আসসালামু আলাইকুম,আশা করি আল্লাহর অশেষ রহমতে আপনি অনেক ভালো আছেন। হুজুর আমার আব্বা বিদেশ থাকে, আব্বার জমানো টাকা Social Islami Bank এবং IFIC Bank এবং সঞ্চয়পত্রে- বিভিন্ন মেয়াদ ভিত্তিক টাকা জমা রেখে তার থেকে (ব্যাংক এবং সঞ্চয়পত্র) পাওয়না লাভের টাকা (সুদ) দিয়ে আমরা বাসা ভাড়া, পড়ালিখার খরচ এবং অন্যান্য খরচ দিয়ে থাকি। আমার আব্বার পাঠানো কিছু টাকা দিয়ে আমরা আমাদের খাবার কিনে খাই। উল্লেখ যে, আব্বা নিজে ই কিছু টাকা তার নামে মেয়াদ ভিত্তিকে ব্যাংকে জমা রেখে গেছে আর কিছু টাকা আমাদের দ্বারা ব্যাংকে জমা রাখছে মেয়াদ ভিত্তিতে। আমি এবং আমার আম্মা এবং আমার ছোট বোন তাকে অনেক বুঝলাম এইসব হারাম, শুধু তাই নাহ আমার আব্বা যে কোম্পানির চাকুরি করে সেখানে কোম্পানির সম্পত্তি আত্মসাৎ করে বাংলাদেশে পাঠায়। আমার আব্বার উপর যাকাত ফরয হয়েছে, অনেক বুঝানো হচ্ছে যাকাত দিতে কিন্তু সে ১ টাকাও কাউকে যাকাত দেয় নাহ। বেশ অনেক বছর যাবৎ ধরে আমরা এই হারাম খেয়ে আসছি। আমাদের পরিবারে আমার আব্বা ছাড়া আর কেউ উপার্যক্ষম নেই আর আমার আব্বা কখনো চায় নাহ ওনার জমানো টাকা তার সংসারে খচর হোক। টাকা জমানো তার একটা নেশা। ১. এমতাবস্থায় আমাদের করনীয় কি?
২. আমরা এই হারাম থেকে কিভাবে বাঁচবো?
৩. আমি এখনো চাকুরি পাই নাই, চাকুরি করার আগ পর্যন্ত আমার আব্বার হারামের টাকা গুলো খাওয়া কি আমাদের জন্য জায়েজ হবে?
৪. হাশরের ময়দানে এই হারামের জন্য আমাদেকে ও জবাবদিহি করতে হবে?
হুজুর মেহেরবানী করে প্রশ্ন গুলোর উত্তর দিয়ে আল্লাহর সঠিক পথে থাকার সুযোগ করে দিয়েন।