আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1663

নামায

প্রকাশকাল: 19 আগস্ট 2010

প্রশ্ন

আস সালামু আলাইকুম। আমি বালেগ হওয়ার পর অসাবধানতা আর অবহেলা বশত কয়েক বছরের নামাজ ইচ্ছাকৃতভাবে আদায় করিনি। পরবর্তীতে হেদায়েত পাই আল্লাহর রহমতে। এখন কি আমাকে এই কয়েক বছরের নামাজ কাযা আদায় করতে হবে? (উমরী কাযা নামে সমাজে যেটা প্রচলিত)। কিয়ামতের দিন সবার প্রথমে আমার নামাজের হিসাব নেয়া হবে। নামাজ অসম্পূর্ণ হলে সব আমল ধ্বংস হয়ে যাবে। তাহলে কি আমাকে এই কয়েক বছরের এতগুলো নামাজ কাযা করতে হবে? নাকি আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করে বেশি বেশি নফল নামাজ আদায় করলে আল্লাহ মাফ করবেন? (যেহেতু হাদীসে ইচ্ছাকৃত নামাজ বাদের কাযার ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি}

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। রাসূলুল্লাহ সা. এর যুগে কোন মুসলমান ইচ্ছাকৃত ভাবে কোন নামাযই কাজা করেন নি সুতরাং ইচ্ছাকৃত ভাবে বছর বছর নামায কাজা করলে কি করতে হবে সে বিষয়ে সহীহ হাদীসে পাওয়া যাবে না। অধিকাংশ আলেমের অভিমত হলো বহুদিন ধরে ইচ্ছাকৃত নমায ছেড়ে দিলে (যাকে অনেকেই উমরি কাজা বলে) উক্ত নামায আদায় করতে হবে। তা সে যত ওয়াক্তই হোক না কেন। আর আল্লাহ তায়ালার কাছে ক্ষমা চাইতে হবে, যেন তিনি ক্ষমা করে দেন। তবে কোন কোন আলেম বলেছেন,উমরি কাজা করা লাগবে না, আল্লাহর কাছে তওবা করতে হবে, মাফ চাইতে হবে। সর্বাবস্থায় যথাসম্ভভ শুধু ফরয সালাতগুলো কাযা আদায় করা উচিত। সাধ্যের মধ্যে কাযা আদায় করার পাশাপাশি বেশি বেশি নফল সালাত আদায় করতে হবে এবং তাওবা ইসতিগফার করতে হবে। দলীল এবং ইমাম ও ফকীহদের মতামত বিস্তারতি জানতে দেখুন, আলফিকহুল ইসলামিয়্যতুল কুয়েতিয়্যাহ, ৩৪/২৬; আলফিকহুল ইসলামিয়্যু ও আদিল্লাতুহু, ২/৩০১; আদদুররিল মুযিয়্যাহ শারহু দুররিল বাহিয়্যাহ, ১/১০৮।