আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1291

নামায

প্রকাশকাল: 12 আগস্ট 2009

প্রশ্ন

আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ! ভাই আমার দুইটি প্রশ্ন। ১. জামাতে যদি (জুমআ বাদে) শেষ বৈঠক পাই তাহলে কি আমি জমাতের সলাত পেলাম? নাকি শেষ বৈঠক পেলে আর জমাতে শরিক হবো না? যদি আমি শুনেছি বা হাদিসে পড়েছি জুমআ সলাতে এক রাকাত না পেলে যোহর পড়তে। আসলে এটা কি সব সলাতের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য নাকি জুমআ তে? আরেকটা প্রশ্ন। আমরা জানি হস্ত মৈথুন ইসলামে হারাম। আচ্ছা এটা কি ইজমা দ্বারা হারাম নাকি এ নিয়ে মতভেদ আছে?
আমি বিবাহিত। যদিও হস্ত মমৈথুন করি নানা কিন্তু স্ত্রীর পিরিয়ড চলাকালীন সময়ে মাঝে মাঝে খুব উত্তেজিত হয়ে যাই স্ত্রীর সংস্পর্শ থাকলে। আপনি জানেন এটা খুবই স্বাভাবিক। এমতাবস্থায় যদি আমার স্ত্রীর আলিঙ্গন এ আমি উত্তেজিত হয়ে হস্তমৈথুন করি তাহলে কি কোন সমস্যা আছে? দয়া করে জানাবেন। জাযাকাল্লাহ

উত্তর

ওয়া আলাইকুমুস সালাম। জুমুআসহ সকল সালাতরে শষে বঠৈক পলেে আপনি জামাতে শরীক হবনে। তবে জুমুআর সালাতে কোন রাকআত না পলেে জুমুআর দুই রাকআত আদায় করতে হবে না কি জোহররে চার রাকআত আদায় করতে হবে এই নয়িে আলমেদরে মাঝে মতভদে আছ। ইমাম আবু হানীফা বলছেনে, তাশাহুদর আগে শরীক হলে জুমুআর দুই রাকআত আদায় করবে আর অন্যান্য ইমামগণ বলছেনে,জোহররে চার রাকআত সালাত আদায় করব। তবে আপনি যটো বলছেনে জুমুআর সালাতে এক রাকআত না পলেে যোহর পড়তে হবে এটা ঠকি নয়। নচিরে হাদীসটি দখেুন: عن أبي هريرة : عن رسول الله صلى الله عليه و سلم قال : من أدرك من صلاة الجمعة ركعة فقد أدرك الصلاة আবু হুরাইরা রা. রাসূলুল্লাহ সা. থকেে র্বণনা করছেনে, তনিি বলছেনে, যে ব্যক্তি জুমুআর সালাতরে এক রাকআত পলে সে সালাত পলে। সহীহ ইবনে খুজায়মা, হাদীস নং ১৮৫০।হাদীসটি সহীহ। সুতরাং এক রাকআত পলেে যুহর পড়তে হয় এই কথা ঠকি নয়। ২। কুরআন ও হাদীসরে আলোকে হস্তমথৈুন হারাম। দুই একজন আহলে জাহরে আলমে জায়জে বলছেনে কন্তিু এই মত বাতলি, তবে মুহাক্ককি আলমেগন বলছেনে, যদি জনিার (ব্যভিচারে) আশংকা হয় তাহলে হারাম হবে না। পবত্রি কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলছেনে, وَالَّذِينَ هُمْ لِفُرُوجِهِمْ حَافِظُونَ (৫) إِلاَّ عَلَى أَزْوَاجِهِمْ أوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ فَإِنَّهُمْ غَيْرُ مَلُومِينَ (৬) فَمَنِ ابْتَغَى وَرَاء ذَلِكَ فَأُوْلَئِكَ هُمُ الْعَادُونَ (৭) আর যারা তাদরে লজ্জাস্থানকে হফোজত কর। ে তবে তাদরে স্ত্রী ও দাশীদরে ক্ষত্রেে সমস্যা নইে। তখন তারা নন্দিতি হবে না। সুতরাং যারা এদরে ছাড়া অন্য কোন মহলিাকে (যাৈন চাহদিা পূরণরে জন্য) খুঁজবে তারা সীমালংঘনকারী। সূরা মূমনিুন, আয়াত:৫,৬,৭ উক্ত আয়াত দ্বারা ইমাম শাফয়েী (র.) হস্তমথৈুন হারাম হওয়ার দলীল পশে করছেনে। আয়াতগুলো উল্লখে করার পর তিনি বলছেনে, فَكَانَ بَيِّنًا في ذِكْرِ حِفْظِهِمْ لِفُرُوجِهِمْ إلاَّ على أَزْوَاجِهِمْ أو ما مَلَكَتْ أَيْمَانُهُمْ تَحْرِيمُ ما سِوَى الأَزْوَاجِ وما مَلَكَتْ الأَيْمَانُ ثُمَّ أَكَّدَهَا فقال عز وجل {فَمَنْ ابْتَغَى وَرَاءَ ذلك فَأُولَئِكَ هُمْ الْعَادُونَ} فَلاَ يَحِلُّ الْعَمَلُ بِالذَّكَرِ إلاَّ في الزَّوْجَةِ أو في مِلْكِ الْيَمِينِ وَلاَ يَحِلُّ الاِسْتِمْنَاءُ وَاَللَّهُ تَعَالَى أَعْلَمُ শাফয়েী বলনে, স্ত্রী ও দাশী ছাড়া অন্য কোথাও যৌন চাহদিা পূরণ করা যাবে না এ কথার মধ্যে প্রমাণ রয়েছে যে, স্ত্রী ও দাশী ছাড়া অন্য যে কোন জায়গায় যৌনর্কম হারাম। এরপর আল্লাহ তায়ালা বিষয়টি আরো জোরালো করে বলছেনে, সুতরাং যারা এদের ছাড়া অন্য কোন মহলিাকে (যৌন চাহদিা পূরণরে জন্য) খুঁজবে তারা সীমালংঘনকারী। ফলে স্ত্রী ও দাশী ছাড়া যৌনর্কম হালাল হবে না এবং হস্তমথৈুন হালাল হবে না। আল্লাহ তায়ালা ভাল জাননে। কতিাবুল উম্ম, (ইমাম শাফী র.) হস্তমথৈুন অধ্যায় ৫/৯৪ আল্লামা ইবনে তাইময়িা রহ. বলনে, أَمَّا الِاسْتِمْنَاء بِالْيَدِ فَهُوَ حَرَامٌ عِنْدَ جُمْهُورِ الْعُلَمَاءِ وَهُوَ أَصَحُّ الْقَوْلَيْنِ فِي مَذْهَبِ أَحْمَد وَكَذَلِكَ يُعَزَّرُ مَنْ فَعَلَهُ . وَفِي الْقَوْلِ الْآخَرِ هُوَ مَكْرُوهٌ غَيْرُ مُحَرَّمٍ وَأَكْثَرُهُمْ لَا يُبِيحُونَهُ لِخَوْفِ الْعَنَتِ وَلَا غَيْرِهِ وَنُقِلَ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْ الصَّحَابَةِ وَالتَّابِعِينَ أَنَّهُمْ رَخَّصُوا فِيهِ لِلضَّرُورَةِ : مِثْلَ أَنْ يَخْشَى الزِّنَا فَلَا يُعْصَمُ مِنْهُ إلَّا بِهِ وَمِثْلَ أَنْ يَخَافَ إنْ لَمْ يَفْعَلْهُ أَنْ يَمْرَضَ وَهَذَا قَوْلُ أَحْمَد وَغَيْرِهِ . وَأَمَّا بِدُونِ الضَّرُورَةِ فَمَا عَلِمْت أَحَدًا رَخَّصَ فِيهِ . وَاَللَّهُ أَعْلَمُ র্অথ:অধকিাংশ আলমেরে নকিট হস্তমথৈুন হারাম আর হাম্বলী মাজহাবরে বশিদ্ধ র্বণনা এটাই। যে এমন করে সে নন্দিার পাত্র। অন্য র্বণনাযয় মাকরুহ, হারাম নয়। অধকিাংশ আলমে কোন সময়ই এর বধৈতা দনেনি চাই ব্যভচিাররে ভয় হোক বা অন্য কোন কারনে হোক। তবে একদল সাহাবী এবং তাবঈে থকেে র্বণতি আছ, তারা প্রয়োজনরে সময় এটাকে বৈধতা দিয়েছেন। যেমন ব্যভিচারের ভয়, রোগাক্রান্ত হওয়ার ভয়। আর এটাই আহমাদ এবং অন্যান্যদের মত। আর আমি এমন কাউকে দেখেনি যে বিনা প্রয়োজনে এই বিষয়টির বৈধতা দিয়েছেন। মাজমুউল ফাতাওয়া,২৪/২২৯। বাবু সুয়লিা আনলি ইসতমিনা-ই।