ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আপনি যদি নিশ্চিত না হন যে, নাপাক লেগেছে তাহলে সমস্যা নেই। কাদা সাধারণত পাক-পবিত্র হয়। তবে যদি নিশ্চিত হন যে, নাপাক লেগেছে তাহলে ঐ পোশাকে নামায হবে না। ২। হানাফী মাজহাবে একই ওয়াক্তে দুই ওয়াক্তের সালাত একত্রে পড়া যাবে না। যোহরের শেষ সময়ে যোহর আর আসরের প্রথম সময়ে আসর তেমনি মাগরিবের শেষ সময়ে মাগরিব আর এশার প্রথম সময়ে এশা। কেননা আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, إِنَّ الصَّلاَةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَّوْقُوتًا। নিশ্চয় সালাত মূমিনদের উপর সময়মত আদায় করা ফরজ। সূরা নিসা ১০৩। অন্যান্য আলেমগণ বলেন, সফরে যে কোন ওয়াক্তের সময় জমা করতে পারবে। অর্থাৎ জোহর ও আসরের সালাত যোহরের সময়ও পড়তে পারে আবার আসরের সময়ও পড়তে পারে। মাগরিব ও এশার ক্ষেত্রেও একই কথা। তাদের দলীল:
عَنْ مُعَاذٍ قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- فِى غَزْوَةِ تَبُوكَ فَكَانَ يُصَلِّى الظُّهْرَ وَالْعَصْرَ جَمِيعًا وَالْمَغْرِبَ وَالْعِشَاءَ جَمِيعًا. মুয়াজ ইবনে জাবাল থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, আমরা রাসূলুল্লাহ সা. এর সাথে গাযওয়ায়ে তাবুকে বের হলাম। সেখানে রাসূলুল্লাহ সা. যোহর ও আসর এবং মাগরিব ও এশা একসাথে আদায় করলেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ১৬৬৫। এই হাদীসে নির্দিষ্ট সময় বলা হয় নি তাই তারা বলেন যে কোন সময় জমা করতে পারবে। তবে হানাফী আলেমেরদের মত অনুযায়ী আমল করার ভিতরই সতর্কতা বলে মনে হয়।