কোন কোন নামায প্রথম ওয়াক্তে পড়া উত্তম। আবার কোন কোন নামায বিলম্ব করে পড়া উত্তম। ইশার নামায বিলম্বে পড়া উত্তম। কেননা একদিন বেশী রাত হওয়ার পর এশার নামায আদায় করে রাসূলুল্লাহ সা.বলেছেন, لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي ، أَوْ عَلَى النَّاسِ وَقَالَ سُفْيَانُ أَيْضًا عَلَى أُمَّتِي – لأَمَرْتُهُمْ بِالصَّلاَةِ هَذِهِ السَّاعَةَ. আমি যদি আমার উম্মাতের উপর (কঠিন হওয়ার) আশংকা না করতাম তাহলে এই সময় (ইশার) নামায পড়ার আদেশ দিতাম। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৭২৩৯। গরম বেশী হলে যুহরের সালাত বিলম্ব করে পড়া উত্তম। এই বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, إِذَا اشْتَدَّ الْحَرُّ فَأَبْرِدُوا بِالصَّلاَةِ.যখন গরম বেশী হবে তখন (যুহরের) নামায ঠান্ডা অবস্থায় পড়বে। সহীহ বুখরী, হাদীস নং ৫৩৫। অন্যান্য নামাযগুলো প্রথম ওয়াক্তে পড়া উত্তম। ২। এই বিষয়ে হাদীসে স্পষ্ট কিছু নেই। দৃষ্টি সাভাবিক রাখবেন। ৩। ওয়া আলাইকুমুস সালাম। স্যার রহ. ইন্তেকালের পূর্বে এই প্রশ্নের একটি উত্তর আমরা তার তত্বাবাধানে দিয়েছি। যেটা আমাদের দেয়া ০২৪৯ নং প্রশ্নের উত্তর। আমি সেটা আপনার এখানে দিয়ে দিলাম। সাহাবী ওয়াইল ইবনে হুযর বলেন,
عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ، قَالَ : رَأَيْتُ النَّبِيَّ صَلَّى الله عَليْهِ وسَلَّمَ قَدْ حَلَّقَ الإِبْهَامَ وَالْوُسْطَى ، وَرَفَعَ الَّتِي تَلِيهِمَا ، يَدْعُو بِهَا فِي التَّشَهُّدِ
আমি রাসূলূল্লাহ সা. কে দেখেছি, তিনি বৃদ্ধাঙ্গুলি ও মধ্যমা আঙ্গুলি এক সাথে করে গোলাকার করলেন এবং ঐ দুই আঙ্গুলির সাথে যুক্ত আঙ্গুলিটি (শাহাদাৎ আঙ্গুলি) উচুঁ করলেন এবং তা দ্বারা তাশাহুদের মধ্যে দোয়া করলেন। সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ৯১২। হাদীসটি সহীহ। সহীহ মুসলিমসহ বিভিন্ন কিতাবে এমন অর্থের অনেক হাদীস বহু সাহাবী থেকে বর্ণিত আছে। কোন কোন হাদীসে আঙ্গুল নাড়ানো আবার কোন কোন হাদীসে না নাড়ানোর কথা আছে। এর মধ্যে না নাড়ানোর হাদীসটি সহীহ বলে মনে হয়। হাদীসটি আছে সুনানে আবু দাউদ হাদীস নং ৯৮৯, সুনানু নাসায়ী,হাদীস নং ১২৭০্ । মোট কথা ইশারা করার কথা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমানিত, তবে কখন থেকে ইশারা শুরু করবে, কিভাবে করবে সে ব্যাপারে সর্বাক্যমতে সহীহ কোন দলীল পাওয়া যায় না, এ কারণে ইশারার ধরন নিয়ে আলেমদের মধ্যে মতভেদ আছে। সুতরাং যেভাবেই করুন আপনার ইশারার সুন্নাত আদায় হয়ে যাবে ইনশাআল্লাহ। ইশারার একটি সুন্নাত পদ্ধতি পুরো বৈঠকে শাহাদাৎ আঙ্গুলি উচুঁ করে রেখে আঙ্গুল না নাড়িয়ে ইশারা করা। ৪। সুবহানাল্লাহ বলা সুন্নাত।