আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4254

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 22 সেপ্টে. 2017

প্রশ্ন

আমি চার বছর অসুস্থ। আমি অনেক ধরণের ডাক্তার এবং কিছু পণ্ডিতের সাথেও গিয়েছি যারা আমাকে তাবিজ এবং কিছু তেল, পানি দিয়েছিল। আমি তাবিজ পরতে অস্বীকার করলাম। তবে আমার পরিবার আমাকে এটি পরতে বাধ্য করেছিল। আমি এটি পরেছিলাম কিন্তু আমি এটি সরিয়েছি। কিছু হুজুর বলেছেন আমার জ্বিন সমস্যা আছে আবার কেউ বলেছে নেই। সবাই আমাকে তাবিজ দিতে চায়। আমি রুকিয়া করেছি। তবে আমি এখনও অসুস্থ। বাংলাদেশে রোগী একজন সঠিক ডাক্তার খুঁজে পেতে অনেক ভোগেন। তাই আমি যে ডাক্তারগুলিতে গিয়েছি তাদের মধ্যে তারা আমাকে কিছু ওষুধ এবং কিছু টেস্ট দিয়েছে। কোনো লাভ হয়নি। আমার পরিবার মনে করে যে আমার মানসিক সমস্যা আছে। তবে আল্লাহর প্রতি আমার বিশ্বাস রয়েছে। আমি বিশ্বাস করি যে আমার কোনও মানসিক সমস্যা নেই। আমি প্রেক্টিছিং মুসলিম ছিলামনা না তবে আমি চার বছর আগে এটি সম্পর্কে শিখতে শুরু করি। তো, আমার পরিবার এবং ডাক্তারদের অযত্নের জন্য আমার অসুস্থতা খুঁজে পাওয়া যায় না আর আমাকে দিন দিন আরও অসুস্থ হওয়ার দিকে যাচ্ছি। আমি এটি গবেষণা করেছি এবং আমি মনে করি আমার স্নায়বিক সমস্যা আছে। মাল্টিপল স্কেলেরোসিস বা পিনচ্দ নার্ভের মতো কিছু রোগ। আমার এখন 21 বছর। তো, এখন আমার কী করা উচিত? আমি যদি ঘরে বসে থাকি এবং অর্থোপার্জন না করার মতো কিছু না করলে কি আমি দোষী হব? কারণ আমি এতটা অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়েছি যে কাজ করা এবং বাইরে যেতে কষ্ট হয়। আমি পরিবারের সবাইকে বোঝানোর চেষ্টা করেছি। এখন তারা আমাকে মানসিকভাবে রোগী এবং শারীরিকভাবে অসুস্থ করতেছে যত্নের অভাবে। এছাড়াও আমার যৌন সম্পর্কে দুর্বলতা আছে। আমি কি বিয়ে করতে পারি? আমি প্রতিদিন নামায, দোয়া করি। ফরয, ওয়াজিব, সুন্নত আলহামদুলিল্লাহ মেনে চলি এবং চেষ্টা করি। মসজিদে যেতেও কষ্ট হয়ে গেছে এখন এবং পড়ালেখা করাটাও।

উত্তর

আপনাকে ভালো চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে। আপনি যে বর্ণনা দিয়েছেন তাতে মনে হচ্ছে আপনি শারীরিক সমস্যার কারণে মানসিক সমস্যেরও মুখোমখি হয়েছেন। সকল ইবাদতের পাশাপাশি দুআ করুন যেন, আল্লাহ আপনাকে একজন ভালো চিকিৎসকের সন্ধান করে দেন। আমরাও আপনার জন্য দুআ করি যেন, আল্লাহ আপনাকে সুস্থ করে দেন। সকাল-সন্ধ্যা নামাযের পরে সূরা ফালাক, নাস ও ইখলাস তিন বার করে পড়বেন। সকাল-সন্ধ্যার অন্যান্য মাসনুন দুআ নিয়মিত পাঠ করবেন। জ্বিন-যাদু থেকে বেঁচে থাকতে সকাল-সন্ধ্যার মাসনুন দুআ অত্যন্ত কার্যকরী।