আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম মোঃ মিসবাহ, আমার বয়স 21 বছর। আমার একটা ব্যক্তিগত প্রশ্ন হলো আজ থেকে দুই তিন বছর আগেও এরকম মন-মানসিকতা ছিল না আমার বর্তমানে আমার মন মানসিকতা ঠিক অন্যরকম হয়ে গেছে এখন কি করব ঠিক বুঝে উঠতে পারতেছি না। জান্নাত পাবার চিন্তা আল্লাহর সন্তুষ্টি এসব বিষয়ে জানো আমার উপর ভর করেছে। দেখলাম পিছনে যতই অন্যায় করি না কেন আল্লাহ সব মাফ করে দেবেন। তওবা করে ফিরে আসলে আমি তওবা করে ফিরে আসতে চাই কিন্তু একটা সমস্যা আছে আমিতো ইস্কুলে পড়ি । আমি যে কামাই করে খাব । এরকম কোন উপায় আমার নাই সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো আমার বাবা সুদের সাথে জড়িত সে ব্যাংক থেকে লোন নিয়ে বাড়ি বানাইয়া ভাড়ায় টাকা উপার্জন করে। আমরা দুই ভাই সমস্যাটা হলো আমার বাবার চার থেকে পাঁচ কাঠা জাগা আছে । ধরতে গেলে সেইখানে তিনি সম্পূর্ণ জায়গায় বাসা বানাচ্ছে এখন আমার কথা হলো আমার বাবা সরকারি চাকরি করে লোন নিয়ে যে টাকা উপার্জন করেছে চাকরির বেতন থেকে সেই টাকা কেটে নেয় বাসা ভাড়া দেয়ার কারণে যেই টাকা আসে তাই দিয়ে সংসার পরিবার ও চলে । কিন্তু আমি জানতে পারছি এই টাকা হারাম এখন আমি কি করবো কিছু বুঝতে পারতেছিনা পড়ালেখায় মন বসে না। আমি বাবাকে অনেক বার বলছি বাবা আমার কোন কথা শোনে না সে মনে করে আমি মনে হয় উল্টাপাল্টা বলতেছি আমার কথা সে কখনো কেয়ার করে না আমি মাকে অনেক বার বলছি মা বলে তোর বাবা আমার কোন কথা শোনে না আমি এখন কি করবো এখন আমার কথা হলো আমি যদি তাদের বোঝাতে যাই তারা বুঝতে চায় না তখন আমার মনে রাগ হয়। কিনা কি করে বসি কিন্তু বাবা-মায়ের সাথে তো আল্লাহ তাআলা খারাপ ব্যবহার করতে মানা করছে তাই আমি অতটা কঠোর হতে পারি না আমি যে এই মুহূর্তে তাদের থেকে আলাদা হয়ে যাব সেই সিস্টেম ও আমার নাই সেই উপায় নাই । পারিনা কোন কাজ । । যা পড়ালেখা সেখি মনে হয় না এটা দিয়ে হালাল ভাবে কোন কিছু অর্জন করতে পারব বর্তমান ফিৎনার জামানা প্রতিনিয়ত চোখের সামনে নিত্য নতুন গুনার দৃশ্য আসে চোখের হেফাজত করা কষ্টকর হয়ে যায় লজ্জাস্থানের হেফাজত করা কষ্টকর হয়ে যায় যৌবনের হেফাজত করা কষ্টকর হয়ে যায় বিয়ে করা অত্যন্ত আবশ্যক কিন্তু এই উপায় বাড়িতে বিয়ের কথা বলতে পারি না আমার ঘর নাই আমার বাড়ি কোন ইনকামের পথ বাবা-মা বাবা হয়তো চিন্তা করতেছে সে আমাকে কয়েক বছর পর বিয়ে দেবে কিন্তু তা তো আমার পক্ষে সম্ভব না তার এই হারাম টাকা হারাম বাড়ি আমার ভোগ করার ইচ্ছা নাই এজন্য আমি পড়ালেখা ছেড়ে দিতে চাইছিলাম সেজন্য আমাকে বাড়ি থেকে অনেক চাপ দিছে অন্যদের কাছে আমার বাবা কেঁদে কেঁদে আমার নামে দোষ তুলে ধরে আমার ব্যাপারটা কেউ ভালো করে বুঝতে চায় না আমার কথা হল পিছনে যেই গুনাই করছি না কেন সামনে আর কোনো গুনার ভিতর জড়াবো না কাজা নামাজ গুলো আদায় করব বাপ মার জন্য বেশি বেশি দুআ করব নিজের ঈমান রক্ষার্থে একটা বিয়ে করতেই হবে সেইজন্যে সৎ পথের সন্ধান চাই আল্লাহর জান্নাত আমি চাই আমাকে আপনারা বাঁচান কি করতে পারি আমি এখন আমার মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ হয়তো আমার উপর রাগ করেছেন কারণ হারাম খেয়ে ইবাদত করি এইজন্য আমি যদি অন্যদের আমার ব্যাপারটা বুঝাতে চাই তারা বলে থাক হইছে সুদ ঘুষ খায় না এমন কয়জন লোক আছে কিন্তু আমি তো মনে করি পৃথিবীর সবাই যদি হারাম কাজে থাকে জেনে শুনে আমি কেন সে হারাম কাজটা করব বাঁচান আমাকে নয়তো টেনশন করতে করতে পাগল হয়ে যাব আরো অনেক কথা ছিল বলার মত এখন আর মন মানসিকতা নাই।