে করতে আসে। এর মূল কারন ছিল ছেলে এই বিয়েতে রাজি ছিল না এবং ছেলের মায়ের কথা ছিল আমার বিয়ের আগের চাকরি তাই আমাদের পরিবার থেকে গয়নাঘাটি। শাড়ি, কসমেটিক্স একেবারে সবকিছু দিয়ে বিয়ে দিবে, কিন্তু যখন বিয়ের কথা ফাইনাল নয় তখন তার মামা বা খালু এসব কিছুই উল্লেখ করে নি। যার কারনে বিয়ের অনুষ্ঠানে আমার ভাইয়া একটু রাগারাগি করেছিল। কিন্তু তারপর আমি আমার এবং আমাদের পরিবারের কথা বিবেচনা করে বিয়ে তে রাজি হয়ে বিয়ে করি। কিন্তু তাদের বাড়িতে যাওয়ার পর ছেলের কথা ছিল সে আমার কোন দায়িত্ব বা ভরণপোষণ দিতে পারবে না কারন এ বিয়েতে তার মত ছিল না, আমার সম্পর্কে সে কিছুই জানে, আমি যেন তার কাছে কোন অধিকার না চাই। এভাবে ৫ মাস চলার পর যখন দেখলাম আমার পক্ষে এখানে সংসার করা সম্ভব নয় কারন এই মাসের মধ্যে ৪ মাস একি কথা ছিল সে আমার সাথে সংসার করতে পারবে না, পরের ১ মাস আর যোগাযোগ হয় নি, তখন ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নেই। ইসলামিক এবং আইনগত ভাবে ৩ মাস পরে ডিভোর্স কার্যকর হয় কিন্তু কার্যকর হওয়ার ৫০ দিন আগে সে যখন ডিভোর্স এর কাগজ পায় একবারের জন্যও সে ফোন দেয় নি এবং আমাদের কারো সাথেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করে নি এমনি দেনমোহরের দাবি সম্পর্কেও কিছু বলে নি। আমি সবসময় নামাজ রোজা সঠিকভাবে পালন করার চেষ্টা করি এবং ইসলামিক অন্যান্য কিছু নিয়ম কানুনও মানার চেষ্টা করি। আমার ডিভোর্স হয়ে গেছে প্রায় ১ বছরের বেশি হয়ে গেছে, এখনো আগের মত, ঠিক মতো কেউ প্রস্তবা পাঠায় না। কারন একটাই আমি কালো, আমাকে দেখতে কার পছন্দ হয় না, যদি কেউ আসেও তাহলে আমাকে পছন্দ হয় না। আমি বুঝতে পারছি না এক্ষেত্রে আমার কি করনীয়? আমি এমন এক পরিস্থিতি দিয়ে যাচ্ছি, এভাবে একটা মানুষ বেচে থাকতে পারে না। আমি এসব চিন্তায়, অসম্মানে অসুস্থ হয়ে গেছি। আমাকে একটু সঠিক পরামর্শ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করছি।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আল্লাহ কুরআনে বলেছেন, وَمَن يَتَّقِ اللَّهَ يَجْعَل لَّهُ مَخْرَجًا যে আল্লাহকে ভয় করে আল্লাহ তার জন্য পথ বের করে দেন। সুরা ত্বলাক, আয়াত নং ২। সুতরাং আপনি ধৈর্যের সাথে আল্লাহর কাছে দুআ করতে থাকুন ইনশাআল্লাহ আল্লাহ আপনার সমস্যা দূর করে দিবেন। আপনি সূরা ত্বলাকের অনুবাদ পড়ুন আপনার মনে প্রশান্তি চলে আসবে, আপনার চিন্তা হতাশা কমে যাবে, এই সূরাতে আপনি যে সমস্যায় পড়েছেন সে সম্পর্কেই আলোচনা করা হয়েছে।