ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। আলেমগণের সর্বাক্যমতে মিউজিক বা বাদ্যযন্ত্র হারাম। আবু আমির রা. থেকে বর্ণিত হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, لَيَكُونَنَّ مِنْ أُمَّتِي أَقْوَامٌ يَسْتَحِلُّونَ الْحِرَ وَالْحَرِيرَ وَالْخَمْرَ وَالْمَعَازِفَ
অর্থ: আমার উম্মতের মধ্যে অবশ্যই এমন একটি দল বা সম্প্রদায় আত্ম প্রকাশ করবে যারা ব্যভিচার (জিনা),রেশম, মদ এবং বাদ্যযন্ত্রকে হালাল মনে করবে। … সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৫৯০। উক্ত হাদীসের আলোকে সকল আলেম একমত যে, মিউজিক হারাম। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. বলেন,
فَذَهَبَ الْأَئِمَّةُ الْأَرْبَعَةُ : أَنَّ آلَاتِ اللَّهْوِ كُلَّهَا حَرَامٌ . وَلَمْ يَذْكُرْ أَحَدٌ مِنْ أَتْبَاعِ الْأَئِمَّةِ فِي آلَاتِ اللَّهْوِ نِزَاعًا
চার ইমাম এই মত পোষন যে, সকল বাদ্যযন্ত্র হারাম। … অনুস্মরণীয় কোন আলেম এ ব্যাপারে দ্বিমত করেন নি। মাজমাউল ফাতাওয়া, ১১/৫৭৬। শাইখ আলবানী রহ. বলেন,
اتفقت المذاهب الأربعة على تحريم آلات الطرب كلها
চার মাজহাব এ ব্যাপারে ঐক্যমত পোষন করেছে যে, সমস্ত বাদ্যযন্ত্র হারাম। সিলসিলাতুস সহীহাহ, ১/৯০। ৯১ নং হাদীসের আলোচনায়। গানবাদ্য মানুষকে কর্মবিমূখ করে তোলে, অলস বানায়। গান এক ধরনের নেশার সৃষ্টি করে, যার কারণে কাজে মন বসে না। সবচেয়ে বড় কথা গানবাদ্য আল্লাহ তায়ালার ইবদত থেকে দূরে ঠেলে দেয়, ইবাদতে স্বাদ পাওয়া যায় না। এসব বিভিন্ন কারণে গান হারাম। তাই প্রতিটি মূমিন মুসলিমের জন্য আবশ্যক হলো গান-বাজনা পরিহার করা। আল্লাহ আমাদেরকে তাওফিক দিন।