আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2213

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 20 ফেব্রু. 2012

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম।মুহতারাম, আমি খুব সংশয় এ আছি।তাক্লিদে শাকছি বিষয় নিয়ে। কেউ বলছেন এটি শিরক, আবার একজন আলেম তার কিতাবে তাক্লিদে শাকছি কে অপরিহার্য বলেছেন। দলিল দিয়েছেন বুখারি ১৬৪৭, ৬২৮০, মুস্নাদে আহমদ ২২০৮০, আবু দাউদ ৪৩২ নং হাদিস সহ বিভিন্ন আলেমের মতামত দিয়েছেন। এ বিষয়ে শরিয়তের আলকে আপনার মতামত চাই। বিভিন্ন মাযহাবের মাসালা মানাকে নফসের খায়েস বা প্রবৃত্তি বলেছেন। ২। তালফিক বিষয় নিয়ে বিস্তারিত জানালে ভাল হয়। বিভিন্ন মাযহাবের ইস্তিহাদ মানা যাবে কিনা? যেখানে এক মাসালা ভিন্ন ধরমি সেখানে নই, যেমন নারি স্পর্শ অজু নষ্ট হয় বা না। একটা নিতে হবে কিন্তু মাগরিবে যদি রফাল ইয়াদিন করি আমিন জরে বলি হাত বুকে বাধি আবার এশাতে হাত নিচে বাধি আমিন আস্তে বলি তাহলে সমস্যা আছে কি? হানাফি মাযহাবে থেকে কন কন মাসালাই ইবনে বায, শাইখ উসাইমিন রাহ: উনাদের মতামত নেয়া যাবে কি?
উত্তারটা জরুরি। কারও সাথে বিতর্ক কিনবা কাউকে ভুল প্রমানিত করা বা হেয় করা উদ্দেশ্য নই। আমি সাধারন লেখাপড়া করা মানুষ। ধর্মকে সঠিক ভাবে জানতে ও মানতে চাই।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। যখন কোন বিষয়ে আপনি জানবেন না তখন কোন আলেমের নিকট থেকে জেনে নিবেন। পরবর্তীতে যদি দেখেন ঐ আলেমের বক্তব্য কুরআন-সুন্নাহর দৃষ্টিতে ভুল তখন আপনি সেই মত থেকে সরে আসবেন। তাকলীদে শাকছির অর্থ যদি হয় আপনি সহীহ বিষয়ীট জানার পরও ঐ মতেই থাকবেন তাহলে তাহলে এটা গুনাহ আর যদি সেখান থেকে ফিরে আসেন তাহলে ঠিক আছে। ২।রাফয়ে ইয়াদাইন বা এ জাতীয় মাসআলা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মতামত মানতে পারেন। ভাই, মাজহাবার মানার অর্থ আমি কুরআন-সুন্নাহ থেকে সব বিষয় বের করতে পারবো না তাই কোন আলেমের মতামত মেনে চলা। কোন বিষেয়ে অন্য কোন মতামত অধিকতর কুরআন-সুন্নাহ উপযোগী হলে সেটা মানতে কোন সমস্যা নেই। তবে সেগুলো একজন অভিজ্ঞ আলেমের মাধ্যমে হলে ভাল হবে। নয়তো সমস্যা হতে পারে।