আস-সুন্নাহ ট্রাস্ট

প্রশ্নোত্তর

ক্যাটাগরি

প্রশ্নোত্তর 1530

অর্থনৈতিক

প্রকাশকাল: 8 এপ্রিল 2010

প্রশ্ন

আমার বাবা মারা যাওয়ার বেশ কয়েক বছর আগে আমাদের গ্রামের বাড়িতে একটা মসজিদ নির্মান করে গেছেন। আমাদের বাড়িতে দুইটা গোষ্ঠী/ বংশ রয়েছে ১) হাওলাদার ২) জোমাদ্দার। মসজিদে উভয় গোষ্ঠি জমি দান করেছে। আমরা হাওলাদার গোষ্ঠির। মসজিদ প্রতিষ্ঠার সময়ে আমার বাবা যেহেতু ওই এলাকায় সুপরিচিত ও সন্মানিত ব্যক্তি ছিলেন এবং বাবার কারণে আমাদের বাড়িটা যেহেতু হাওলাদার বাড়ি নামেই পরিচিত ছিল সে হিসেবে উভয় গোষ্ঠীর মুরব্বিদের সম্মতিক্রমে মসজিদের নাম রাখা হয় দঃ দূর্গাপুর হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদ ও মক্তব নামে। মসজিদের জমির খতিয়ানে এখনও ওই নামেই মসজিদের নাম রয়েছে। বাবা মারা যাওয়ার পরে মসজিদের নাম নিয়ে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে প্রায়ই বিবাদের সৃষ্টি হয় এবং জোমাদ্দার গোষ্ঠীর লোকেরা নিজেদের ইমেজ ধরে রাখার জন্য হুজুরকে দিয়ে ফতোয়া দিয়ে মসজিদের নাম পরিবর্তন করে বায়তুল আমান জামে মসজিদ নামে মসজিদের নামকরণ করা হয়। হুজুর ফতোয়া দিলেন যে বংশের নামে মসজিদের নামকরণ করা শুদ্ধ বা জায়েজ নয়। আমার প্রশ্ন হলো, হুজুর যে ফতোয়া দিয়েছেন সে বিষয়টা কি ঠিক? মসজিদের পূর্ব নাম অর্থাৎ দঃ দূর্গাপুর হাওলাদার বাড়ির জামে মসজিদ ও মক্তব নাম থাকলে কোনো বাধা আছে কি না?

উত্তর

মসজিদের নামেরে চেয়ে উভয় গোষ্ঠীর শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান হাজার গুন বেশী জরুরী। মসিজদের যদি আদৌ কোন নাম না থাকে তাহলেও কোন সমস্যা নেই। কোন গোষ্ঠীর নামে মসজিদের নাম রাখার চেয়ে ইমাম সাহেবে যে নাম রেখেছেন এমন নাম রাখা অধিক উত্তম। মসজিদের পূর্ব নাম থাকলে যেহেতু শান্তি বাধাগ্রহস্থ হচ্ছে সুতরাং পরের নামটি বহাল থাকুক। জমাদ্দার গোষ্ঠী যেহেতু তাদের নিজের নামে মসজিদের নাম রাখতে বলছে না, সুতরাং তাদের দোষরপ করার প্রয়োজন নেই।