ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রহমাতুল্লাহ। কুফরী কালাম বা যাদুর মাধ্যমে মানুষের শারীরিক ও আর্থক করা যায়। কুরআন ও হাদীসে যাদু ব্যবহারকে কুফর বলে সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। জাদুকর মূলত পূজা ও শিরকের মাধ্যমে জিনের সাথে চুক্তিবদ্ধ হন। যেমন ধুপ, সুগন্ধি ইত্যাদি উৎসর্গ করা, কোনো পশু বা পাখি জবাই করা, জিন বা শয়তানের সাহায্য প্রার্থনা করা, তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে মন্ত্র পাঠ করা ইত্যাদি। এগুলো সবই শিরক। অনেক সময় মুসলিম যাদুকরকে প্রতারিত করতে শয়তান জিন এরুপ শিরকী মন্ত্রের সাথে কুরআনের আয়াত বা দুয়া সংযুক্ত করে রাখে। কুরআনের আয়াত বা দুয়ার আগে, পরে বা মধ্যে শয়াতনের পছন্দনীয় বা অর্চনামূলক দু-একটা বাক্য রেখে দেয়। এরুপ শিরক ছাড়াও বিভিন্ন প্রকারের কুফর ও মহাপাপের মাধ্যমে শয়তারকে সন্তুষ্ট করতে হয়। যেমন কুরআনের অবমাননা, কুরআনের আয়াত উল্টে লেখা, নাপাকি দিয়ে লেখা, জঘন্য অশ্লীলতায় লিপ্ত হওয়া, ঘৃন্য নাপাকীর মধ্যে বা নাপাক অবস্থায় থাকা, মানুষ হত্যা ইত্যাদী। এসকল কর্মের মাধ্যমে যাদুকর সামান্য কিছু অস্বাভাবিক ক্ষমতা অর্জন করে। যেমন ভেল্কি দেখানো, সত্য-মিথ্যা মিশ্রিত কিছু অজানা বা গায়েবী কথা বলা, মনের কথা বলঅ, বান-টোনা ইত্যাদির মাধ্যমে মানুষের ক্ষতি করা ইত্যাদী। এদের হাত থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য কুরআন ও হাদীসে অনেক দোয়া ও যিকির উল্লেখ আছে। বিস্তারিত জানতে দেখুন ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রচিত রাহে বেলায়াত গ্রন্থের নতুন সংস্করনের রোগব্যাধি ও ঝাড়ফুঁক অধ্যায়টি।