ওয়া আলাইকুমুস সালাম। হ্যাঁ, সফরে থাকা অবস্থায় জামায়াতে ইমামের পিছনে নামায না পড়লে কসর করা আবশ্যক। হযরত আয়েশা রা. বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ ثُمَّ هَاجَرَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فَفُرِضَتْ أَرْبَعًا وَتُرِكَتْ صَلاَةُ السَّفَرِ عَلَى الأُولَى
অর্থ: সালাত দুরাকআত ফরজ করা হয়েছিল। এরপর নবীয়্যুল্লাহ সা. হিজরত করেন। তখন চার রাকআত ফরজ করা হয়। আর সফরের সালাতকে পূর্বের অবস্থায় রাখা হয়। সহীহ বুখারী হাদীস নং.৩৯৩৫। হযরত আয়েশা রা. অন্য হাদীসে বলেন,
فُرِضَتِ الصَّلاَةُ رَكْعَتَيْنِ رَكْعَتَيْنِ فِى الْحَضَرِ وَالسَّفَرِ فَأُقِرَّتْ صَلاَةُ السَّفَرِ وَزِيدَ فِى صَلاَةِ الْحَضَرِ
অর্থ: সফর এবং হাদর ( সাধারণ) উভয় অবস্থাতেই সালাত দুই রাকাত করে ফরজ করা হয়েছিল। এরপর সফরের সালাত ঠিক রাখা হয় আর হাদরের (মুকিম তথা সাধারনণঅবস্থার ) সালাতে বৃদ্ধি করা হয়। সহীহ মুসলিম,হাদীস নং ১৬০২। তবে জামায়াতে ইমামের পিছনে নামায পড়লে পুরো নামায পড়তে হবে। কেননা রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, قَالَ إِنَّمَا جُعِلَ الإِمَامُ لِيُؤْتَمَّ بِهِ فَلاَ تَخْتَلِفُوا عَلَيْهِ
অর্থ: ইমাম নির্ধারণ করা হয় তাকে অনুস্বরণের জন্য সুতরাং তোমরা তার বিপরীত করবে না। …………. (হাদীসটি অনেক লম্বা। )সহীহ বুখারী, হাদীস নং৭২২। ঢিলা কুলুপের বিষয়ে ৭৬নং প্রশ্নের উত্তরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি। পুরুষ ও মহিলাদের নামাযের বিষয়ে ২৮ নং প্রশ্নের উত্তরে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। দয়া করে সেগুলো দেখুন। ফেসবুক আইডিটি নিচে দেয়া হল। www.facebook.com/Dr.KhandakerAbdullahJahangir