আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1344

ব্যক্তিগত ও পারিবারিক

প্রকাশকাল: 4 অক্টো. 2009

প্রশ্ন

কিছু প্রশ্ন অনেকদিন ধরে মনে মনে ঘুরপাক খাচ্ছে, কিন্তু কোনমতেই সঠিক উত্তর পাচ্ছি না ৷ আশা করি কোরআন-হাদীসের আলোকে সঠিক উত্তর পাব ৷ কোন প্রশ্ন যদি ভুলকরে করে থাকি তাহলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার অনুরোধ করছি ৷
১ – ইসলামে তো বিধবা বিবাহ জায়েজ যতদূর জানি ৷ এখন কথা হচ্ছে কোন বিধবার যদি একাধিক সন্তান থাকে এবং ঐ বিধবা যদি আবারও বিয়ে করে তাহলে ঐসব সন্তান কি বিধবার সাথেই থাকবে নাকি বিধবার মৃত স্বামীর আত্নীয় যেমন বাবা-মা, ভাই-বোন, চাচা-চাচীর সাথে থাকবে? আর ঐসব সন্তানদের কে লালন-পালন করবে? এক জায়গায় দেখেছিলাম যে বিধবা নাকি আবার বিয়ে করলে আগের ঘরের সন্তানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে যায় মানে সন্তানরা বিধবা থেকে আলাদা হয়ে যায় এটা কি ঠিক? আর বিধবা যদি আবার বিয়ে করতে চায় কিন্তু সন্তানরা বাধা দেয় তখন বিধবার করণীয় কি? সে কি ঐসব সন্তানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করতে আবার বিযে করতে পারবে? আর সন্তানরা যদি মেনে নেয় তখন বিধবার নতুন স্বামীকে কি তারা বাবা বলে সম্বোধন করবে? আর নতুন স্বামীর এক্ষেত্রে করণীয় কি?
২- স্বামী কি স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানদের ভরনপোষণ দিতে বাধ্য?

উত্তর

১। সন্তানের ভরন- পোষন ও লালন-পালনের যাবতীয় দায়িত্ব পিতার। সুতরাং তালাক হওয়ার পর সন্তানের দায়ত্ব পিতার। সন্তান ছোট থাকলে তাকে দেখ-ভাল করার নৈতিক দায়িত্ব মায়ের। বিধবা বিবাহ করলে আগের সন্তানদের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন হয় না। এমনকি ঐ মহিলা মারা গেলে তার সম্পদে সকল স্বামীর সন্তানেরা ওয়ারিস হবে। বিধবা বিয়ে করতে চাইলে সন্তানদের বাধা দেয়া উচিৎ নয়। বিবাহ মানুষের চরিত্রকে হেফাজত করে, অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তা্ই বাধা দেয়া জায়েজ নয়। সম্পর্ক ছিন্ন করে বিয়ে করার দরকার নেই, সম্পর্ক ঠিক রেখেই বিয়ে করবে। বিধবার নতুন স্বামীকে তারা বাবা বললে কোন গুনাহ হবে না, বর্তমান প্রেক্ষাপটে বাবাই বলা উচিৎ, যাতে স্বাভাবিক সম্পর্ক বিদ্যমান থাকে। নতুন স্বামী তাদেরকে সন্তানের মতই মনে করবে তবে নতুন স্বামীর থেকে ঐ সন্তানেরা আইনত কোন মিরাছ পাবে না। ২। না, স্বামী স্ত্রীর আগের ঘরের সন্তানদের ভরন-পোষণ দিতে বাধ্য নয়। বাকী প্রশ্নুগলো একটা একটা করে আবার করবেন।