আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1892

বিবিধ

প্রকাশকাল: 5 এপ্রিল 2011

প্রশ্ন

কুরবানির গোশত ও অন্যান্য বিষয়ে কুরআন হাদীস কি বলে? আকিকার নিয়ম কি? বিতর নামাজের নিয়ম কি? দয়াকরে বিস্তারিত জানাবেন।

উত্তর

কুরবানীর গোশত নিজে খেতে হবে এবং আত্নীয় ও গরীবদেরকে খাওয়াতে হেব। চামড়ার টাকা গরীবদেরকে দিতে হবে। এই বিষয়ে শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. লিখেছেন, আল্লাহ বলেন: لِيَشْهَدُوا مَنَافِعَ لَهُمْ وَيَذْكُرُوا اسْمَ اللَّهِ فِي أَيَّامٍ مَعْلُومَاتٍ عَلَى مَا رَزَقَهُمْ مِنْ بَهِيمَةِ الأَنْعَامِ فَكُلُوا مِنْهَا وَأَطْعِمُوا الْبَائِسَ الْفَقِيرَ যেন তারা নিজেদের কল্যাণের স্থানসমূহে হাযির হতে পারে এবং তিনি তাদেরকে চতুষ্পদ জন্তু থেকে যে রিযক দান করেছেন তার উপর নির্দিষ্ট দিনগুলিতে আল্লাহর নাম যিক্র করে। অতঃপর তোমরা তা থেকে খাও এবং দুস্থ-দরিদ্রদেরকে খেতে দাও। হাযেরীন, তাহলে, দুস্থ-দরিদ্রদেরকে খাওয়ানো আগ্রহ ওদ উদ্দেশ্য কুরবানীর অবিচ্ছেদ্য অংশ। কুরবানীর গোশত তিনভাগ করে একভাগ পরিবারের, একভাগ আত্মীয়দের এবং একভাগ দরিদ্রদের প্রদানের রীতি আছে। এরূপ ভাগ করা একটি প্রাথমিক হিসাব মাত্র। যাদের সারা বৎসর গোশত কিনে খাওয়ার মত সচ্ছলতা আছে তারা চেষ্টা করবেন যথাসম্ভব বেশি পরিমান গোশত দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ করতে। আর যারা কিছুটা অসচ্ছল এবং সাধারণভাবে পরিবার ও সন্তানদের গোশত কিনে খাওয়াতে পারেন না, তারা প্রয়োজনে পরিবারের জন্য বেশি পরিমান রাখতে পারেন। তবে কুরবানীর আগে আমার পরিবার কি পরিমান গোশত পাবে, অথবা বাজার দর হিসেবে গোশত কিনতে হলে কত লাগত এবং কুরবানী দিয়ে আমার কি পরিমাণ সাশ্রয় হলো ইত্যাদি চিন্তা করে কুরবানী দিলে তা আর কুরবানী হবে না। খুতবাতুল ইসলাম, পৃষ্ঠা নং ৩৮৬। বিতরের নামায অনেক পদ্ধতিতে আদায় করা যায়। আল্লামা ইবনে হাযাম জাহেরী রহ. আল মুহল্লা (২/৮২) বলেছেন, والوتر وتهجد الليل ينقسم على ثلاثة عشر وجها، أيها أفعل أجزأه বিতর ও রাতের তাহাজ্জুদ ১৩ টি পদ্ধতি রয়েছে। যে কোন এক পদ্ধতিতে পড়লেই যথেষ্ট হবে। তার মধ্যে তিনটি পদ্ধতি শায়খ শায়খ আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. রাহে বেলায়াত গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। আমাদের দেশে সাধারণত যে পদ্ধতিতে বিতর পড়া হয় সেটা সহীহ। এই প্রসঙ্গে আল্লামা ইবনে হাযাম জাহেরী রহ. আল মুহল্লা (২/৮২) বলেছেন, والثاني عشر: أن يصلي ثلاث ركعات، يجلس في الثانية، ثم يقوم دون تسليم و يأتي بالثالثة، ثم يجلس ويتشهد ويسلم، كصلاة المغرب. وهو اختيار أبي حنيفة ১২নং তিন রাকআত নামায পড়বে, দ্বিতীয় রাকআতে বসবে, এরপর সালাম না ফিরিয়ে উঠবে এবং তৃতীয় রাকআত পড়বে। তারপর বসে তাশাহুদু পড়ে সালাম ফিরাবে মাগরিবের নামাযের মত। আর এটা আবু হানীফা পছন্দ করেছেন। বিস্তারিত জানতে আমাদের দেয়া 0105 ও 0153 নং প্রশ্নের উত্তর দেখুন। আরো দেখুন রাহে বেলায়াত গ্রন্থের বিতর অধ্যায়।