আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1480

হাদীস ও উসূলুল হাদীস

প্রকাশকাল: 17 ফেব্রু. 2010

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম। আমার নাম মাসুদ খান। আমার বয়স ১৯। আমি বিজ্ঞান বিভাগে কলেজে পড়ি। আমার কয়েকটি প্রশ্ন ছিল: ১. আমার বয়স ১৯ এই বয়সে দাড়ি কি আমাকে রাখতে হবেই? না কি এখন না-রাখলেও হবে। যদি না রাখলে হয় তাহলে কিভাবে কাটতে হবে? ব্লেড দিয়ে কাটবো না মেশিন দিয়ে কাটবো। ২. আমি ছোট বেলা থেকেই ইসলামিক আইনগুলো মানতে চেস্টা করি এমন কি আমি ১বছর যাবত সব ধরনের গান শুনা থেকে বিরত আছি। তো আল্লাহ তায়ালা আমাকে একটা সমস্যা দিয়েছেন সেটা হলো আমি ঘন ঘন বিছানায় পস্রাব করে ফেলি যেটা আমার জীবনকে দুর্বিষহ করে দিচ্ছে। কোন নামাজ কালাম পড়তে পারি না আমার মনে হয় আমার জন্য আমার ঘরটাও নাপাক হয়ে যাচ্ছে। এখন আমার করণীয় কি? এভাবেই কি জীবনটা কাটাবো?
৩.আমি মনে হয় হানাফি কারন সবাই বলে। তো আমি সব আলেমদের বক্তব্য শুনে দেখলাম বুকে হাত বেধে নামাজ পড়া বেশি প্রমানিত। আমি কি হানাফি মাযহাবের পাশাপাশি বুকে হাত বেধে নামাজ পড়তে পারবো? কারন আমাকে কয়েকজন বললো, যেকোনো একটি মাযহাব নাকি মানতে হবে, তা না হলে না কি নামাজ হবে না।

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। দাঁড়ি সকল মুসলিমদেরকে রাখতে হবে। আপনাকেও রাখতে হবে। দাঁড়ি না রাখার কোন সুযোগ নেই। রাসূলুল্লাহ সা. দাঁড়ি রাখতে আদেশ দিয়েছেন, দাঁড়ি নিজে রেখেছেন, দাঁড়ি কাটতে নিষেধ করেছেন। এই বিষয়ে নিচের হাদীসটি লক্ষ করুন: عَنْ نَافِعٍ ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ : خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ وَفِّرُوا اللِّحَى وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ ، وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَجَّ ، أَوِ اعْتَمَرَ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ فَمَا فَضَلَ أَخَذَهُ.অর্থ: নাফে ইবনে উমার রা. থেকে তিনি রাসূলুল্লাহ সা. থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ সা. বলেছেন, তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচারণ করো, তোমরা দাঁড়ি ছেড়ে দাও এবং গোঁফ কে কটে ফেলো। (নাফে বলেন,) আব্দুল্লাহ্ ইবনে উমার রা. যখন হজ্ব কিংবা উমরা করতে যেতেন তখন একমুষ্টির উপরের দাঁড়ি কেটে ফেলতেন। সহীহ বুখারী, হাদীস নং ৫৮৯২। ২। আপনি একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন। পাশাপাশী রোগমুক্তির দোআগুলো পড়তে থাকুন। ইনশাআল্লাহ সব ঠিক হয়ে যাবে। আমার আল্লাহর কাছে দুআ করি আল্লাহ আপনাকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন। ৩। যে একটি মাজহাবে মেনে চলায় ভালো। তবে বুকে হাত বেঁধে নামায পড়তে কোন সমস্যা নেই। এটা মাজহাবের বড় কোন বিষয় নয়।