ওয়া আলাইকুমুস সালাম। একজন কুরআনের হাফেজ ১০ জন লোককে জান্নাতে নিয়ে যাবেন এই কথাটি একটি হাদীসে উল্লেখ আছে। হাদীসটি হলো عَنْ عَلِيِّ بْنِ أَبِي طَالِبٍ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ قَرَأَ الْقُرْآنَ وَاسْتَظْهَرَهُ فَأَحَلَّ حَلاَلَهُ وَحَرَّمَ حَرَامَهُ أَدْخَلَهُ اللَّهُ بِهِ الْجَنَّةَ وَشَفَّعَهُ فِي عَشَرَةٍ مِنْ أَهْلِ بَيْتِهِ كُلُّهُمْ وَجَبَتْ لَهُ النَّارُ . قَالَ أَبُو عِيسَى هَذَا حَدِيثٌ غَرِيبٌ لاَ نَعْرِفُهُ إِلاَّ مِنْ هَذَا الْوَجْهِ وَلَيْسَ إِسْنَادُهُ بِصَحِيحٍ . وَحَفْصُ بْنُ سُلَيْمَانَ يُضَعَّفُ فِي الْحَدِيثِ অর্থঃআলী ؓ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল ﷺ বলেছেন, যে ব্যক্তি কোরআন তেলওয়াত ও মুখস্থ রেখেছে এর হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম মেনেছে। তাকে আল্লাহ জান্নাতে প্রবেশ করাবেন এবং তার পরিবারের এমন দশজন লোক সম্পর্কে তার সুপারিশ কবুল করবেন যাদের প্রত্যেকের জন্য জাহান্নাম আবশ্যক ছিলো। সুনানু তিরমিযী হাদীস নং ২৯০৫। ইমাম তিরমিযী রহ. হাদীসটি সম্পর্কে বলেছেন, হাদীসটির সনদ সহীহ নয়। শায়খ আলবানী রহ. হাদীসটিকে অত্যন্ত যয়ীফ বলেছেন। তবে হাফেজদের মর্যঅদা সম্পর্কে দুটি সহীহ হাদীস নিচে দিয়ে দিলাম:
نْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ الْمَاهِرُ بِالْقُرْآنِ مَعَ السَّفَرَةِ الْكِرَامِ الْبَرَرَةِ وَالَّذِي يَقْرَؤُهُ يَتَتَعْتَعُ فِيهِ وَهُوَ عَلَيْهِ شَاقٌّ لَهُ أَجْرَانِ اثْنَانِ অর্থঃ আয়েশা ؓ হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কুরআন মজিদে দক্ষ ব্যক্তি (আখেরাতে) সম্মানিত নেককার লিপিকার ফেরেশতাদের সাথে থাকবে। যে ব্যক্তি ঠেকে ঠেকে কষ্ট করে কুরআন পড়ে সে দুটি পুরষ্কার পাবে। সহীহ মুসলীম হাদীস নং ৭৯৮। حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرٍ، حَدَّثَنَا عُبَيْدُ اللَّهِ بْنُ مُوسَى، أَنْبَأَنَا شَيْبَانُ، عَنْ فِرَاسٍ، عَنْ عَطِيَّةَ، عَنْ أَبِي سَعِيدٍ الْخُدْرِيِّ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُقَالُ لِصَاحِبِ الْقُرْآنِ إِذَا دَخَلَ الْجَنَّةَ اقْرَأْ وَاصْعَدْ . فَيَقْرَأُ وَيَصْعَدُ بِكُلِّ آيَةٍ دَرَجَةً حَتَّى يَقْرَأَ آخِرَ شَىْءٍ مَعَهُ অর্থঃআবু সাঈদ আল খুদরী ؓ থেকে বর্ণীত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, কোরআনের বাহককে জান্নাতে প্রবেশকালে বলা হবে, তুমি পাঠ করতে থাকো এবং উপরে আহরন করতে থাকো। অত:পর সে পড়তে থাকবে এবং প্রতিটি আয়াত পড়ার সাথে সাথে একটি স্তর অতিক্রম করবে। এভাবে সে তার জ্ঞাত শেষ আয়াতটি পর্যন্ত পড়বে। সুনানু ইবনু মাজাহ, হাদীস নং ৩৭৮০। শায়খ শুয়াইব আরনাউত রহ. এবং শায়েখ আলবানী রহ. হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। হাজী কাউকে সুপারিশ করবে এ রকম কথা শুনি নি। তবে হাদীসে যাই থাকুক না কেন আপনার চাচার নামায ছাড়ার সুযোগ নেই।