ওয়া আলাইকুমুস সালাম। আল্লাহ সূরা কাওসারে কুরবানী করার আদেশ দিয়েছেন। রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, সামর্থ থাকা সত্তেও কুরবানী না করলে ইদগাতে যেন না আসে। আল-মুসাতারক লিল-হাকেম, হাদীস নং ৩৪৬৮। হাদীসটিকে শায়খ আলবানী হাসান বলেছেন। কেউ কেউ সহীহ বলেছেন। সহীহ ওযীফ তারগীব, হাদীস নং ১০৮৭। এসব বিবেচনায় আলেমদের একটি অংশ বলেছেন, ওয়াজিব। কুরআন ও হাদীসের ভাষ্যের দিকে তাকালে ওয়াজিবই মনে হয়। তবে ওয়াজিবটা হলো আমলের দিকে দিয়ে। বিশ্বাসের দিক দিয়ে সুন্নাতই মনে করতে হবে। আর কুরবানী সুন্নাত বলার ফলাফল মধ্যপ্রাচ্য ভোগ করছে। সেখানে সামর্থ থাকা সত্তেও অধিকাংশ মানুষ কুরবানী করে না। সেখানে কুরবানীর ঈদ যে, ধনী-গরীবের মহামিলনের উৎসব সেটা মনেই হয় না। আরেকটি কথা মনে রাখবেন যারা সুন্নাত বলেছেন, তারা সুন্নাতে মুয়াক্কাদা বলেছেন। তাদের নিকট সুন্নাতে মুয়াক্কাদা ওয়াজিবের স্থানে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন। শেষ কথা বলি আপনার নিকট কুরবানী করা সুন্নাত হওয়ার অর্থ যেন এটা না হয় যে, বাচাঁ গেল, যেহেতু সুন্নাত তাহলে আর কুরবানী করা লাগবে না। সাহাবীদের কেউ কেউ করাবনী করেন নি এর থেকে প্রমানিত হয় যে, ফরজ নয়। কারণ কুরআন ও হাদীসের ভাষ্য থেকে ফরজ মনে করারও অবকাশ আছে।