ওয়া আলাইকুমুস সালাম। জমি আমাদের দেশে যেভাবে বন্ধক দেওয়া হয় তার ধরণ এমন: আপনি কারো কাছে ৫০ হাজার টাকার বিনিময়ে আপনার জমি বন্ধক দিলেন। এরপর দশ বছর পর আপনি তাকে ৫০ হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলে জমি আপনি ফিরে পাবেন। আর দশ বছরের জমির ফসলের মালিক যে বন্ধক নিল সে পাবে অথবা এভাবে বলা যায় বন্ধক গ্রহীতা যেভাবে ইচ্ছা জমি ব্যবহার করবে। মোট কথা যে পরিমান টাকা সে ঋন দিল সে পরিমান টাকা সে ফিরিয়ে নিল আর ঋনের বিনিময়ে সে অতিরিক্ত সম্পদ নিল। এবার নিচের হাদীসটি লক্ষ্য করুন:
الذَّهَبُ بِالذَّهَبِ وَالْفِضَّةُ بِالْفِضَّةِ وَالْبُرُّ بِالْبُرِّ وَالشَّعِيرُ بِالشَّعِيرِ وَالتَّمْرُ بِالتَّمْرِ وَالْمِلْحُ بِالْمِلْحِ مِثْلاً بِمِثْلٍ يَدًا بِيَدٍ فَمَنْ زَادَ أَوِ اسْتَزَادَ فَقَدْ أَرْبَى الآخِذُ وَالْمُعْطِى فِيهِ سَوَاءٌ স্বর্নের বিনিময়ে স্বর্ণ, রোপার বিনিময়ে রোপা, গমের বিনিময়ে গম, জবের বিনিময়ে জব, খেজুরের বিনিময়ে খেজুর এবং লবনের বিনিময়ে লবনের বিনিময় সমান সমান এবং নগদ হতে হবে। সুতরাং যে অতিরিক্ত চাইবে কিংবা অতিরিক্ত দিতে চাইবে সে সু্দ খেলো। সুদগ্রহনকারী এবং সুদপ্রদানকারী এক্ষেত্রে সমান অপরাধী। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ৪১৪৮
এই হাদীসে ভিত্তিতে বলা যায়, এক জাতীয় জিনিসের বিনিময়ের সময় সমান সমান নিতে হবে অতিরিক্ত নেয়া হারাম। এখন আপনি ৫০ হাজার টাকা নিয়ে আবার ৫০ টাকা ফিরিয়ে দিলেন, মাঝে আপনার জমি দ্বারা সে লাভবান হলো, অর্থাৎ টাকা যা দিল তাই নিল অতিরিক্ত সম্পদও নিল এটা উক্ত হাদীসের ভিত্তিতে সুদ হিসাবে গণ্যহবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন।