আস্সালামুআলাইকুম। আমার প্রশ্ন হলো –যারা বলে পীর ধারা ফরজ তারা নিন্মোক্ত দলিল পেশ করছে। অর্থাৎ বুঝা যায় পীর না ধরলে সে বেঈমান হয়ে মৃত্যু বরণ করবেন। তার মানে একজন মুসলিম আল্লাহ সকল হুকুম আহকাম মানার পর আল্লাহ সাথে কোনো শিরিক করলো না। কিন্তু সে কোনো পীর ধরতে পারলো না তাহলে কি সে জাহান্নামে যাবে বা বেঈমান হয়ে মৃত্যু বরণ করবে? দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো নিন্মোক্ত হাদিস ও কুরআনের আয়াতের ব্যাখ্যা কি? আমি *** চিহ্নের মাধ্যমে তাদের বক্তব্য তুলে ধরলাম। ***আল্লাহর হুকুম ফরজ, তাই নীচের আয়াত দ্বারা প্রমান পীর ধরা ফরজ। এখন যারা কোরানের আয়াত অস্বীকার করবে, তারা কি মোসলমান থাকবে কিনা?
হযরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্ল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্ল্লামকে বলতে শুনেছি, যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অনুকরণ করা থেকে হাত সরিয়ে নিবে, কেয়ামতের দিন তার নাজাতের জন্য কোন দলিল থাকবে না। আর যে ব্যক্তি পীর-মুরিদী গ্রহণ করা ছাড়া মৃত্যুবরণ করবে তার মৃত্যু জাহেলী যুগের বেঈমানদের মত হবে। (মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৮ পৃ.)
যারা আপনার কাছে মুরীদ হচ্ছে তারা বস্ত্মুত আল্লাহ পাকের কাছেই মুরীদ হচ্ছে, আল্লাহ্র হাত তাদের হাতের উপর রয়েছে। যারা এর অঙ্গীকার ভঙ্গ করবে, অবশ্যই সে তার ক্ষতির জন্যেই করবে। আর যে আল্লাহ পাকের সাথে মুরিদ হওয়ার অঙ্গীকার পূর্ণ করবে, অতি সত্ত্বর তিনি মহা পুরস্কার দান করবেন। (সূরা ফাতাহ্, আয়াত ১০)
নিশ্চয় আল্লাহ পাক ঐ সকল মুমিনদের প্রতি সন্ত্মুষ্ট, যারা গাছের নিচে আপনার হাতে মুরিদ হয়েছে, তাদের অন্ত্মরের অবস্থা তিনি পূর্ব থেকেই জ্ঞাত। সুতরাং তাদের প্রতি নাযিল করলেন প্রশান্তচিত্য, অচিরেই তাদেরকে দান করবেন বিজয়ের তৃপ্তি। (সূরা ফাতাহ, আয়াত নং ১৮)
হযরত আবদুল্লাহ বিন আমর বিন আস (রা.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি কোন শায়েখের হাতে মুরিদ হবে। সে যেন এর অঙ্গীকারও পূর্ণ করতে থাকে এবং অন্ত্মর দ্বারা পীরকে ভালবাসতে থাকে। আর যথা সম্ভব পীরের অনুকরণ ও অনুসরণ করতে থাকে। ***
(মুসলিম শরিফ ২ খ. ১২৬ পৃ.)