আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 3845

রোজা

প্রকাশকাল: 9 আগস্ট 2016

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম। ভাইয়া আমাকে এক নাস্তিক এই প্রশ্নটা করেছে, প্রশ্ন টা হল মেরু অঞ্চল যেখানে ছয় মাস দিন, ছয় মাস রাত । সেখানে রোজা রাখার ব্যাপারে কোরান-হাদীসে কোন ফয়সালা দেওয়া আছে? না থাকলে বুঝতে হবে আল্লাহ বা নবীর ঐ অঞ্চল সম্পর্কে কোন জ্ঞান ছিল না।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কোরআন-হাদীস সীমিত। জীবনের সমস্যা সীমাহীন।কুরআন-হাদীস থেকেই জীবনের সকল সমস্যার সমাধান বের করেছে ফকীহগণ। সব সমস্যা সমাধাণের মূলনীতি কুরআন বা হাদীসে আছে। ঐ অঞ্চলে কিভাবে নামায রোজা করবে তার একটি সমাধান নীচের হাদীস থেকে পাওয়া যায়। قلنا: يا رسول الله وما لبثه في الأرض؟ قال: أربعون يوما، يوم كسنة، ويوم كشهر، ويوم كجمعة، وسائر أيامه كأيامكم قلنا: يا رسول الله فذلك اليوم الذي كسنة، أتكفينا فيه صلاة يوم؟ قال: لا، اقدروا له قدره সাহাবীগণ বলেন, আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! দাজ্জাল পৃথিবীতে কত দিন অবস্থান করবে? উত্তরে তিনি বলেছেনঃ সে চল্লিশ দিন অবস্থান করবে। প্রথম দিনটি হবে এক বছরের মত লম্বা। দ্বিতীয় দিনটি হবে এক মাসের মত। তৃতীয় দিনটি হবে এক সপ্তাহের মত। আর বাকী দিনগুলো দুনিয়ার স্বাভাবিক দিনের মতই হবে। আমরা বললামঃ যে দিনটি এক বছরের মত দীর্ঘ হবে সে দিন কি এক দিনের নামাযই যথেষ্ট হবে? উত্তরে তিনি বললেন, না; বরং তোমরা অনুমান করে সময় নির্ধারণ করে নামায পড়বে। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৯৩৭। এই হাদীস থেকে জানা গেল দিন যদি স্বাভাবিক ২৪ ঘন্টার চেয়ে বেশী হয়, তাহলে ২৪ ঘন্টার হিসাব করে নামায পড়তে হবে। এই হাদীস থেকে রোজার মাসআলাও পরোক্ষভাবে বের হবে যে, দিন যদি ২৪ ঘন্টার চেয়ে বেশী হয় তাহলে ২৪ ঘন্টার হিসাব করে রোজা রাখতে হবে। আর ঐসব অঞ্চলের মুসলিমগণ বর্তমানে সৌদি আরবের রোজার সময় অনুযায়ী রোজা রেখে থাকে। আপনি ঐসব নাস্তিকদের সাথে মিশবেন না, তাদেরকে এড়িয়ে চলবেন। ওরা আপনাকে উল্টোপাল্টা প্রশ্ন করে বেঈমান করে ফেলতে পারে। নাস্তিকদের বিষয়ে ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহি. এর বক্তব্যগুলো ইউটিউব থেকে শুনবেন।