আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1779

বিবিধ

প্রকাশকাল: 13 ডিসে. 2010

প্রশ্ন

বর্তমানে কিছু মানুষ দাবী করেন যে সারা বিশ্বে একই দিনে রোজা রাখতে হবে,ঈদ করতে হবে। এর পক্ষে একজন যুক্তি দিল বাংলাদেশের মানুষ সৌদির পরদিন থেকে রোজা রাখলে বাংলাদেশের বেজোড় রাত্রিগুলো হবে সৌদির জোড় রাত্রি। তাহলে তাদের লাইলাতুল কদর আর আমাদের লাইলাতুল কদরও ভিন্ন ভিন্ন দিনে হয়ে যায়। এই যুক্তি কীভাবে খন্ডন করা যায়?

উত্তর

নিচের হাদীটি লক্ষ্য করুন:عَنْ كُرَيْبٍ أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْتُ الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِى آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِى عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ. فَقَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ فَقُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ. فَقَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ. فَقُلْتُ أَوَلاَ تَكْتَفِى بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ فَقَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- কুরাইব থেকে বর্ণিত যে, উম্মে ফজল বিনত হারেছ তাকে তাকে কোন কাজে সিরিয়ায় মুয়াবিয়া রা. এর কাছে পাঠিয়েছিলেন। কুরাইব বলেন, আমি সিরিয়ায় গিয়ে আমার কাজ শেষ করলাম। আসম সিরিয়ায় থাকা অবস্থায় রমাজানের চাঁদ উঠে। আমি জুমুআর রাত্রে চাঁদ দেখলাম। এরপর মাসের শেষদিকে আমি মদীনায় ফিরলাম। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস রা. চাঁদ প্রসঙ্গে আলাচনা করতে গিয়ে বললেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছো? আমি বললাম, জুমুআর রাত্রে। তখন তিনি বললেন, তুমি দেখেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ এবং অন্য মানুষরাও দেখেছেেএবং রোজা রেখেছে, মুআবিয়া রা.ও রোজা রেখেছে। তখন ইবনে আব্বাস বললেন, আমরা শনিবার রাত্রে চাঁদ দেখেছি। আমরা রোজা রাখতেই থাকবো যতক্ষন না ৩০ টা হয় কিংবা চাঁদ দেখি। আমি বললাম, মুআবিয়া রা. এর চাঁদ দেখা এবং রোজা রাখা কিযথেষ্ট নয়? তিনি বললেন। এভাবেই রাসূলুল্লাহ সা. আমাদের আদেশ দিয়েছেন। সহীহ মুসলিম, হাদীস নং ২৫৮০। দেখুন, এই হাদীসে আমরা দেখছি যে, সিরিয়াতে জোড় রাত হলে মদীনায় বিজোড়। সাহাবীরা এটাই মেনে নিয়েছেন যে, দুই জায়াগার তারিখ দুরকম। যারা এইসব ফিতনা ফাসাদ করে বেড়াচ্ছে তার সম্ভবত সাহাবীদের চেয়েও বড় ফকিহ, না কি। যখন যেখানে চাঁদ উঠবে সেখানকার হিসাব সেখানে। আল্লাহর সওয়াবের অভাব নেই যে, দুই রাতে দিতে গেলে টান পড়বে। সাহাবীদের থেকে ধর্ম শিখুন এইসব মূর্খদের কাছে থেকে নয়।