আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2311

লেনদেন

প্রকাশকাল: 28 মে 2012

প্রশ্ন

আসসালামুয়ালাইকুম, ১. একটি হজ্জ এজেন্সি যেটা কিনা ব্যাংক ঋন নিয়ে ব্যাবসা করে এবং হজ্জ যাত্রীদের সাথে কিছুটা প্রতারনা ও করে থাকে এখানে চাকুরী করা যাবে কি না? এখানে ব্যাংক ঋণ ও প্রতারনা দুইটা কথা, যদি না করা যায় তাহলে কি কারনে করা যাবে না বিস্তারিত জানালে উপকৃত হতাম ।
২. একজনের কাছ থেকে কিছু টাকার বিনিময়ে জমি বন্দক নেয়া হলো এবং চুক্তি হলো, সময় তিন আবাদ বা তিন বছর, এই আবাদি ফসল আমার জন্য জায়েজ হবে কি? এর আগে সে টাকা ফেরত দিলে তাকে জমি দেয়া হবে কিনা সেটা চুক্তিতে নেই এক্ষেত্রে কি করনীয়? কোরআন ও হাদিসের আলোকে জানালে উপকৃত হতাম।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ঋন নিলে তারা গোনাহগার হবে, আপনার চাকুরী করতে সমস্যা নেই। তবে প্রতারণা একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। যদিও মূল দায়-দায়িত্ব মালিখ পক্ষের তবুও এই ধরণের প্রতিষ্ঠানে চাকুরী না করাই একজন মূমিনের জন্য অধিতর নিরপাদ। ২। না, এই আবাদী ফসল আপনার জন্য জায়েজ হবে না। টাকা নিয়ে যতদিন টাকা দিতে পারবে না ততদিন জমির ফসল বন্ধকগ্রহিতার এরপর যখন টাকা দিবে তখন পূর্ণ টাকা নিয়ে জমি ফিরিয়ে দেয়া এটা সম্পূর্ণ সুদ। এই সুদ থেকে আমাদের অবশ্যই বিরত থাকতে হবে। এই প্রসঙ্গে ইমাম বাইহাক্কী রহ. বলেন, وروينا عن فضالة بن عبيد ، أنه قال : كل قرض جر منفعة فهو وجه من وجوه الربا ، وروينا عن ابن مسعود ، وابن عباس ، وعبد الله بن سلام ، وغيرهم في معناه (রাসূলের সাহাবী) ফুজালা ইবনে উবাইদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, এমনপ্রতেক ঋন যা ঋনদাতাকে উপকার করে তা সুদের একটি প্রকার। সাহাবী আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, ইবনেআব্বাস,আব্দুল্লাহ ইবনে সালাম,এবং অন্যান্যদের থেকে এই ধরণের কথা বর্ণিত আছে। সুনানুল কুবারা, হাদীস নং ২৫২৫। অন্যান্য ইমামদের মতামত ও দলীলসহ বিস্তারিত জানতে দেখুন, আল-ইসলাম সুয়াল ও জবাব, প্রশ্ন নং140078। বন্ধক চুক্তি এমন হবে যে, টাকা দিলে বন্ধকি দ্রব্য বা জমি ফিরিয়ে দিতে হবে। ৩ আবাদ বা ৩ বছর চুক্তির কোন গ্রহনযোগ্যতা নেই। ইসলামী বিধানমতে জমি বন্ধক দেয়ার ওনেয়ার নিয়ম হলো, বন্ধক দাতা যে টাকা গ্রহিতার কাছে থেকে নিবেন প্রতি বছর ফসলের বিনিময়ে সে টাকা থেকে একটি যৈাক্তিক পরিমাণ টাকা কমে যাবে। যেমন যদি কেউ ১লক্ষ টাকার বিনিময়ে একটি জমি বন্ধক রাখলো। আর ঐ জমিতে ১০হাজার টাকার ফসল প্রতি বছর হয় তাহলে প্রতি বছর এক লাখ টাকা থেকে ১০ হাজার টাকা কমে যাবে। উল্লেখ্য ফসলের দাম নির্ধারনের ক্ষেত্রে কিছুটা কমবেশী করা যেতে পারে, তবে অযৈাক্তিক কোন দাম যেন নির্ধারণ না করা হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। এছাড়া এই ধরনের কোন চুক্তি করা যেতে পারে, যেখানে ফসলের বিনিময়ে জমির মালিক অর্থ পাবে।