আমাদের সমাজে একটা মসজিদ আছে আমার দাদাদের আমল থেকে। মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিলেন একজন মুরব্বি, জায়গা দিয়েছিলেন অন্য একজন মুরব্বি। যিনি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছিল উনার ছেলেরাই মসজিদের সব দেখাশোনা করেন। উনার বড় ছেলে মসজিদের খতিব। ৭-৮ বছর আগে সমাজের সবাই বলে আমরা একটা মসজিদ কমিটি করি যার মাধ্যমে মসজিদ পরিচালিত হবে। কিন্তু যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার ছেলেরা বলেন, কোন কমিটি হবে না আমরা যেভাবে চালাবো সেভাবে চলবে সবকিছু। উনার বড় ছেলে নাকি এও বলেছিল এটা আমাদের মসজিদ। (এটা আমি আংকেল থেকে শুনেছি)
এরপর কাথা কাটাকাটি হয়ে সমাজে দুইটা গ্রুপের সৃষ্টি হয়। একটা হল জায়গার মালিকের অন্যটা যিনি মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন তার ছেলেদের। গ্রুপ হওয়ার পর মসজিদের কর্তিত্ব নিয়ে পাল্টাপাল্টি মামলা হয়। মসজিদ এরিয়াতে একটা ফোরকানিয়া মাদ্রাসা আছে। ঝামেলা হওয়ার পর একটা গ্রুপ ফোরকানিয়াতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করেন। (তাদের ভাষ্য যেহেতু খতিব আল্লহর ঘরকে দাবী করেছে এটা আমাদের মসজিদ তার পিছনে সালাত আদায় করলে হবে না)। সুরা তারাবিও হয়। দুই ঈদের জামাত হয়। কিন্তু জুমার নামাজ হয় না। আজান ও হয় না। অন্য গ্রুপ মসজিদে নামাজ পড়ে ওটাতে জুমারর নামাজ ও হয়। মসজিদ ইবাদত খানা দুইটাই পাশাপাশি লাগানো। আমাদের নামাজের আওয়াজ ওনারা শুনে ওদের নামাজের আওয়াজ আমরা শুনি। ৭-৮ বছর ধরে এমনই চলছে সাথে মামলাও চলমান। আমার প্রশ্ন হচ্ছে
১. ইসলাম এ ব্যাপারে কি বলে?
২. পাশে মসজিদ রেখে এভাবে ফোরকানিতে নামাজ আদায় করলে হবে কিনা?
৩. যেহেতু খতিব আল্লাহর ঘরকে তাদের মসজিদ বলেছে, উনার পিছনে যারা সালাদ আদায় করছেন তাদের সালাদ কবুল হবে কিনা?