আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1533

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 11 এপ্রিল 2010

প্রশ্ন

আসসালামুআলাইকুম, আমাদের বাসায় শশুড় বাড়ির পারিবারিক ছবি টাংগানো রয়েছে। আমার রুমের ছবি আমি সরিয়ে রাখি, আর বলি যে ঘরে ছবি থাকে সে ঘরে রহমতের ফেরেশতা আসে না। ছবি সরিয়ে রাখায় আমার শাশুড়ি আমার উপর রেগে আছে আর বলছে আমি ওনাকে অপমান করেছি ্। এ নিয়ে অনেক সমস্যা হচ্ছে। সেষে আমি আমার স্বামী কে বলেছি, আবার আমার রুমে ছবি লাগানোর জন্য, তাতে শাশুুড়ির মাথা ঠান্ডা হবে । এ বিষয়ে কোরআন হাদীসের সুস্পষ্ট রেফারেনস্ আমার প্রয়োজন। অন লাইন এ এ বিষয়ে রেফান্সে স এ হাদীস নং বা কোরআনের কোন আয়াত আছে, আয়াত নং ্রআমি পাই নাই। রেফারেন্সস দিলে ভালো হত।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। এই বিষয়ে অনেকগুলো হাদীস বর্ণিত আছে। কয়েটি উল্লেখ করা হলো। عن أبي طلحة رضي الله عنهم : عن النبي صلى الله عليه و سلم قال ( لا تدخل الملائكة بيتا فيه كلب ولا صورة ) আবু তালহা রা. থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ، وَلَا صُورَةٌ “ফেরেশতাগণ ঐ ঘরে প্রবেশ করে না, যে ঘরে কুকুর অথবা ছবি থাকে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৩১৪৪ وَعَن ابنِ عبَّاسٍ عَنْ مَيْمُونَةَ: أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ أصبحَ يَوْمًا واجماً وَقَالَ: «إِنَّ جِبْرِيلَ كَانَ وَعَدَنِي أَنْ يَلْقَانِيَ اللَّيْلَةَ فَلَمْ يَلْقَنِي أَمَ وَاللَّهِ مَا أَخْلَفَنِي» . ثُمَّ وَقَعَ فِي نَفْسِهِ جِرْوُ كَلْبٍ تَحْتَ فُسْطَاطٍ لَهُ فَأَمَرَ بِهِ فَأُخْرِجَ ثُمَّ أَخَذَ بيدِه مَاء فنضحَ مَكَانَهُ فَلَمَّا أَمْسَى لقِيه جِبْرِيلَ فَقَالَ: «لَقَدْ كُنْتَ وَعَدْتَنِي أَنْ تَلْقَانِي الْبَارِحَةَ» . قَالَ: أَجَلْ وَلَكِنَّا لَا نَدْخُلُ بَيْتًا فِيهِ كَلْبٌ وَلَا صُورَةٌ فَأَصْبَحَ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَوْمَئِذٍ فَأَمَرَ بِقَتْلِ الْكلاب حَتَّى إِنه يَأْمر بقتل الْكَلْب الْحَائِطِ الصَّغِيرِ وَيَتْرُكُ كَلْبَ الْحَائِطِ الْكَبِيرِ. ’আবদুল্লাহ ইবনু ’আব্বাস (রাঃ) মায়মূনাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণনা করেন। একদিন রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম চিন্তিত অবস্থায় ভোর করলেন এবং বললেনঃ জিবরীল (আ.) এ রাত্রে আমার সাথে সাক্ষাৎ করবেন বলে ওয়া’দা করেছিলেন, কিন্তু সাক্ষাৎ করেননি। আল্লাহর কসম! তিনি তো কখনো আমার সাথে কথা দিয়ে খেলাফ করেননি। অতঃপর তাঁর মনে পড়ল ঐ কুকুর ছানাটির কথা, যা তাঁর তাঁবুর নিচে ছিল। তখনই তিনি তাকে ঐখান থেকে বের করে দেয়ার নির্দেশ দিলেন। এরপর তাকে বের করে দেয়া হলো। অতঃপর কুকুরটি যে জায়গায় বসা ছিল, তিনি সে জায়গায় কিছু পানি নিজ হাতে নিয়ে ছিটিয়ে দিলেন। পরে যখন বিকাল হলো জিবরীল (আ.) তার সাথে সাক্ষাৎ করলেন। তখন তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেনঃ গত রাত্রে আপনি আমার সাথে সাক্ষাৎ করার ওয়া’দা করেছিলেন। তিনি বললেনঃ হ্যাঁ, কিন্তু আমরা এমন ঘরে প্রবেশ করি না যে ঘরে কুকুর বা ছবি থাকে। পরের দিন সকালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সমস্ত কুকুর মেরে ফেলার জন্য নির্দেশ দিলেন। এমনকি ছোট ছোট বাগানের কুকুরগুলোকেও মারার হুকুম দিলেন তবে বড় বড় বাগানের কুকুরগুলোকে ছেড়ে দেন। সহীহ মুসলিম হাদীস নং ২১০৫। আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন: قدم رسول الله – صلى الله عليه وسلم – من سفر، وقد سترت سهوة لي بقرام فيه تماثيل، فلما رآه رسول الله – صلى الله عليه وسلم – هتكه وتلون وجهه وقال: «يا عائشة: أشد الناس عذابًا عند الله يوم القيامة الذين يضاهون بخلق الله». একদা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন সফর থেকে ফিরে আসলেন, আর আমি আমার ঘরে ছবি যুক্ত কাপড় দ্বারা পর্দা লটকিয়ে ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তা দেখে তাঁর মুখ মণ্ডল বিবর্ণ হয়ে যায় এবং তা নষ্ট করে বলেন: হে আয়েশা! যারা কোন জীবের ছবি আঁকাবে কিয়ামতের দিন আল্লাহর কাছে তাদের কঠিন আযাব হবে। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৬১০