যদি কোন মসজিদের নিয়মিত নিযুক্ত ইমাম বিদআতি বা পাপী হন তবে তার নিয়োগের জন্য সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিগণ পাপী হবেন। সাধারণ মুসল্লি যদি অন্য কোন ভাল ইমামের পিছনে সালাত আদায়ের সুযোগ পান তাহলে ভাল, নইলে এরুপ পাপী ইমামের পিছনেই সালাত আদায় করতে হবে। নেককার ইমামের পিছনে সালাত আদায়ের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু সুস্পষ্ট ও দ্ব্যর্থহীন কুফর-শিরক না পাওয়া পর্যন্ত কোনো অজুহাতে জামাআত বা জুমুআ ত্যাগ করা যাবে না। ঐক্য বজায় রেখে উত্তম ইমামের জন্য চেষ্টা করতে হবে। আর আপনি যে শিরকের কথা উল্লেখ করেছেন সম্ভবত তা এমন নয় যে, তার পিছনে সালাতই আদায় করা যাবে না। কারণ শিরকের অনেক পর্যায় আছে। সব শিরকই এই পর্যায়ের নয় যে, শিরক কারীর পিছনে সালাত আদায় করা যাবে না। প্রসিদ্ধ কালামবিদ ইমাম আবুল হাসান আশয়ারী র. (৩২৪হি.) বলেন, ومن ديننا أن نصلي الجمعة والأعياد وسائر الصلوات والجماعات خلف كل بر وفاجر كما روى أن عبد الله بن عمر رضى الله عنهم كان يصلي خلف الحجاج
অর্থ: আর আমাদের দীনের অন্যতম দিক যে, আমরা জুমুয়ার সালাত, ঈদগুলো এবং অন্যান্য সকল সালাত এবং জামাআত নেককার ও বদকারের পিছনে আদায় করি। যেমনিভাবে বর্ণিত আছে,আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রা. হাজ্জাজ ইবনে ইউসুফের পিছনে সালাত আদায় করতেন (মুসান্নিফে ইবনে আবী শায়বা হাদীস নং ১৪১৭৫)। আল-ইবানাহ আন উসূলিদ দিয়ানাহ, ১/২০। দলীলসহ বিস্তারিত জানতে পড়ন ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর স্যার রচিত আল-ফিকহুল আকবার পৃষ্ঠা ৩৩৭-৩৭৯ এবং রাহে বেলায়াত পৃষ্ঠা ৫৬৩-৫৬৮