আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 2016

ঈমান

প্রকাশকাল: 7 আগস্ট 2011

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। আশা করি আপনারা ভালো আছেন। অনেকদিন হয় কোন প্রশ্ন করা হয় না। চেস্টা করি অন্যের প্রশ্ন করা থেকে নিজের প্রশ্ন খোঁজ করা। আল্লাহ্ সুবহানুতায়ালা আপনাদের চেষ্টা কবুল করুন। আমিন। আজকে জুম্মার খুতবায় ইমাম সাহেব ওয়াজ করলেন আমাদের নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ব্যপারে। উনি বলল যে আমাদের নবী হায়াতুন্নবী। কবরে নাকি উনি জিন্দা আছেন। এমনও তার অনেক আশেক আছেন যারা উনার কবরে গিয়ে সালাম দিলে আমাদের নবী যে উত্তর দেন সেটা উনারা শুনতে পায়। আমি যতটুকু জানি সেটা রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কবরে গিয়ে সালাম দিলে উনি সালাম এর উত্তরদিয়ে থাকেন কিন্তু এটা আমাদের জগতের কারো শুনার কথা না। আমি জানি কবরে বারজাখ বা মধ্যবর্তী জীবন। কিন্তু এটা মনে করা কি ঠিক যে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের মত মানে আমরা যেভাবে জীবিত আছি সেভাবে জীবিত আছেন? আর এ আকিদা কি পোষণ করা যাবে? আর হায়াতুন্নবী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাই। জাজাকাল্লাহ খইরান ভাই।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। ভাই, আপনার আকীদা ঠিক আছে। রাসূলুল্লাহ সা. কে দেয়া সালামের উত্তর কোন মানুষ শুনতে পারে এটা ঠিক নয়। হায়াতুল আম্বিয়া বিষয়ে শায়খ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. বিস্তারিত আলোচনা করেছেন তাঁর, ইসলামী আকীদা গ্রন্থে। যার শিরোনাম তাঁর ওফাত বিষয়ক বিতর্ক। পৃষ্ঠা ২২২। সেখানে আলোচনার এক পর্যায়ে তিনি বলেছেন, অনেক সহীহ হাদীসে বলা হয়েছে যে, মুমিন বিশ্বের যেখানে থেকেই দরুদ ও সালাম পাঠ করবেন, ফিরিশতাগণ সেই সালাত ও সালাম রাসূলুল্লাহ সা.-এর রাওযা মুবারাকায় পৌঁছিয়ে দেবেন। উপরের হাদীসগুলি থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূলুল্লাহ সা.-এর ইন্তেকালের পরে তাঁকে এক প্রকারের জীবন দান করা হয়েছে। এই জীবন বারযাখী জীবন, যা একটি বিশেষ সম্মান ও গায়েবী জগতের একটি অবস্থা। এ বিষয়ে হাদীসে যতটুকু বলা হয়েছে ততটুকুই বলতে হবে। হাদীসের আলোকে আমরা বলব, এই অপার্থিব ও অলৌকিক জীবনে তাঁর সালাত আদায়ের সুযোগ রয়েছে। কেউ সালাম দিলে আল্লাহ তাঁর রূহ মুবারাককে ফিরিয়ে দেন সালামের জবাব দেওয়ার জন্য। রাওযার পাশে কেউ দরুদ বা সালাত পাঠ করলে তিনি তা শুনেন, আর দূর থেকে পাঠ করলে তা তাঁর নিকট পৌঁছানো হয়। এর বেশি কিছুই বলা যাবে না। বাকি বিষয় আল্লাহর উপর ছেড়ে দিতে হবে। বুঝতে হবে যে, উম্মাতের জানার প্রয়োজন নেই বলেই রাসূলুল্লাহ সা. বাকি বিষয়গুলি বলেন নি। আল্লাহ ভাল জানেন।