আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1859

বিবিধ

প্রকাশকাল: 3 মার্চ 2011

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ১। কুরবানির মাংস ৩ ভাগ করতে হয়। একভাগ নিজের জন্য, একভাগ গরিব মিসকিন আর একভাগ আত্মীয়দের/প্রতিবেশীর জন্য। এইটা কি সুন্নাত সম্মত? এক আলেমকে বলতে শুনেছি হাদিসে আত্মীয়ের ভাগ বলে কিছু নাই আর যেটা আছে ওইটা জাল, উনি বলেছেন ৩ ভাগ হবে এক ভাগ নিজেরা খাবে, এক ভাগ জমা রাখবে আর একভাগ গরিব মিসকিনকে দিবে। কেউ যদি ইচ্ছা করে তাইলে নিজের ভাগ থেকে আত্মীয়কে দিতে পারে। এই বিষয়ে জানতে চাচ্ছি। তাহলে কি কুরবানির মাংস আত্মীয়ের ভাগ বলে কিছু নাই?
২। আরাফাতের দিন (৯ জিলহাজ্জ) রোযা রাখতে বলেছেন রাসূল (সাঃ)। সৌদিতে যেদিন ৯ জিলহাজ্জ সেদিন আমাদের এখানে ৮ জিলহাজ্জ। এখন আমরা কবে রোযা রাখব আমাদের দেশের ৮ জিলহাজ্জ না ৯ জিলহাজ্জ? আর এবার ৯ জিলহাজ্জ আমাদের দেশে শুক্রবার এক্ষেত্রে কি করনীয়?
৩। আমাকে একজন বলেছে যে, কেউ যদি দৈনিক ১০০০ বার দরুদ শরিফ পাঠ করবে সে একদিন রাসূল (সাঃ) স্বপ্নে দেখবে। এইটা নাকি হাদিসে কুদছি। আমি এই বিষয়টা জানতে চাচ্ছি। ৪। যখন কোন শিশু জন্ম নেয় তখন তার শরীরের ১০টা অংশ আল্লাহ্ এর জিকির করতে থাকে। সে বড় হতে থাকে আর পাপ করতে থাকে এতে তার শরীরের ওই অংশগুলো আল্লাহ্ এর জিকির বন্ধ করে দেয়। সেজন্য ১০ লতিফা দিয়ে ওই অংশগুলোর আল্লাহ্ এর জিকির ফিরিয়ে আনতে হয়। এই বিষয়টার সত্যতা জানতে চাচ্ছি আর একটু বিস্তারিত আলোচনা করলে খুশি হতাম। আমার প্রশ্নে কোন ভুলত্রুটি থাকলে ক্ষমা দৃষ্টিতে দেখবেন। যাযাকাল্লাহ্ খাইরান

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। কুরবানীর গোশত তিন ভাগ করা আবশ্যক নয়। আলেমগণ মুস্তাহাব বলেছেন। তবে ঐ আলেম যা বলেছেন এমন কথা কেউ বলেন নি। আপনার পক্ষে বেশী দান করা সম্ভব হলে বেশী করবেন। আবার পরিবারের লোক সংখ্যা বেশী হলে নিজেরা বেশী করে রাখতে পারবেন। কোন নির্দিষ্ট ভাগ ইসলামে করে দেয়া হয় নি। আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বলেছেন, فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ তোমরা কুরবানীর গোশত খাও এবং গরীবদেরকে খাওয়াও। সূরা হাজ্জ, আয়াত ২৮। এখানে তোমরা খাও বলতে আত্নীয়রাও এসে যায়। আল্লাহ ভাল জানেন। ২। আরাফার দিন অর্থ হলো ৯ জ্বিলহজ্জ। যেমনি ভাবে কুরবানীর দিন অর্থ হলো ১০ জ্বিলহজ্জ। সুতরাং আমাদের দেশে ৯ জিলহজ্জ শুক্রবার রোজা রাখতে হবে। কোন কোন আলেম বলেছেন, সৌদি আরবের আরাফার দিন হিসাবে রোজা রাখলেও হবে। ৩। এ ব্যাপারে আমাদের জানা নেই। ৪। এই বিষয়েও আমাদের জানা নেই। এগুলো সুন্নাত থেকে দূরে রাখার কৌশল।