আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1809

শিরক-বিদআত

প্রকাশকাল: 12 জানু. 2011

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম । জনৈক ইমাম সাহেব একদিন বললেন, নাফসে মুতমায়িন্নাহ্ এর একটি বৈশিষ্ট্য হলো সবসময় প্রবৃত্তির বিরোধীতা করা । তিনি আরো বললেন, প্রবৃত্তির বিরোধিতা এমন একটি গুন যে যদি এ বৈশিষ্ট্য কোন কাফিরেরও থাকে তাহলে সে সাধক হয়ে যায় । তারপর তিনি নিম্নোক্ত কাহিনী বর্ননা করলেন, একদা খাজা মইনুদ্দীন চিশতির এমন কঠিন অসুখ হয় যে কোনক্রমেই তিনি সেরে উঠেনননা । তার ভক্তরা বলল যে, এক হিন্দু সাধক আছে, সে কোন অসুস্থ্য ব্যাক্তির দিকে তাকালেই সে সুস্হ্য হয়ে যায়। এরপর অনিচ্ছা সত্ত্বেও খাজা মইনুদ্দীন চিশতিকে তার কাছে নিয়ে গেলে সেই সাধক তার দিকে তাকানো মাত্রই তিনি সুস্হ্য হয়ে যান । তাকে( সাধক) এর কারন জিজ্ঞেস করলে সে বলে যে, সবসময় সে প্রবৃত্তির বিরোধিতা করে চলে। পরে সে মুসলিম হয়। এখানে আল্লাহ ব্যাতিত অন্য কেউ সুস্হ্য করার ক্ষমতা রাখে এরকম ধারনা রয়েছে কী? এই ঘটনায় বিশ্বাস কী শিরক? হলে বড় শিরক নাকি ছোট শিরক? এমন ইমামের পেছনে স্বলাত আদায় করা যাবে কী? বিদ্র: উক্ত ইমাম সাহেবকে সহিহ আকীদার বলেই মনে হয়। তিনি কোরআন সুন্নাহর প্রতি খুবই গুরুত্ব দেন। তার অন্য একটি বক্তব্য উল্লেখ করলে হয়তো ধারনাটি পরিস্কার হবে: তিনি বলেছেন, পীর বা ওলীআল্লাহদের কাছে কোন কিছু চাওয়া বৈধ নয় । ওলীরা, নবীগন (আ.) যেমন আল্লাহর কাছেই চাইতেন, আপনারাও আল্লাহর কাছে চাইবেন । শুধুমাত্র ওলীদের কবর জিয়ারত করা বৈধ তবে জিয়ারতের উদ্দেশ্যে যাওয়াও বৈধ নয় । এখন প্রথমোক্ত ঘটনার সাথে শিরক সম্পর্কযুক্ত না হলে এটার (কারো দৃষ্টিতে রোগমুক্ত হওয়আ ) ব্যাখ্যা ও হুকুম কী? যাযাকুমুল্লাহ।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এভাবে রোগ সারতে পারে। হয়তো যাদুর প্রভাবে এমন হয়। তবে খাজা মইনু্দ্দিন চিশতী রহ. কোন হিন্দু সাধকের কাছে গিয়েছে এটা বিশ্বাস হয় না। তিনি নিজেই তো বড় মাপের মানুষ ছিলেন। রোগ থেকে মুক্ত হওয়ার দুআ-জিকির নিশ্চয় তিনি জানতেন। হিন্দু ডাক্তার কবিরাজের কাছে যেতে পারেন তবে সাধকের কাছে যাবেন এটা অবিশ্বাস্য। তবে আপনি উক্ত ইমাম সাহেবের কাছে উক্ত ঘটনার উৎস সম্পর্কে জানতে পারেন। দ্বিতীয়ত হিন্দু থাক অবস্থায় কিভাবে তিনি নফসে আম্মারা বিপরীত কাজ করলেন। নফসে আম্মারার বিপরীত করলে তো প্রথমেই তাকে মুসলিম হতে হবে। আল্লাহ ভাল জানেন।