আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2172

ঈমান

প্রকাশকাল: 10 জানু. 2012

প্রশ্ন

শায়েখ উসাইমিনের লেখা বাংলা অনুবাদ সালাত তরক কারীর বিধান নামক গ্রন্থে নামাজ তরক কারীকে কাফের প্রমান করে মুরতাদের সমস্ত হুকুম লাগিয়েছেন। যেমন: জবেহকৃত পশু খাওয়া হারাম, হেরেমে প্রবেশ নিষিদ্ধ, আত্মীতার সম্পর্ক নিষিদ্ধ, মিরাছ পাবে না ইত্যাদী । প্রমান পেশ করেছেন হাদীস ও আয়াত। আমাদের উলামাগন কাফের বলেন না । তরক শব্দকে অশীকার অর্থে ব্যখ্যা করেন। আমি জানতে চাই যে এমন কোন আয়াত, হাদীস, আছার বা নস কি আছে যার দারা বুঝা যায় যে নামাজ তরক করলে কাফের হয় না।

উত্তর

শায়খ য়খ উসায়মিন রাহ. কে প্রশ্ন করা হলো, وقد سئل رحمه الله : عن الإنسان الذي يصلي أحيانا ويترك أحيانا أخرى ، فهل يكفر ؟ যে ব্যাক্তি অনেক সময় নামায আদায় করে এবং অনেক সময় করে না, তার বিধান কি? উত্তরে তিনি বলেন, আমি যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা হলো, কাফের তখন হবে যখন জীবনে কখনই নামায ছাড়বে না। পক্ষান্তরে যে কখনো কখনো নামায আদায় করে সে কাফের হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, মানুষের মাঝে আর কুফর ও শিরকের মাঝে পার্থক্য হলো নামায ছেড়ে দেয়া। তিনি বলেন নি, এক ওয়াক্ত নামায ছেড়ে দেয়া। বরং বলেছেন, নামায ছেড়ে দেয়া। .. এসবের উপর ভিত্তি কর আমাদের সিদ্ধান্ত হরো যে ব্যক্তি কখনো ছাড়ে এবং কখনো পড়ে সে কাফের নয়। মাজমুউল ফাতাওয়া ইবনে উসায়মিন, ৫৫/১২। فأجاب : الذي يظهر لي أنه لا يكفر إلا بالترك المطلق بحيث لا يصلي أبداً ، وأما من يصلي أحيانا فإنه لا يكفر لقول الرسول صلى الله عليه وسلم : ( بين الرجل وبين الشرك والكفر ترك الصلاة ) ولم يقل ترك صلاة ، بل قال : ترك الصلاة ، وهذا يقتضي أن يكون الترك المطلق ، وكذلك قال : ( العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها ـ أي الصلاة ـ فقد كفر ) ، وبناء على هذا نقول : إن الذي يصلي أحيانا ويدع أحيانا ليس بكافر انتهى من مجموع فتاوى ابن عثيمين ( 12 / 55 ) . আমি যেটা বুঝতে পেরেছি সেটা হলো, কাফের তখন হবে যখন জীবনে কখনই নামায ছাড়বে না। পক্ষান্তরে যে কখনো কখনো নামায আদায় করে সে কাফের হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ স. বলেছেন, মানুষের মাঝে আর কুফর ও শিরকের মাঝে পার্থক্য হলো নামায ছেড়ে দেয়া। তিনি বলেন নি, এক ওয়াক্ত নামায ছেড়ে দেয়া। বরং বলেছেন, নামায ছেড়ে দেয়া। .. এসবের উপর ভিত্তি কর আমাদের সিদ্ধান্ত হরো যে ব্যক্তি কখনো ছাড়ে এবং কখনো পড়ে সে কাফের নয়। মাজমুউল ফাতাওয়া ইবনে উসায়মিন, ৫৫/১২। ভাই, আশা করি শায়খ উসায়মিন রা. আসলে কী বলতে চেয়েছেন তা বুঝতে পেরেছেন। এখন দ্বিতীয় কথা হলো নামায তরক করলে কাফের হবে না তার কোন দলীল আছে কি না। হাদীসে স্পষ্ট কিছু নেই। যারা এই মত পোষন করেন তাদের কথা হলো রোজা, হ্জ্জ তরক করলে যেমন কেউ কাফের হয় না তেমনি নামায ছেড়ে দিলেও কাফের হবে না। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, যে বলবে লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ জাহান্নাম তার উপর হারাম হবে। আরো জানতে দেখুন https://islamqa.info/ar/185619 https://www.binbaz.org.sa/fatawa/4361 https://islamqa.info/ar/2182 প্রয়োজনে 01734717299