আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 4128

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 19 মে 2017

প্রশ্ন

আসসালামুওয়ালাইকুম, আমি জানি আপনারা কোন অযৌক্তিক প্রশ্নের উত্তর দেন না কিন্তু আমার প্রশ্ন টি কোন অযৌক্তিক প্রশ্ন নয় | আমি এর আগেও প্রশ্ন করেছিলাম কিন্তু উত্তর পাইনি | আমার প্রশ্নটি বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রধান চাকার সাথে জড়িত আর সেটি হচ্ছে তৈরি পোশাকশিল্প |
যারা গার্মেন্টস বা বাইং হাউজের ব্যবসা করে তাদের বিদেশি ক্রেতাদের ফরমাশ অনুযায়ী কাপড় বানিয়ে দিতে হয় | কিন্তু ওয়েস্টার্ন মেয়েরা যে পোশাক পড়ে তার বেশির ভাগই আঁটোসাঁটো এবং এমন ধরনের ডিজাইন যা ইসলাম সমর্থন করে না | ওয়েস্টার্ন ছেলেরাও হাফপ্যান্ট পড়ে এবং ফুল প্যান্ট এর ক্ষেত্রে প্যান্টের হাই ছোট হওয়ার কারণে নাভির উপর ওঠেনা l টাখনুর অনেক মিস পর্যন্ত লম্বা প্যান্ট তাদের বানিয়ে দিতে হয় তাদের ট্রেন্ড অনুযায়ী | যেটা আপনি সাধারণত বাংলাদেশেও দেখে থাকবেন |
প্রশ্নগুলো হচ্ছে:
1.ওয়েস্টার্ন মেয়েদের জন্য পোশাক গুলো বানানো ঠিক হচ্ছে কিনা?
2.ছেলেদের হাফ প্যান্ট, টাখনুর অনেক নিচ পর্যন্ত চলে যাওয়া প্যান্ট, হাই ছোট প্যান্ট এবং বিভিন্ন ছবি সংবলিত জামাকাপড় ও কলার সহ শার্ট এগুলো বানানো ঠিক হচ্ছে কিনা?
3.সচরাচর ডিজাইন এর বাইরে কিছু ভিন্ন ডিজাইনের ইনার গার্মেন্টস প্রডাক্ট যেগুলো সাধারণত জামার নিচে পড়া হয় ভিন্ন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য মানুষ ভিন্ন ধরনের কাজে ব্যবহার করে (আশা করি আমি যা বুঝিয়েছি আপনি তা বুঝতে পেরেছেন)এগুলো বানানো ঠিক হচ্ছে কিনা?
4.সব ধরনের ধরনের পোশাক বানাতে কিছুর মেটেরিয়াল লাগে যেমন: বোতাম, চেইন ইত্যাদি | উপরে বর্ণিত এইসব পোশাক গুলো বানানোর জন্য এই র মেটেরিয়াল সাপ্লাই দেওয়া যাবে কিনা?
5.উপরের এই সবগুলো বিষয় থেকে আয়কৃত টাকা হালাল হচ্ছে কিনা?
কোরআন ও হাদিসের আলোকে আপনি এই বিষয়গুলো কিভাবে মূল্যায়ন করবেন?
(এখানে বলে রাখা ভালো যে এক পোশাক ব্র্যান্ডই উপরে বর্ণিত বিভিন্ন ধরনের পোশাক গুলো বানাতে দেয় যদি কোন কারণে তাদের একটি আইটেমের ফরমাশ বাদ দেওয়া হয় তাহলে তাদের অন্য পোশাক গুলো বানানোর ক্ষেত্রে আমাদের প্রতি আগ্রহ কমে যায়) দয়া করে উত্তর গুলো দিবেন, ধন্যবাদ

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম।আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন,(ولا تعاونوا على الإثم والعدوان) মন্দকর্ম ও সীমালংঘনের কাজে তো একে অপরকে সহযোগিতা করো না। সূরা মায়েদা, আয়াত নং ২। যে পোশাক ইসলাম সমর্থন করে না সেই পোশাক তৈরী ও বিক্রি করার অর্থ হলো পাপ কাজে সহযোগিতা করা। সুতরাং ইসলাম বহির্ভূত কোন পোশাক তৈরী ও বিক্রি করা থেকে বিরত থাকা একজন প্রকৃত মমিনের একান্ত কর্তব্য।