প্রথম প্রশ্নের উত্তর জানতে এ সম্পর্কিত অন্য প্রশ্নের উত্তর দেখুন। দ্বিতীয় প্রশ্নের আকার বলতে যদি দেহ মনে করা হয় তবে আল্লাহ তালার কোন আকার নেই। তবে কুরআনে আল্লাহ তায়ালার হাত, চেহারা, চোখ ইত্যাদীর কথা উল্লেখ আছে। তবে এগুলোর স্বরুপ আমাদের কাছে অজ্ঞাত। তা শুধু আল্লাহ তায়ালাই জানেন। তাঁর কোন কিছুই সৃষ্ট কোন কিছুর সাথে সাদৃশ্য রাখে না। মহান আল্লাহর অন্য একটি বিশেষণ নুযূল বা অবতরণ। এ অর্থের একটি হাদীসে রাসূলুল্লাহ সা. বলেন:
يَنْزِلُ رَبُّنَا كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ لَهُ
প্রতি রাতে যখন রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকে তখন আমাদের মহিমান্বিত মহা-কল্যাণময় প্রতিপালক নিকটবর্তী আসমানে অবতরণ করেন। তিনি বলেন: আমাকে ডাকার কেউ আছ কি? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। আমার কাছে চাওয়ার কেউ আছ কি? আমি তাকে প্রদান করব। আমার কাছে ক্ষমা চাওয়ার কেউ আছ কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। বুখারী, আস-সহীহ ১/৩৮৪; মুসলিম, আস-সহীহ ১/৫২২ (মুসাফিরীন, তারগীব ফিদদুআ… আখিরিল্লাইল)
আহলুস সুন্নাতের ইমামগণ বলেন: এটি মহান আল্লাহর একটি বিশেষণ। আমরা সরল অর্থে বিশ্বাস করি যে, মহান আল্লাহ অতুলনীয়, তিনি আরশের ঊর্ধ্বে অধিষ্ঠান গ্রহণ করেন এবং তিনি যখন এবং যেভাবে ইচ্ছা অবতরণ করেন। তাঁর অবতরণ কোনোভাবেই কোনো সৃষ্টির অবতরণের মত নয়। তাঁর অবতরণের স্বরূপ ও প্রকৃতি কি তা আমরা জানি না এবং জানার চেষ্টাও করি না। ইমাম আবূ হানীফা (রা) কে মহান আল্লাহর অবতরণ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। তিনি উত্তরে বলেন:
ينزل بلا كيف
মহান আল্লাহ অবতরণ করেন, কোনোরূপ পদ্ধতি বা স্বরূপ ব্যতিরেকে। বাইহাকী, আল-আসমা ওয়াস সিফাত ২/৩৮০; মোল্লা আলী কারী, শারহুল ফিকহিল আকবার, পৃ ৬৯।